জন্মদিনের উপহার কিনতে যাওয়ার মূহুর্ত
নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন ?আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আজকে আবারো নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে আশা করছি সকলেরই ভালো লাগবে।
আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব পাশের বাড়ির জন্য জন্মদিনের উপহার কিনতে যাওয়ার মুহূর্ত। গতকালকে আমাদের পাড়ার একটা বাচ্চা ছেলের জন্মদিন ছিল ।সেই উপলক্ষেই গতকালকে উপহার কিনতে যাওয়া। গতকাল সকালবেলায় ঘুম থেকে ওঠা মাত্রই শাশুড়ি মা বলল আমার আর আমার বরের দুজনেই নাকি রাত্রিবেলায় জন্মদিনের নিমন্তন্ন রয়েছে। আমি যেহেতু পাশের বাড়ি ওদের সাথে কথা বলি না। তাই প্রথমে আমাকে বলতে ইতস্তত বোধ করছিল। কিন্তু আমাকে সকালে জিজ্ঞেস করেছিল আমি ওদের বাড়িতে যাব কিনা। আমি সকাল বেলাতেই বারণ করে দিয়েছিলাম ।আমি যাব না। কারণ আমি যাদের সাথে কথা বলি না তাদের বাড়িতে যেতে ভালো লাগে না। পাড়ায় প্রতিবেশী থাকলে একটু আধটু কথা কাটাকাটি ঝামেলা অশান্তি লেগেই থাকে। আমার সাথে ও তেমন কিছু হয়েছিল। আমার বর, শশুর, শাশুড়ি সকলেই কথা বলে।আমি যেহেতু এই পাড়ারই মেয়ে তাই এ পাড়ার সকলে আমাকে চেনে।সকলের বাড়িতে কিছু হলেই তারা নেমন্তন্ন করতে আসে ।কিন্তু সেদিনের ঝামেলায় আমার কোন ভুল ছিল না। ওরা পরে বুঝতে পেরেছে। কিন্তু কোন বাজে কথা মানুষের মুখ থেকে বলে তাকে কষ্ট দিয়ে সেটা ফিরিয়ে নেওয়া যায় না। আমার কোন বাজে কথা মনের ভিতর ভীষণ আঘাত লাগে।
যেহেতু ছোট বাচ্চা তাই আমি আমার বরকে জোর করে বলেছিলাম যেতে । কিন্তু কোন জিনিস কেনা হয়নি ।আর কাউকে পাচ্ছিলাম না উপহার কিনতে যাওয়ার জন্য। আমার বরের সন্ধ্যা বেলাতে কাজ পড়ে গিয়েছিল। ও হঠাৎ করে বেরিয়ে গিয়েছিল। এরপর আমি যখন রেডি হয়ে মামার বাড়িতে গিয়েছিলাম। তখন দেখছিলাম পাশের বাড়ি এক মাসি সে যাচ্ছে কিছু কেনাকাটা করার জন্য। তখন তাকে বললাম আমার জন্য একটু অপেক্ষা করতে আমিও তার সাথে গিয়ে কিছু একটা জিনিস কিনে নিয়ে আসব ।বাচ্চাদের হাতে টাকা দিতে একদম বাজে লাগে। তাই তাদের উপহার দেওয়াটাই সবথেকে ভালো জিনিস।আর উপহার পেলে বাচ্চারা ভীষণ খুশি হয়।তাই সন্ধ্যার পর আমি আর মাসি দুজনে বেরিয়ে পড়েছিলাম মাসি তার কিছু প্রয়োজনীয় দরকারি কাজ সেরে নিয়েছিল । এরপর চলে গিয়েছিলাম জামা কাপড়ের দোকানে।
সেখান থেকেই বাচ্চাটির জন্য একটা প্যান্ট আর শার্ট নিয়েছিলাম। দোকানটি আমার পরিচিত ।তাই খুব দেরি হয়নি ।আবারও ওখান থেকে আমি আর মাসি টোটো করে রওনা দিয়েছিলাম বাড়ির উদ্দেশ্যে। বাড়িতে এসে আমার বর তো কাজ থেকে ফিরতে অনেকটাই দেরি করে ফেলেছিল ।রাত্রি তখন বাজে প্রায় সাড়ে এগারোটা। হয়তো ওদের অনুষ্ঠান শেষের মুহূর্ত ।এর পরে বাড়িতে এসে বর আমাকে যাওয়ার জন্য জোড়াজুড়ি করতে থাকে। মানুষের বাড়িতে অত রাতে যেতে নিজের ভীষণ লজ্জা লাগে। তবুও শাশুড়ি মা বকাবকি করে বরকে পাঠিয়েছিল রাত্রিতে নিমন্তন্ন খাবার জন্য। অনেকটাই রাত হয়ে গিয়েছিল বর যেতেও চাইছিল না।আমার বরের সময় জ্ঞান নেই বললেই চলে।
যাই হোক সকালবেলায় শুনলাম খুব ভালো খাবার খাইয়েছে। বাচ্চাটি কিছুদিন আগে আমার কাছে টিউশন পড়তো ।ওর মা বয়সে আমার থেকে ছোট। ওর অনেক দিনেরই ইচ্ছে বড় করে ছেলের জন্মদিন পালন করবে। যাই হোক ওর মায়ের অনেকদিনের ইচ্ছেটা পূরণ হলো দেখে আমারও ভীষণ ভালো লেগেছে। সকলের মায়েদের সন্তানদের নিয়ে অনেক ইচ্ছে থাকে। অনেকের ইচ্ছে পূরণ হয়। আবার অনেকের ইচ্ছে পূরণ হয় না। বাচ্চাটি যখন জন্মেছিল সেই বছরে দিন টি ছিল জন্মাষ্টমীর দিন । জন্মাষ্টমীর দিন হয়েছিল বলে ওর নাম কৃষ্ণ। কিন্তু দেখতে কিন্তু ও কৃষ্ণের মতোই কালো। সেই জন্যই আমার বাচ্চাটিকে আরো বেশি ভালো লাগে।
আজ এই পর্যন্তই ।আবার অন্য কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হবো আগামীকাল ।সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।