রাখি কেনার মূহুর্ত
নমস্কার বন্ধুরা,সকলে কেমন আছেন? আশা করছি সকলেই ভালো আছেন আজকে আবারও নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে। আশা করি সকলেরই ভালো লাগবে।
গতকালকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম ঈশার সাথে জুয়েলারি দোকানে যাওয়ার কিছু মুহূর্ত। সেদিন জুয়েলারি দোকানে সমস্ত কাজকর্ম হয়ে যাওয়ার পর ওই দোকানের দুটো মেয়ে কর্মচারী আমাদের দুজনকে হাতে রাখি পরিয়ে রাখি বন্ধন পালন করেছিল । রাখি বন্ধন বাঙ্গালীদের উৎসবের মধ্যে একটি শ্রেষ্ঠ উৎসব। এই উৎসবকে ভাই বোনের মধ্যে একটা বন্ধন অটুট থাকার উৎসব। রাখি পরিয়ে সাথে দুটো লজেন্স দিয়েছিল ।যাই হোক দোকানে গিয়ে রাখি পরিয়ে ছিল আমি তো ভীষণ খুশি হয়েছিলাম ।আমরা গিয়েছিলাম রাখি পূর্ণিমার ঠিক আগের দিন। দোকানে ঢোকা মাত্রই আমি প্রথমেই দেখেছিলাম সুন্দর করে রাখির থালা গুলো সাজানো রয়েছে। আমি ঈশাকে বারবার জিজ্ঞেস করছিলাম রাখি গুলো কি হবে। সেগুলো ছিল ফুলের রাখি। ওই গুলো হয়তো ওরা নিজেরা অন্যান্য কাউকে পড়াবে। সেই জন্য বেশ সুন্দর করে থালায় সাজিয়ে রেখে ছিল ।আমাদের সেদিনকে যাওয়ার উদ্দেশ্যই ছিল রাখি আর মিষ্টি কিনতে যাওয়া কিন্তু হঠাৎ করেই ঈশা জুয়েলারির দোকানের ঢুকে পড়ে। এবারে জুয়েলারির দোকানের সমস্ত কাজকর্ম মিটিয়ে হাঁটতে শুরু করেছিলাম। কারণ কিছুটা দূরেই রাখি বিক্রি হয়। সামান্য একটু রাস্তা তাই হেঁটে চলে গিয়েছিলাম ।ওখান থেকে আর টোটো ধরিনি।
এদিকে চারটে দশ বেজে গেছে আমার তো ভীষণ বাড়ি ফেরার তাড়া ।কারণ বাচ্চাগুলো এসে পড়ার জন্য বসে থাকবে। বাড়িতে শাশুড়ি মা আর বরকে দুজনকে বলে এসেছিলাম ।তবুও ওরা দুজনে দুজনের কাজে ব্যস্ত থাকে, বাচ্চা পরানো গুরুত্ব নেই। যাই হোক হাঁটতে হাঁটতে খানিকটা দূরে এসেই প্রথমেই কিছু মিষ্টি নিয়ে নিয়েছিল ।পছন্দমত বেশ কিছু মিষ্টি নিয়ে ছিল। মিষ্টি কেনার পর আরও খানিকটা এসে তবে রাখি বিক্রি হচ্ছিল। সেদিন প্রত্যেকটি রাখির দোকানে প্রচন্ড ভিড় ।সব ভাই দাদাদের পড়ানোর জন্য প্রত্যেক বোনেরা রাখি কিনতে ব্যস্ত। ঈশা ওর পছন্দমত কিছু রাখী কিনে নিয়েছিল। আমার কোন ভাই বা দাদা নেই। তাই রাখি পূর্ণিমা নিয়ে আমার অতটা ও মাতামাতি কোনদিনই ছিল না । সকলের রাখি কে না দেখে নিজেরও ভীষণ কষ্ট হয়। কিন্তু ইচ্ছে থাকলে উপায় নেই ।এই বয়সে এসে আর কোন ভাই কিংবা দাদার হাতে রাখি পড়াতে ইচ্ছে করে না। ছোট থেকে যদি কাউকে পরানো হয় তাহলে একটা অভ্যেস থেকে যায়। তাই এই রাখি পূর্ণিমা আর ভাইফোঁটার দিন টা আমার ভীষণ কষ্টেই কেটে যায়।
এরপরে রাখি কেনা হয়ে গেলে দুজনেই টোটো ধরে রওনা দিয়েছিলাম বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে। তখন বেজে গেছে প্রায় সাড়ে চারটে। সেদিন যেহেতু দেরি হয়েছিল তাই টোটো করে বাড়ির কাছেই নেমেছিলাম। বাড়িতে ঢুকে দেখি বাচ্চাগুলো একা একা বোকার মতো ঘরে বসে রয়েছে। শাশুড়ি মা টিভি নিয়ে ব্যস্ত ।আর আমার বর সে তো ফোন নিয়ে ব্যস্ত। যাই হোক জুয়েলারি দোকান থেকে আমাকে রাখি পরিয়ে যে লজেন্স দিয়েছিল সেগুলো এসে বাচ্চাগুলোকে দিয়েছিলাম তাতে ওরা ভীষণ খুশি হয়েছিল। কিন্তু এ বছরে আমার মামার মেয়ে সে আমাকে রাখি পরিয়ে ছিল ।সে প্রত্যেক বছরে আমাকে রাখি পড়ায়। কারণ তারও কোন ভাই কি বা দাদা নেই। এই ছিল আমাদের সেদিনকে বেরোনোর মুহূর্ত।
আজ এই পর্যন্তই। আবারো অন্য কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হব আগামীকাল। সকলে ভালো থাকুন ,সুস্থ থাকুন।
Beautiful post and beautiful photography