ঈশার সাথে জুয়েলারির দোকানে
নমস্কার বন্ধুরা,সকলে কেমন আছেন? আশা করছি সকলেই ভালো আছেন আজকে আবারও নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে। আশা করি সকলেরই ভালো লাগবে।
আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বেশ কিছুদিন আগে দুপুরবেলায় হঠাৎ করে বেরিয়ে যাওয়ার কিছু মুহূর্ত। সেদিন সারাদিন ধরেই কমবেশি বৃষ্টি হচ্ছিল। কিন্তু দুপুরবেলায় হঠাৎ করে একটু বৃষ্টি থেমেছিল। সেদিন কাজের ও প্রচন্ড চাপ ছিল। হুটো পাটা করে দুপুর বেলায় সবে কাজ শেষ করে উঠেছিলাম। ঠিক তখনই ঈশা ফোন করে বলল বৌদি আমার সাথে একটু বেরোবে। আমি বেশ কিছু পোস্টেই আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি, ঈশা কোথাও যাবার কথা বললে আমি একদমই না করতে পারি না। তাই সেদিনও না করতে পারিনি। সবেমাত্র মাটির কাজ করে উঠে ভেবেছিলাম খাওয়া-দাওয়া সেরে একটু রেস্ট নেব। তারপরে বাচ্চাগুলো পড়তে আসবে তাদের পড়াবো। কিন্তু তা আর হয়নি। কাজ সেরে উঠে হুটো পাটা করে খেয়ে নিয়েছিলাম। পেট ভর্তি করে খাওয়ার পর শরীর একদম হাঁসফাঁস করে। না কোথাও যাওয়া যায়। আর না শান্তিতে ঘোরা যায়।
তবুও সেদিন ওর পাল্লায় পড়ে বেরিয়ে পড়েছিলাম। ও প্রথমে বলেছিল অন্য এক জায়গায় যাওয়ার কথা। কিন্তু সেদিন সোজা চলে গিয়েছিল জুয়েলারির দোকানে । ঈশা যেমন টুকটাক গয়না কেনে ।তেমনি দেখতেও বেশ পছন্দ করে। আমার সবসময় কেনার ক্ষমতা না থাকলেও ঈশার সাথে গিয়ে গয়না গুলো দেখতে ভালোই লাগে। যাই হোক দোকানে গিয়ে প্রচুর কালেকশন দেখাচ্ছিল। প্রথমে আংটির কালেকশন দেখে একটা আংটি পছন্দ হয়েছিল। অনেকদিন ধরেই বলছিল ওর একটা পুরনো আংটি রয়েছে সেটা চেঞ্জ করে আর একটা আংটি নেবে ।ওর আমার দুজনেরই একই আংটি রয়েছে। আমি বলেছিলাম তুমি আগে চেঞ্জ করো ।তারপরে আমি আমারটা চেঞ্জ করে নেব । কিছু দিন আগে দুজনে একই দোকান থেকে কিনেছিলাম।
কিন্তু সেদিন আমি আংটি নিতে বারণ করছিলাম। বলেছিলাম ডায়মন্ডের কোন জিনিস নিতে। তাই ও আমার কথা শুনে কানের দুল এর প্রচুর কালেকশন দেখছিল। আমাদের দুজনেরই মোটামুটি পছন্দ হয়ে গিয়েছিল। শেষে বাড়িতে যখন ফোন করে জিজ্ঞেস করল তখন বকাবকি করছিল। কারণ কানের দুল গুলো একদমই ছোট ছোট । বাড়িতে সময় পড়ার জন্য ভালো।তাই ওর বাড়ি থেকে বলল ছোট কানের নিয়ে কোনো লাভ নেই। যখন নেওয়া হবে পরে বড় দেখে নেওয়া হবে। তাই ডায়মন্ডের কানের দুল আর নেওয়া হয়নি। প্রথমে গিয়ে যে আংটিটা পছন্দ করেছিল সেটাই নিয়েছিল। এরপর ও আংটিটা দিয়ে যেহেতু চেঞ্জ করবে তাই অনেকটা সময় লেগে গিয়েছিল।
আমি বাড়ি থেকে দুপুরের খাবার খেয়ে রওনা দিয়েছিলাম। তাই ওর সাথে বেশি হাঁটাহাঁটি করতে পারিনি ।এক জায়গায় বসেই ছিলাম। এরপর দোকান থেকে আমাদের দুজনকে দুটো জলের বোতল দিয়েছিল ।কিন্তু জল আমরা খাইনি। এরপর আমাদের জিজ্ঞেস করেছিল কফি খাওয়ার জন্য। দুজনেই কফি খেয়েছিলাম ।ভাত খাওয়ার পর কফি খেতে একটু সঙ্কোচ বোধ করছিলাম। কিন্তু পরে কফিটা খেয়ে খুব ভালো লেগেছিল। এদিকে বাড়ি ফেরার তারা ছিল। কারণ বাড়িতে বাচ্চাগুলো পড়তে আসবে। সেদিন দোকানে প্রায় চারটে বেজে গিয়েছিল আংটি নিতে। পুরোনো আংটিটা আমার সামনে গলানো হলো। প্রায় অনেকটাই দেড়ি হয়ে গিয়েছিল।যেকোনো বড় দোকানে গেলে তার কাগজপত্র রেডি করতেই অনেকটা সময় নিয়ে নেয়। সেদিন সম্পূর্ণ টাকা দেওয়া হয়নি বলে তাই আংটিটা আনা হয়নি কিছু টাকা বাকি ছিল সেটা দিয়ে আবার পরের দিনকে গিয়ে আংটিটা নিয়ে এসেছিল।
আজ এই পর্যন্তই। পরের অংশটুকু অন্য কোন পোস্টে শেয়ার করে নেব। সকলে ভালো থাকুন ,সুস্থ থাকুন।