পাগলা খালি থেকে ফেরার সুন্দর মুহূর্ত

in Incredible India7 days ago

নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন ?আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আজকে আবারও নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে আশা করবো সকলেরই ভালো লাগবে।

IMG20250908133407.jpg

আজকে আপনাদের মাঝে পাগলা খালি যাওয়ার শেষ পর্ব শেয়ার করে নেব। আপনারা হয়তো বেশ কয়েকদিন পাগলা খালির পোস্ট পড়তে পড়তে বোর হয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এই প্রথমবার কোথাও একসাথে অনেকে গিয়ে প্রচুর মজা করেছি। সেগুলোই আপনাদের মাঝে ধাপে ধাপে শেয়ার করছি। সেভাবে কোনদিন সকলে মিলে প্ল্যান করে কোথাও যাওয়া হয়নি। তিন মামা,মামি, মা, দিদা, বোনেদের একসাথে পেয়ে খুব আনন্দ পেয়েছিলাম।এই ছোট্ট মূহুর্ত গুলো স্মৃতির পাতায় থেকে যাবে। বছর দুয়েক পর পর সেদিনকে পাগলা খালি তে পুজো দিতে গিয়েছিলাম। গতকালকে শেয়ার করেছিলাম পাগলা খালি তে কাটানো কিছু ভালো মুহূর্ত ।আজকে শেয়ার করব বাড়ি ফেরার পালা। আমরা সেদিন পুজো দিতে গিয়েছিলাম প্রায় বেলা এগারোটা নাগাদ। যেতে প্রায় দেড় ঘন্টা সময় লেগেছিল। পুজো দিতে গিয়ে সমস্ত কিছু মিটিয়ে একসাথে আবার জোট বেঁধেছিলাম বাড়ি ফিরব বলে । পাশে রয়েছে নদীর ধার। নদীর পাড়ে সুন্দর পরিবেশ থেকে আস্তে ইচ্ছে করছিল না।

IMG20250908120021.jpg

এরই মাঝে চোখে পড়ে ছিল একজন লোক আমড়া মাখা আর পেয়ারা মাখা বিক্রি করছিল।দেখে ভীষন খেতে ইচ্ছে করছিল। কারণ পুজো দিতে যাওয়ার দুদিন আগে আমার শরীরটা একদমই ভালো ছিল না। তাই বলার সাথে সাথে ছোট মামা আমড়া মাখা কিনে দিল। সেটা বসে বসে খেয়ে নিয়েছিলাম। খেতে বেশ ভালো লেগেছিল। ওখানে যেহেতু বারোমাস পূজো হয়। তাই বিরাট এলাকা নিয়ে বারো মাস বিভিন্ন রকমের খেলানার দোকান এছাড়া মেলা বসে। আমরা অসময়ে গিয়েছিলাম ।তাই দোকানগুলোতে খুব একটা ভিড় ছিল না। আর খুবই যৎ সামান্য দোকান বসেছিল। যেহেতু অল্প দোকান তাই জিনিসের খুব দাম ।তাই সেখান থেকে মামার মেয়ের জন্য সকলে খেলনা কিনতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল। অনেক দাম বলছিল। তাই জিনিস পছন্দ করেও কেউ নিতে পারছিল না ।শেষে কোন রকমের যে যার পছন্দমত কয়েকটা জিনিস কিনে নিয়েছিল। শুধুমাত্র মাত্র ছোট্ট বোনের জন্য।সে তো খেলনা গুলো পেয়ে ভীষণ খুশি। কিন্তু দুঃখের বিষয় ফেরার সময় বোন আলাদা গাড়িতে বসেছিল।

IMG20250908111112.jpg

এরপর আমরা যে যার মত গাড়িতে উঠে পড়েছিলাম বাড়ি ফিরব বলে।গাড়িতে আসতে আসতে সকলে যে যার মত গল্প ,আনন্দ, মজা ,গান শুনতে শুনতে বাড়ি ফিরছিলাম। আমি যেখানেই থাকি না কেন সেখানেই সকলের সাথে মজা আনন্দ করতে ভীষণ ভালোবাসি। আমার বোনেরা সবসময় বলে আমি যেখানে থাকবো সেখানে কেউ কখনোই চুপ করে থাকতে পারে না। যাইহোক বড়দের সাথে ছোটদের সাথে সকলে মিলে খুব মজা হই হই করতে বাড়ি ফিরছিলাম। তবে এইভাবে সকলের সাথে তীর্থস্থানে যেতে বেশ ভালোই লাগে। তবে যখন আমরা পুজো দিতে যাচ্ছিলাম তখন যেন রাস্তা শেষ হচ্ছিল না। কিন্তু আসবার সময় খুব তাড়াতাড়ি পৌঁছে গিয়েছিলাম।

IMG-20250909-WA0027.jpg

তবে বিকেল বেলায় গ্রামের প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে একটু অন্যরকম লাগে। মন্দিরটি একদম মাঠের মধ্যে। তাই যাতায়াতের সময় গ্ৰাম্য দৃশ্য গুলো নজর কাড়ে।চাষীরা সকলের চাষের কাজ সেরে বাড়ি ফিরতে ব্যস্ত। কেউবা জমিতে চাষ করতে ব্যস্ত। আবার পাখিরা বিকেল বেলায় যে যার মত খেতে বসে রয়েছে। ফসলের বীজ খেতে ব্যস্ত। সব কিছু গাড়ি থেকে দেখছিলাম। সারাদিন রোদে পুড়ে সকলে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। সেদিন প্রচন্ড গরম পড়েছিল।এই ছিল আমাদের বাড়ি ফেরার মূহুর্ত।


আজ এই পর্যন্তই। আবারো নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হব আগামীকাল। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

Sort:  
Loading...

Congratulations!! Your post has been upvoted through steemcurator06. We encourage you to publish creative and quality content.

Curated By: @wirngo