পাগলা খালি তে পুজো দেওয়ার মুহূর্ত

in Incredible India9 days ago (edited)

নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন? আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আজকে আবারো নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে আশা করি সকলেরই ভালো লাগবে।

IMG-20250909-WA0030.jpg

আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব পুজো দেওয়ার মুহূর্ত।মেজো মামার মেয়ের অর্থাৎ বোনের আঠারো মাসের পর মাথার চুল দিতে যাওয়ার জন্য বোনকে এক সপ্তাহ আগেই মাথার চুল বাড়িতে ন্যাড়া করে নিয়েছিল। ওখানে গিয়ে ন্যাড়া করার লোক পাবে কিনা সেই জন্য বাড়ি থেকে ন্যাড়া করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আমাদের হিন্দু ধর্মের প্রত্যেক বাচ্চা ছেলে মেয়েকেই ১৮ মাসের পর মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার নিয়ম রয়েছে।এ বছরে গিয়ে দেখি পাগলা খালিতে কৃষ্ণনগরের প্রচুর লোকজন থাকে। তাই একেবারেই কোনরকম অসুবিধা হয়নি। যাওয়া মাত্রই মেজ মামা ওদের হাতে মামার মেয়ের নামে ৫০০১ টাকা অনুদান তুলে দিয়েছিল। অনুদান দেওয়ার পর ওরা নিজেরাই ভোগ রান্না করে দিয়েছিল ।এর মাঝে আমরা সকলে নিজেদের মতো করে সময় কাটিয়ে ছিলাম।ভোগ রান্না করার পর মামি ,মামা সকলকে ডেকে নিয়ে গেল ঠাকুরকে ভোগ বিতরণ করবে বলে। ওখানকার আসল ঠাকুর হল একটা বটগাছ কে ঘিরে।

IMG_20250916_223346.jpg

এছাড়া এখন বটগাছের চারিদিকে কোথাও শিবলিঙ্গ কোথাও শিব মূর্তি বিভিন্ন রকম দেবতা রাখা আছে। যে যেখানে যেরকম ভাবে পারে সে রকম ভাবে পুজো দেয়। তবে এবার গিয়ে দেখলাম ঠাকুর মশাই নেই। অন্যান্য বার ঠাকুর মশাই থাকে। দিদা মা আর যারা সকলেই গিয়েছিল তারা নিজেরা নিজেদের পুজো দিয়ে দিয়েছিল। আমি এবারে গিয়ে পূজো দিয়নি। শুধু ভগবানকে বলেছি আমার কিছু মনস্কামনা রয়েছে সেগুলো পূর্ণ করার জন্য। আমরা বোন, দিদা , মা,বড় মামা,ছোট মামা কোন দিন যায় নি তাই ওদের সাথে শুধুমাত্র দেখবার জন্য গিয়েছিলাম। আমি বেশ কয়েকবার গিয়েছিলাম। তাই এদেরকে নিয়ে যাওয়ার জন্যই আমার যাওয়া। আমি না গেলে আবার ওদের ভালো লাগে না।এরপর যখন ওদের ভোগ রান্না হয়ে গেল তখন একটা পাত্রে ভোগ দিয়েছিল ।এছাড়া মামি বাড়ি থেকে সমস্ত ফল ,মিষ্টি ,ফুল ,বেলপাতা সবকিছুই নিয়ে গিয়েছিল।

IMG20250908113833.jpg

সমস্ত কিছু মাথায় করে নিয়ে ওই মন্দিরটির চারপাশে পরিক্রমণ করতে হয়। পরিক্রমণ করার পর সকলে মিলে পূজো দিল ।বোনের মানসিক ছিল একটা রুপোর বেলপাতা, আর রুপোর সাপ সমস্ত কিছুই ওদের হাতে তুলে দিয়েছিল। এরপর যে যার মত পাগলা বাবার কাছে পুজো দিয়েছিল। পূজো দেওয়ার পর বোনের মাথার চুলগুলো ঠাকুরের কাছে ঠেকিয়ে পাশে একটা নদী রয়েছে সেখানে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। তবে এ বছরে খুব শান্তি ভাবে পূজো দিয়েছিলাম। সারা বট গাছটা জুড়ে সকলে মনস্কামনা হিসেবে একটা করে ঢিল বেঁধে রেখেছে। সেইমতো আমার দিদা, মা সকলেই একটা করে ঢিল বেঁধে দিল।যখন মনস্কামনা পূর্ণ হবে তখন ওই ঢিল গুলো গিয়ে খুলে দেওয়া হয়।ওখানে পুজো শুরু হয় দুপুর বেলা বারোটার পর থেকে। ওখানে পুজো দিতে গেলে খাবার কোনো রকম অভাব হয় না। তবে আমাদের পুজোর পর সমস্ত ঠাকুরের ভোগ সকলকে বিতরণ করে দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তী অংশটুকু নিয়ে আমি পরের পোস্টে শেয়ার করে নেব। মাঝের ছবিগুলো আমি আমার তোলা ভিডিও থেকে স্ক্রিনশট নিয়েছি।


আজ এই পর্যন্তই ।আবারও নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হব আগামীকাল। সকলে ভালো থাকুন ,সুস্থ থাকুন।

Sort:  
Loading...

Congratulations!! Your post has been upvoted through steemcurator06. We encourage you to publish creative and quality content.

Curated By: @fantvwiki

 8 days ago 

Thank you 🙏

 8 days ago 

বাবুটার জন্য অনেক ভালোবাসা ,আদর ও শুভকামনা রইল ❤️ প্রতিটা সন্তান হলো বাবা-মায়ের শ্রেষ্ঠ সম্পদ ,তাই তো বাবা-মা তাদের মঙ্গলের জন্য বিভিন্ন কিছু মানত করে থাকে ।
আমারও এরকম মন্দির ভালো লাগে । আমার যখনই মন খারাপ হয় তখন আমি মন্দিরে যাই । সেখানে গেলে মনে শান্তি পাই।

ভোলানাথ বাবা সবার মঙ্গল করুন। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।