বোনের জন্মদিন
নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন ?আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আজকে আবারো নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে। আশা করছি সকলেরই ভালো লাগবে।
আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব আমার বোনের জন্মদিনের মুহূর্ত। গত ২১ শে শ্রাবণ ছিল আমার মামার মেয়ের জন্মদিন। একটা মজার বিষয় হল পঁচিশে বৈশাখ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন ঠিক তার আগের দিন ২৪ শে বৈশাখ আমার বড় মামীর জন্মদিন। আর বাইশে শ্রাবণ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু দিবস ।আর একুশে শ্রাবণ আমার বড় মামার মেয়ে জন্মদিন। দুজনেরই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঠিক আগের দিন করে জন্মদিন। ছোট থেকেই আমি নিজের মতো করে আমার বড় মামার মেয়েকে তৈরি করেছি। এখনো বোন আমাকে ভীষণ ভালোবাসে, আমি ওকে ভীষণ ভালোবাসি। এখনকার বাচ্চাদের থেকে ও অনেকটাই আলাদা। ভীষণ মন দিয়ে পড়াশোনা যেমন করে। পড়াশোনার জন্য একটু ও বলতে হয়না।ঠিক তেমনি সকলের কথা শুনে চলে। আর সবথেকে ভালো গুণ হল এখনো পর্যন্ত অন্যান্য বাচ্চাদের মতো মোবাইল দেখেনা। এটা দেখে আমার ভীষণ ভালো লাগে। সব সময় নিজে নিজেই পড়াশোনায় ব্যস্ত থাকে। ওর মা, বাবা কেউ ওকে সময় দেয়না।
যাইহোক সেদিন ছিল ওর জন্মদিন ।এ বছরে তেমন কাউকেই বলা হয়নি। আসলে প্রত্যেক বছরে আর্থিক অবস্থা একই রকম থাকে না ।তাই ধুমধাম করে পালন করা হয়ে ওঠে না। কিন্তু ওর জন্মদিনের দিন আমি ডাক্তার দেখানো নিয়েই ব্যস্ত ছিলাম ।তাই কোন কিছুই করা হয়ে ওঠেনি। সেদিন মামীর ও কাজ পড়ে গিয়েছিল। তাই মামি তেমন কিছু আয়োজন করে উঠতে পারিনি। শুধুমাত্র আমাকে নেমন্তন্ন করেছিল এ ছাড়া বাইরে ওর কোন বন্ধু-বান্ধব কাউকেই বলা হয়নি। তাই সেদিন সকাল থেকেই ওর ভীষণ রাগ হয়েছিল। সেদিন আমাকে দুবার ডাক্তারের কাছে ছুটতে হয়েছিল ।তাই দিনের বেলাতে কোন কাজে হেল্প করা হয়ে ওঠেনি। দুপুরবেলায় কোনো রকমে খেতে দেওয়া হয়েছিল। দুপুর বেলায় অনুষ্ঠানে আমি যোগ দিতে পারিনি। কিন্তু সন্ধ্যাবেলায় কেক কাটার সময় ছোট্ট একটা আয়োজন করেছিলাম।
বড় মামা আর বোন গিয়ে দুজনে মিলে পছন্দ করে কেক কিনে এনেছিল পাশেরই একটা দোকান থেকে। আমি বলেছিলাম অন্য দোকান থেকে কেক আনতে। কারণ আশেপাশের দোকানে কেক গুলো খেতে একদমই বাজে হয়। সারাদিন পরিশ্রম করে এসে মামার দূরে কোথাও যেতে চাইনি ।আর আমি সেদিন সারাদিন ছুটো ছুটির পর আমারও যেতে ইচ্ছে করেনি। যাই হোক আশেপাশের দু একটা বাচ্চাকে ডেকে কেকটা কাটা হয়েছিল। এরপর সন্ধ্যা বেলায় বড় মামি ছোট ছোট বাচ্চাদের বাড়িতে কেক, পায়েস, মিষ্টি সমস্ত কিছু সকলকে দিয়ে এসেছিল। সন্ধ্যাবেলার এই ছোট্ট আয়োজনে একটু হলেও বোনকে আনন্দ দিতে পেরেছিলাম।
বোনের ভীষণ ইচ্ছে আগামী বছর আমার বাড়িতে ওর জন্মদিন খুব ভালোভাবে পালন করার। কিন্তু মানুষের শরীর মন সব সময় ঠিক থাকে না। তাই এ বছরের কথা দিয়ে পরের বছরে কি হবে সেটা কেউ বলতে পারে না ।যাই হোক আমি ওকে সান্ত্বনা দেয়ার জন্য বলেছি ঠিক আছে পরের বছরে আমরা ওদের জন্মদিন পালন করব। আসলে ছোট বাচ্চা তাই অন্যান্যদের দেখে নিজেরও খুব ভালোভাবে জন্মদিন পালন করার ইচ্ছে জাগে ।সেটাই সকলের সামনে প্রকাশ করে। এবছরের বোন ১১ বছর থেকে ১২ বছরে পড়ল ।দেখতে দেখতে অনেকটা বড় হয়ে গেল। ছোট থেকে এখনো পর্যন্ত ও আমার কাছেই পড়াশোনা করে। আজকে বোনের জন্মদিনে সন্ধ্যা বেলার সুন্দর মুহূর্ত আপনাদের মাঝে শেয়ার করে নিলাম।
আজ এই পর্যন্তই। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। আবারো নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
Thank you 🙏