দিদাকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে যাওয়া
নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন ?আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আজকে আবারো নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে আশা করি সকলের ভালো লাগবে।
বেশ কিছুদিন ধরেই প্রচন্ড বৃষ্টিতে মানুষকে অতিষ্ট করে তুলে ছিল। ঠিক তেমনি এখন দিনের বেলাতে বেশ কিছু দিন ধরে এত রোদের তাপ যে মানুষকে গরমে অতিষ্ঠ করে তুলছে। গত দুদিন ধরেই প্রচন্ড গরমে ভীষণই কষ্ট হচ্ছিল। শরতের আকাশে মেঘ পেঁজা তুলোর মত উড়ে বেড়াচ্ছে। দেখতে ভারী সুন্দর লাগছে। কিন্তু তারই মাঝে রোদের প্রচণ্ড তাপ মানুষকে বিরক্ত করে তুলছে। এই গরমে হাত থেকে রেহাই পেতে গত রাতে প্রচন্ড বৃষ্টি, ঝড়, বজ্রপাত সহ সমস্ত কিছুই হয়ে মানুষকে একটু জন্য হলেও স্বস্তি এনে দিয়েছে। আজ সকাল থেকেই কখনো প্রচন্ড কড়া রোদ ।আবার তারই মাঝে শরতের আকাশে কালো মেঘ উঁকি দিয়ে বেড়াচ্ছে। সময় পেলেই আবারো জমজমিয়ে চলে আসবে। যাই হোক এই মেঘ বৃষ্টি খেলা দেখতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। এরই মাঝে গত রাত থেকে দিদার প্রচন্ড দাঁতে ব্যথা।
তাই ওনাকে নিয়ে সকালবেলায় ডাক্তার দেখাতে যাবার কথা ছিল ।আমার একটা জিনিস ভীষণ আশ্চর্য লাগে ।যার দুটো ছেলের বউ রয়েছে। কেউ শাশুড়ির সাথে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যায় না। জানি না ওরা কেন এমনটা করে। কিন্তু যখন নিজের মায়ের কিছু হয় তখন ছুটে যায়। এই বিষয় গুলো কিছু কিছু মেয়েদের মধ্যে থাকে না কিন্তু আমার ক্ষেত্রে আমি আমার শাশুড়ি মা, মা সকলকেই সমান চোখে দেখি। আমার মনে হয় সকলকেই দেখা উচিত। দিদা যতদিন থেকে অসুস্থ হয়েছে উনাকে আমি দেখে আসছি। মাঝে মাঝে নিজেরও মন, শরীর ভালো থাকে না ।তাই যেতে ইচ্ছে না। না করলেও বাধ্য হয়ে যেতে হয়। আজকে সকালে খাবার খেয়ে বেলা বারোটা নাগাদ দিদাকে নিয়ে গিয়েছিলাম দাঁতের ডাক্তার দেখাতে।
ছোটমামা বাড়িতে নেই। না হলে ছোট মামা নিয়ে যাই। ওই ডাক্তার খানায় প্রচন্ড ভিড় হয়। ওখানে নাম লেখানো কোন তারা থাকে না। ওই ডাক্তার বাবু একটু কম টাকা নেয়। তাই ওই এলাকার সমস্ত মানুষ উনার কাছে আসে ডাক্তার দেখানোর জন্য। আসলে কিছু কিছু ডাক্তার প্রচুর ভিজিট নেয় ।আবার প্রচুর টাকার ওষুধ লেখে ।এগুলো গরিব মানুষের পক্ষে সত্যিই অসম্ভব ।কিন্তু এখনো এমন কিছু ডক্টর রয়েছে গরীবের জন্য উনি ভগবান। ওই ডাক্তারবাবুর কাছ থেকে দিদা বেশ কয়েকটা দাঁত এর আগে তুলেছে। এছাড়া মামা, আমি সকলে ওনার কাছে থেকে দাঁত তুলেছি।ডাক্তারবাবু খুবই ভালো মানুষ। উনার কাছে যাওয়া মাত্রই দেখি প্রচণ্ড ভিড়। খানিকক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলাম।
সকলে বসে আছে দাঁত তোলার জন্য। যেহেতু উনি দাঁত তুলতে কোন টাকা নেন না। শুধুমাত্র ঔষধের দাম নেন। আমার খুবই চেনা একজন ডাক্তারবাবু। অনেক দিন বাদে উনার কাছে গিয়ে আমারও বেশ ভালো লাগলো। মানুষের ভিড়ে মানুষ মানুষকে মনে রাখা এটাই অনেক বড়। যাইহোক আমাকে দেখেই উনি চিনতে পেরে গিয়েছিলেন। আমার দিদা কেও উনি চেনেন। এর আগে বহুবার আমি দিদাকে সাথে করে নিয়ে গিয়েছি। দিদাকে দেখা মাত্রই উনার দাঁত দেখে উনি সমস্ত মেডিসিন দিয়ে দিল ।আর ডেট জানিয়ে দিল দাঁত তুলতে যাওয়ার জন্য। যাইহোক ডক্টর দেখানোর পর আমি আর দিদার দুজনেই ওখান থেকে টোটো ধরে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। আমাদের বাড়ি থেকে পাঁচ থেকে সাত মিনিটে রাস্তা।
আকাশে কালো মেঘের দিকে আরো হুটো পাটা করছিলাম ।যদি ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি চলে আসে তাহলে আবার ভিজতে ভিজতে আসতে হবে। যাই হোক আমরা বাড়িতে ঢোকার পর একটু টিপটিপ করে বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। এই ছিল আজকে আমার দিদাকে নিয়ে ডক্টর দেখাতে যাওয়া মুহূর্ত আপনাদের মাঝে শেয়ার করে নিলাম।
আজ এই পর্যন্তই ।আবারো নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হব আগামীকাল ।সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।