পাগলা খালি তে সকলের সাথে কাটানো কিছু মুহূর্ত
নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন ?আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আজকে আবারো নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে আশা করছি সকলেরই ভালো লাগবে।
বেশ কিছুদিন ধরে আপনাদের মাঝে পাগলা খালিতে যাওয়ার বিভিন্ন রকমের পোস্ট শেয়ার করছি। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে পাগলা খালি তে গিয়ে বেশ খানিকটা সময় কাটিয়ে ছিলাম। এ বছর অনেকজন মিলে গিয়েছি বলে মুহূর্তগুলো একটু অন্যরকম হয়েছিল। নিজেদের চেনা পরিচিত লোকজনের সাথে কোথাও গেলে সেখানকার আনন্দ আরো দ্বিগুণ বেড়ে যায়। ওখানকার সবরকম পোস্টই আপনাদের মাঝে শেয়ার করে ফেলেছি ।আজকে শেয়ার করব পাগলা খালিতে কাটানো কিছুক্ষণের ভালো মুহূর্ত। সেদিন পুজো দেওয়ার পর আমাদের খানিকক্ষণ বসে থাকতে হয়েছিল। কারণ ওখানে সকলের জন্য খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করেছিল। যেহেতু মামা বেশ কিছু টাকা অনুদান হিসেবে দিয়েছিল। তাই আমাদের জন্য আলাদা করে কিছু খাবার ব্যবস্থা করেছিল ।এ ছাড়া মামা বাড়ি থেকে কিছু টিফিন নিয়ে গিয়েছিল। আমরা সকলে মিলে সেখানে বসে টিফিন গুলো খেয়ে নিয়েছিলাম।
এরপর শুরু করেছিলাম মামার মেয়েকে নিয়ে সকলের মজা করা ।কারণ আমরা সেভাবে মেজ মামার বাড়িতে যায় না। মেজ মামা দিদার বাড়ির পিছনে কয়েকটা বাড়ির পর জায়গা কিনে আলাদা নিজের মতো করে বাড়ি করেছে। তাই সেভাবে মেজ মামার বাড়িতে যাওয়া হয়ে ওঠে না। আমরা যখনই যাই তখনই দিদার কাছে গিয়ে উঠি। তাই মেজ মামার মেয়ে আমাদের খুব একটা চেনে না। বাচ্চা হলেও আমাদের চিনতে গিয়ে একটু অস্বস্থি তে পড়ে গিয়েছিল। বেশ খানিকক্ষণ সকলকে খুব ভালো করে দেখে নিয়েছিল। তারপর আমাদের সাথে খেলা শুরু করেছিল। আমরাও ওকে নিয়ে ভীষণ মজা করছিলাম ।একবার আমার সাথে ছবি তুলছে একবার বড় মামার সাথে এইভাবে সকলের সাথে ছবি তোলা শুরু করছিলাম।
এইরকম ভাবে বেশ খানিকক্ষণ মজা করার পর চলে গিয়েছিলাম পাশে রয়েছে একটা ছোট্ট চুন্নি নদী। সেখানে গতবার গিয়ে নৌকা করে অনেকটা নদী ঘুরে বেড়িয়েছিলাম। কিন্তু এ বছরে বর্ষায় নদীতে প্রচন্ড জল বেড়ে গিয়েছে। তাই নৌকাতে ওঠার সাহস হয়নি। নদীর ধারে বেশ কিছু ছবি তুলে নিয়েছিলাম। নদীর ধারে শান্ত পরিবেশ দেখতে ভীষণ ভালো লাগছিল। এছাড়া অনেকেই নৌকো করে ঘুরে বেড়াচ্ছিল ।এরপর আমাদের দুপুরের খাবার সময় হয়ে গিয়েছিল ।তাই হুটো পাটা করে এসে খেতে বসেছিলাম। আমাদের জন্য ওরা ডাল ,ভাত, চচ্চড়ি খাওয়ার আয়োজন করেছিল। দুপুর বেলায় ভীষণ খিদে পেয়েছিল ।তাই সকলে মিলে খুব তৃপ্তি করে খেয়ে নিয়েছিলাম।
আগে যতবার গিয়েছি ফাঁকা মাঠের মধ্যে বসে খেতে হয়েছিল। কিন্তু এবারে গিয়ে দেখলাম চারিদিকে বেশ ভালো ভালো বসার জায়গা, থাকার জায়গা সমস্ত কিছুই তৈরি করা হয়েছে ।তাই খেতে বসেও কোনো রকমে অসুবিধা হয়নি। আমরা প্রথমে গিয়েই একটা ঘরে সকলে মিলে বসে ছিলাম। বাড়ি থেকে যাওয়ার সময় আমরা সকলে টিফিন কৌটো নিয়ে গিয়েছিলাম সেখানে ঠাকুরের ভোগ পায়েস, খিচুড়ি সমস্ত কিছু আমাদের দিয়ে দিয়েছিল। খাওয়া দাওয়া শেষ হয়ে গেলে মন্দিরে চারপাশটা একদম ফাঁকা হয়ে যায়। এ বছরে এমনি লোক একদম কম ছিল ।কিন্তু খাওয়া দাওয়ার সময় দেখলাম প্রচুর লোকজনের ভিড় ছিল। খিচুড়ি দেওয়া শেষ হয়ে গেলে সকলে আমরা যেখানে খাচ্ছিলাম সেখানে এসে হাজির হয়েছিল লোকজন ভাত খাওয়ার জন্য। আমাদের সমস্ত কিছু কমপ্লিট হয়ে গেলে এরপরে ছিল বাড়ি আসার পালা।
এবারে সমস্ত কিছু গুছিয়ে নিয়ে আমরা বাড়ি আসার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম ।বাড়ি আসার প্রস্তুতি পর্ব আগামীকাল আপনাদের মাঝে শেয়ার করে নেব। সকলে ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।
Congratulations!! Your post has been upvoted through steemcurator04. We encourage you to publish creative and high-quality content, giving you a chance to receive valuable upvotes.
Thank you 🙏