পূজো দিতে যাওয়ার প্রস্তুতি
নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন? আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আজকে আবারো নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে আশা করছি সকলেরই ভালো লাগবে।
আজ সোমবার। সকাল থেকে খুব কড়া রোদ ছিল। এই রোদ গরমে কোথাও যেতে ভীষণ কষ্ট হয়। মামার বাড়িতে অনেকদিন ধরে আলোচনা হচ্ছিল আজকের দিনে মেজো মামার মেয়ের জন্য পাগলা খালি তে পুজো দিতে যাবার। সনাতন ধর্মে যখন একটা সন্তান জন্মায় ছেলে অথবা মেয়ে সন্তান জন্মানোর পর অনেক নিয়ম কানুন থাকে। ঠিক যেমন পাঁচ মাস বয়সের প্রসাদ খাওয়ানো। এরপর ১৮ মাস বয়সে ঠাকুরের কাছে মাথা চুল দেওয়ার। এই মাসে আমার মেজো মামার মেয়ে ১৮ মাস পূর্ণ হল। তাই আমরা সকলে মিলে যাওয়ার কথা ছিল পাগলা খালিতে। সেখানে নাম করা মহাদেবের মন্দির রয়েছে।মেজ মামার মেয়ের মাথা চুল মানুষের দেওয়ার জন্য। এই নিয়মটা আমার দিদাদের আমল থেকে চলে আসছে। কিন্তু আমার দিদা তার প্রত্যেকটা ছেলে মেয়ের যেখানে মাথার চুল দিয়েছে কিংবা প্রসাদ খাইয়েছে মেজ মামা কোনটাই করেনি। মানে মামা বাড়ির কাছেই সেই মন্দিরে বোনের প্রসাদ খাইয়েছিল। এছাড়া বাড়ির কাছাকাছি পাগলা খালিতে বোনের মাথার চুল দিয়ে আসবে বলেছিল।
এই পুজো দিতে যাওয়ার প্রস্তুতিপর্ব ছিল আজকে। আমি বেশ কিছু পোস্টে আপনাদের মাঝে শেয়ার করি কোথাও যাওয়ার কথা শুনলেই আমার রাতে ঠিকঠাক ঘুম হয় না ।গতকালকেও ঠিক তেমনই হয়েছিল। গতকাল ছিল চন্দ্রগ্রহণ। কিন্তু আমাদের এখানে আকাশ মেঘলা থাকার কারণে গ্রহণ দেখতে পাইনি। গতকালকে কাজ শেষ করে ঘুমিয়েছি প্রায় তখন রাত দেড়টা ।সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে পড়েছিলাম । সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে স্নান সেরে নিয়েছিলাম। স্নান করার পর বাড়ির বাগানে বিভিন্ন রকমের ফুল ছিল। সেগুলো তুলে নিয়েছিলাম পূজো দিতে গেলে অনেক ফুল লাগে। তাই বিভিন্ন রকমের ফুল জোগাড় করে নিয়েছিলাম। শিব ঠাকুর পুজো করতে বিশেষ করে আকন্দ ফুল , ধুতরা ফুল,বেলপাতা এছাড়া দুধ ,গঙ্গার জল দিলে মহাদেব সন্তুষ্ট। বিশেষ কিছু জিনিসপত্র লাগে না।
এরপর সকাল ন'টা নাগাদ আমি রেডি হয়ে চলে গিয়েছিলাম আমার মামার বাড়িতে। সকাল সাড়ে নটা নাগাদ বাড়ি থেকে বের হবার কথা ছিল ।কিন্তু পুজো দিতে যাবার আগে ছোট্ট একটা দুর্ঘটনা ঘটে যায়। সেই জন্য যেতে একটু দেরি হয়ে যায়। দুর্ঘটনা আপনাদের মাঝে পরে শেয়ার করে নেব। মামার বাড়ি থেকে প্রায় সকলেই গিয়েছিল শুধুমাত্র বড় মামী বাদ দিয়ে। আমি, আমার দুই বোন, বড় মামা, ছোট মামা বড় মামার মেয়ে, এ ছাড়া মেজো মামা ,মেজ মামি মামির বাবা ,বোন আর মামীর এক ভাই। মোট ১৫ জন গিয়েছিলাম আজকে পূজো দেওয়ার জন্য। মামার বাড়িতে গিয়ে দেখি তখন ও গাড়ি এসে হাজির হয়নি। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর গাড়ি এসে হাজির হলো।
মামা সকলে যাওয়ার জন্য দুটো গাড়ি করেছিল। এরপর সকাল দশটা নাগাদ আমরা পাগলা বাবার নাম করে সকলে বেরিয়ে পড়েছিলাম পুজো দিতে যাওয়ার জন্য। পাগলা খালি যাওয়ার উদ্দেশ্যে। কোথাও যাওয়ার কথা শুনলে সকলেরই তাড়াহুড়ো লেগে যায়। এছাড়াও আমার বোনদের সাজুগুজু করতে একটু বেশি সময় লেগে যায়। মন্দিরটি একদম গ্রামের ভিতরে মন্দির সম্পর্কে আপনাদের সাথে পরের পোস্টে সমস্ত বৃত্তান্ত শেয়ার করে নেব। যাই হোক সকলে মিলে একসাথে গাড়িতে গল্প করতে করতে যেতে বেশ ভালো লাগে ।সকলে মিলে ভীষণ মজা করতে করতে পুজো দিতে যাওয়া হয়েছিল। বাদবাকি অংশ পরের পোস্টে শেয়ার করে নেব।
আজ এই পর্যন্তই ।আবারো নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হবো আগামীকাল। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
