বাড়ি ফেরার পালা
নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন? আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আজকে আবার নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে আশা করছি সকলেই ভালো লাগবে।
আমার মত সব মেয়েদের বাপের বাড়ি যাওয়ার আনন্দটা একেবারেই আলাদা রকমের। বাপের বাড়ি যাবার কথা শুনলেই মেয়েদের মন একেবারে ভালো হয়ে যায়। আমার যেতে ভীষণ ভালো লাগে ।কিন্তু কোথাও যাওয়ার কথা শুনলে আবার কষ্ট হয়। কারণ অতটা রাস্তায় জার্নি করে যেতে আমি একদমই পারি না। যাই হোক গতকালকে বাপের বাড়িতে ব্যাংকে কিছু কাজকর্ম ছিল। সেগুলো মিটিয়ে বাড়ি ফেরার কিছু মুহূর্ত আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি। গতকালকে ব্যাংকের কাজকর্ম মিটিয়ে আমি আর বাপের বাড়িতে যাইনি। ব্যাংকের কাজকর্ম মিটিয়ে ওখান থেকেই বাড়িতে ফেরার জন্য রওনা দিয়েছিলাম। মায়ের তো আমাকে দেখে ভীষণ মন খারাপ হয়ে গিয়েছে। কারণ বাড়ির কাছ থেকে ব্যাংকের কাজ মিটিয়ে বাড়ি ফিরে আসবো বলে। মায়ের মন বাড়ি পর্যন্ত যায়নি বলে মা ভীষণ রাগ করেছিল । আমি গেলে মা আবার আমাকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়বে। সেই ভেবে আর যাওয়া হয়ে ওঠেনি।
কিন্তু আমার ভীষণ তারা ছিল। কারণ আমি যদি মায়ের কাছে যেতাম আমার সহজে আসতে একদম ইচ্ছে করে না। একদিনের বদলে মনে হয় কয়েকদিন থেকে যেতে। বাড়িতে প্রচুর কাজ রয়েছে। তাই মাকে কষ্ট দিয়েই আমাকে চলে আসতে হয়েছিল। আসলে মায়ের ভালোবাসা অন্য কারো সাথে তুলনা করা যায় না।সকালে কোন রকমের টিফিন খেয়ে বেরিয়ে ছিলাম ।আর বাড়ি ফেরার সময় মা একটা বিস্কুটের প্যাকেট আর জলের বোতল কিনে দিয়েছিল। সেটা খেতে খেতে বাসে উঠে পড়েছিলাম। বাস একদমই ফাঁকা ছিল ।তাই বাসে উঠেই বসার জায়গা পেয়ে গিয়েছিলাম। অতটা রাস্তা দাঁড়িয়ে আছে ভীষণ কষ্ট হয়। আমার বাপের বাড়ি রাস্তাতেই আমাদের সমস্ত আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি পরে ।আমার শ্বশুর বাড়ি একই রাস্তায়। যাই হোক খানিকটা আসবার পরেই দেখ P.W.D. বলে একটা জায়গা রয়েছে সেখানে থেকে আমার মামাশ্বশুরের মেয়ে বাসে উঠছে।
সে তো আমাকে দেখে একেবারে অবাক হয়ে গেছে। আমাকে দেখেই মহা আনন্দ বলছে বৌদি চলো আমাদের বাড়িতে। আজকে তোমাকে যেতেই হবে।খুব জোরাজুরি করছিল। আমি কোনো রকমে বোঝালাম যে অন্য কোন সময় বেড়াতে আসবো। আসলে বিয়ের পর থেকে সেভাবে কারোর বাড়িতেই যাওয়া হয়ে ওঠেনি। শ্বশুরবাড়ির প্রত্যেকে আমাকে ভীষণ ভালোবাসে। যাইহোক দুটো টপিসের পরেই আমার মামাশ্বশুরের বাড়ি সেখানে মামাশ্বশুরের মেয়ে নেমে যাবে ও কলেজ করে বাড়ি ফিরছিল। তারপরে মামাশ্বশুরের মেয়ে বাস থেকে নেমে গেল। আবারো একা হয়ে গেলাম এরপরে খানিকটা আসার পরে আকাশে কালো মেঘ। এদিকে দিদা ,বোন বারবার ফোন করছে ।কারণ ঠিকঠাক বাড়ি পৌঁছাতে না পারলে সকলেই দুশ্চিন্তা।
খানিকটা এসে দেখি ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে। বৃষ্টি ভেজা প্রকৃতি দেখতে ভালোই লাগে ।এবারের বৃষ্টিতে চাষবাসের প্রচণ্ড ক্ষতি হয়ে গেছে। বাস থেকে আসতে আসতেই চাষের সমস্ত জমি দেখতে দেখতে আসি ।অনেকে আবার শীতের ফসল লাগানো শুরু করে দিয়েছে। যাই হোক বাড়ির কাছাকাছি এসে দেখি খুব একটা বৃষ্টি হচ্ছে না তবে ফিসফিস করে বৃষ্টি পড়ছিল। অন্যান্য দিকে এত বৃষ্টি হচ্ছিল যে বৃষ্টির জল বাসের সিটে পড়ছিল। তাই অর্ধেক রাস্তা আসবার পর দাঁড়িয়ে আস্তে হয়েছিল।সে দিন কে যাওয়ার সময় অনেকে গিয়েছিলাম তাই কোন অসুবিধা হয়নি। যাই হোক খুব ভালোভাবে বাড়ি পৌঁছে গিয়েছিলাম। কিন্তু মনটা ভীষণ খারাপ ছিল। কারণ বাড়িতে যেতে পারলে আর একটু ভালো হতো মায়ের খুব ভালো লাগতো। এই ছিল আমার বাড়ি ফেরার মূহুর্ত।
আজ এই পর্যন্তই। আবার অন্য কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হব আগামীকাল। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
Thank you 🙏