লোকনাথ বাবার মন্দিরে
নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন ?আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আজকে আবারো নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে আশা করছি সকলেরই ভালো।
গতকাল ছিল জন্মাষ্টমী। আপনাদের মাঝে জন্মাষ্টমীর কিছু মুহূর্ত শেয়ার করে নিয়েছিলাম। গতকাল যেমন জন্মাষ্টমী অনুষ্ঠান ছিল। ঠিক তেমনি বাবা ব্রহ্মচারী লোকনাথ বাবার ও জন্মদিন ছিল। ওই একই তিথিতে ব্রহ্মচারি লোকনাথ বাবার জন্মদিন। ওই একই দিনে লোকনাথ বাবার ভক্তরা লোকনাথ বাবার জন্মদিন পালন করে। বাবা লোকনাথ ছিলেন মহাদেবের অবতার। আমাদের বাড়ি থেকে দু তিন মিনিটের পথ। ওখানেই আছে বাবা লোকনাথের মন্দির। কোন বছর জন্মাষ্টমীর দিন সেভাবে যাওয়া হয়ে ওঠে না। কিন্তু এ বছরেই আমার মামা শ্বশুরের মেয়ে বেড়াতে এসেছিল। তাকে নিয়ে বিকেল বেলায় বেশ কিছু জায়গায় জন্মাষ্টমী অনুষ্ঠান দেখতে যাবার কথা ছিল। ছোটবেলায় যখন স্কুলে পড়তাম তখন আমার এক বান্ধবীর বাড়িতে জন্মাষ্টমীর দিন খুব ধুমধাম সহকারে বাবা লোকনাথের জন্মদিন নিয়ে আয়োজন করা হতো। কিন্তু কোন বার যাওয়া হয়ে ওঠেনি।
যাইহোক গতকালকে সন্ধ্যেবেলায় প্রথমেই ঈশা দের
বাড়িতে জন্মাষ্টমী প্রসাদ খেতে গিয়েছিলাম ।কারণ সকাল বেলাতে পুজো শেষ হওয়ার সাথে সাথে বাড়ি চলে এসেছিলাম। পরে আর যাওয়া হয়ে ওঠেনি। তাই সন্ধ্যা বেলায় আমি আর আমার মামাশ্বশুরের মেয়ে দুজনে মিলেই ওদের বাড়িতে বসেই গোপালের পুজোর প্রসাদ খেয়ে নিয়েছিলাম। সন্ধ্যা বেলায় ওদের বাড়িতে গিয়ে সন্ধ্যা আরতি দেখার সুযোগ হয়নি ।আমি যাবার আগেই সন্ধ্যা আরতি করা হয়ে গিয়েছিল ।আসলে বাড়িতে বসেই শুনতে পাচ্ছিলাম গোপালের সন্ধ্যা আরতি। এরপর আমি মামা শ্বশুরের মেয়ে আর আমার বর তিন জন মিলে গিয়েছিলাম বাবা লোকনাথের মন্দিরে। আগের দিন আমার বর লোকনাথ বাবার মন্দিরে টাকা দিয়ে এসেছিল পুজো দেওয়ার জন্য।
মন্দিরে যাওয়া মাত্রই দেখি প্রচন্ড ভিড় ভোগ বিতরণ করা হচ্ছে। এর জন্য পড়েছে লম্বা লাইন। যেহেতু সকলে চেনা জানা। তাই আমাদের ডেকে প্রসাদ দিয়েছিল ।খিচুড়ি, আলুর দম , পায়েস সাথে তালের বড়া। আমাদের প্রসাদ নেওয়ার জন্য লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হয়নি। গরম গরম প্রসাদ নিয়ে বাড়িতে আসা সম্ভব নয়। তবুও সকাল থেকেই দিদা জন্মাষ্টমী প্রসাদ খেতে চেয়েছিল। উনার জন্য একটা প্রসাদের বাটি চেয়ে নিয়েছিলাম। অনেকে আবার দুই থেকে তিনবার করে প্রসাদ চেয়ে চেয়ে নিয়ে যাচ্ছে ।তাই ওখানকার লোকজন প্রচন্ড রেগে গিয়ে বকাবকি করছিল। এছাড়াও পথ চলতি লোকজন যারাই দেখছে সকলেই প্রসাদ নেওয়ার জন্য চলে আসছিল। সকলকেই প্রসাদ দিচ্ছিল। এরপর আমরা দুজনে প্রসাদ নিয়ে চলে এসেছিলাম মামার বাড়িতে ।সেখানে যে যার প্রসাদ খেয়ে নিয়েছিলাম। আর দিদার প্রসাদ দিদাকে দিয়ে ছিলাম।
এরপর ইচ্ছা ছিল আরো কয়েক জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার। কিন্তু গতকাল এত গরম পড়েছিল যে গরমের জন্য আর কোথাও যেতে ইচ্ছে করছিল না। প্রত্যেক বছর জন্মাষ্টমীর দিন ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি হয়। গতকালকে অন্যান্য জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু আমাদের কৃষ্ণনগরে একটু ও বৃষ্টি হয়নি। তাই লোকনাথ বাবার মন্দির খানিকক্ষণ সময় কাটিয়ে আবারো চলে এসেছিলাম বাড়ির উদ্দেশ্যে। বাড়ি থেকে খানিকটা দূরে নতুন গোপাল মন্দির উদ্বোধন করা হয়েছিল। সেখানে যেতে ভীষণ মন চাইছিল। কিন্তু কথাই বলে ভগবান না চাইলে কোন কিছুই সম্ভব নয়। তাই গতকালকে আর গোপালের মন্দিরে যাওয়া হয়ে ওঠেনি। মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে গিয়েছিল। ইচ্ছে আছে অন্য একদিন গোপালের মন্দিরে গিয়ে ঘুরে আসার। গতকালকে জন্মাষ্টমী সন্ধ্যা বেলাটা এইভাবেই কাটিয়েছিলাম।
আজ এইখানেই শেষ করছি। আবারো নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
Thank you 🙏