পাগলা খালি তে পৌঁছে ঘোরাঘুরি
নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন ?আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আবারো নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে আশা করছি সকলের ভালো লাগবে।
সেদিন পাগলা খালি মন্দিরে পৌঁছানো মাত্রই দেখলাম সমস্ত মন্দির প্রাঙ্গণ একদম অন্যরকম হয়ে গেছে। আমি গিয়েছিলাম প্রায় বছর দুয়েক আগে তখন অন্যরকম ছিল ।এখন দূর দূরান্ত থেকে বহু ভক্তরা আসে পুজো দিতে।তাদের মনস্কামনা পূর্ণ হলে তারা যে যেরকম পারে অনুদান দেয় ।সেগুলো দিয়েই হয়তো মন্দিরটি বিরাট করে তৈরি করা হয়েছে। তবে দেখতে খুব সুন্দর লাগছে। আমরা যখন প্রথম প্রথম গিয়েছি ভীষণ কষ্ট পেতে হয়েছে। কিন্তু এখন সে রকম কষ্ট পেতে হয় না। আমরা যাওয়া মাত্রই মন্দিরের চারপাশটা ঘুরে দেখলাম। পুরো মন্দিরটি অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে। আগে কখনোই দেখতাম না বটগাছ তলায় বিভিন্ন সাধুদের বসে থাকতে। কিন্তু এবার মন্দিরের চারপাশটা একদমই অন্যরকম লাগলো। বেশ জমজমাট পরিবেশ।
তবে এই বছরে যেটা ভালো লাগলো একদমই ভিড় ছিল না।ওখানকার সকলের মুখে শুনলাম ভাদ্র মাসে আর চৈত্র মাসে নাকি ভিড় একটু কম থাকে। অন্যান্য সময় ভিড়ে ঠেলাঠেলি লেগে যায়।তাই এ বছরে একদম ফাঁকা ফাঁকা। পুজো দিতে খুব ভালো লেগেছে। না হলে একদম মন্দিরের ভিতরে ঢোকা অসম্ভব হয়ে যায়। ভিড়ের মধ্যে চুরি পর্যন্ত হয়।বছর দুয়েক আগে গিয়ে আমরা মন্দিরের বাইরে বসে খাওয়া দাওয়া করেছিলাম। কিন্তু এ বছরে এক বিরাট ঘর তৈরি করা হয়েছে। সমস্ত ভক্তদের বসে খিচুড়ি খাওয়ানোর জন্য। এ বছরে দেখলাম মাত্র এক জায়গায় খিচুড়ি রান্না হচ্ছিল। কিন্তু অন্য বারে গিয়ে দেখেছিলাম যে যেমন পারে বিভিন্ন জায়গাতে খিচুড়ি রান্না করছিল। কিন্তু আমার মনে হয় পুজোর জায়গাতেই একটু ফাঁকা ফাঁকা ভাবে পুজো দিয়ে শান্তি পাওয়া যায় ।ভিড় হলে সবদিক থেকেই ভীষণ অসুবিধা হয়।
আমাদের গাড়িটা আগে গিয়ে ছিল। তাই আমরা কয়েকজন আগে পৌঁছে গিয়েছিলাম ।আর মামাদের গাড়িটা পিছনে ছিল ।তাই মামারা বোনকে নিয়ে বেশ খানিকক্ষণ পর পৌঁছেছিল। মন্দিরের সামনে বেশ কয়েকজন বসে কীর্তন করছিল। তবে এত উন্নতি দেখে খুবই ভালো লাগলো। সময়ের সাথে সাথে সব কিছুর পরিবর্তন হচ্ছে। এটা দেখে ভালো লাগছিল ।তবে মন্দিরের যখনই একটু উন্নতি হয়। তখনই দেখি সব কিছুর প্রতি ভক্তি কমে যায়। কারণ সেই জায়গাটাই টাকা ইনকামের জন্য তৈরি হয়ে যায়। আমার আগে গিয়ে যতটা ভালো লেগেছিল। কিন্তু এবারে গিয়ে ততটা ভালো লাগেনি।
চারিদিকে দোকান বসে ছিল পুজোর ডালা বিক্রি করার জন্য ।সেখান থেকে মা, দিদা সকলে মিলে পূজোর ডালা কিনে নিয়েছিল পুজো দেওয়ার জন্য। এখন সমস্ত তীর্থস্থানের একটু নামকরা হয়ে গেলেই সেখানে মানুষজন যে যেভাবে পারে টাকা ইনকামের জন্য তৈরি থাকে। কিভাবে মানুষের ঠকাবে কিভাবে টাকা ইনকাম করবে এইসব নিয়ে মানুষ ব্যস্ত হয়ে পড়ে থাকে। পাগলা খালি তে প্রত্যেক সোমবার আর বৃহস্পতিবার পুজো দেওয়ার জন্য ভিড় জমে। এছাড়া অন্যান্য দিন পুজো হয় কিনা জানা নেই। মন্দিরের বাইরে এবারে দেখলাম প্রচুর ভিখারী ছিল। কিন্তু এগুলো কিছুই জানা ছিলো না। তাই ওনাদের জন্য কিছুই নিয়ে যাওয়া হয়নি। তবে ইচ্ছে আছে পরের বার থেকে ওনাদের জন্য কিছু নিয়ে যাব।
সেদিন পাগলা খালি তে প্রায় সারাদিন কাটিয়েছিলাম। সমস্ত কিছুই আপনাদের মাঝে তুলে ধরব। অনেকে একসাথে কোথাও যেতে যেমন ভালো লাগে। ঠিক তেমনি সময় কাটাতে ও ভালো লাগে। পরের মূহুর্ত অন্য কোন পোস্টে শেয়ার করে নেব।
আজ এইখানেই শেষ করছি। আবার নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হবো আগামীকাল।সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।