ব্যস্ততম দিন
নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন? আশা করছি সকলেই ভালো আছেন ?আজকে আবারও নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে।
আজকে ঘুম ভেঙেছে সকাল নটা নাগাদ ।ঘুম থেকে উঠে দেখি বাইরে দিব্যি রোদ ঝলমল করছিল ।এই দেখে স্নান করতে ঢুকেছিলাম ।মাত্র আধাঘন্টা পর স্নান করে বেরিয়ে দেখি হঠাৎ আকাশে কালো মেঘ ঢেকে গেছে দেখে মনে হচ্ছে যেন বর্ষাকাল। তবে মাঝে মাঝে শরতের পেঁজা তুলোর মত মেঘ উঁকি দিচ্ছে। বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছে পুজো মাত্র আর কয়েকটা দিনের অপেক্ষায়। রাত পোহালেই মহালয়া। এবছরের বৃষ্টি যেন ছেড়ে ও ছাড়ছে না। শোনা যাচ্ছে পুজোর মধ্যেও প্রচন্ড হারে বৃষ্টি হবে। সকলের সারা বছরের আনন্দ করে থাকে পুজোয় প্রচুর ঘুরবে বলে। সব হয়তো মাটি হয়ে যাবে। যাই হোক সকালবেলায় ফ্রেশ হয়ে নিজের একটু কাজ করছিলাম ।কাজ করতে করতে হঠাৎই পাশের বাড়ির এক কাকিমা আর ভাই এসে আমাকে বেড়াতে যাওয়ার জন্য বলতে থাকে। ওদের নাকি বেশ কিছুদিন ধরেই বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যানিং চলছে । ওদের পরিবারের বেশ কিছু সমস্যা চলছে তাই আমাকে সাহস করে কনফর্ম করে বলতে পারেনি।আপনারা সকলেই জানেন আমি মাটির কাজ করি। আমাদের মাটির পুতুলগুলো যারা নেয় তারাই এ বছরে একবার ঘোরার সুযোগ করে দিয়েছে। যাওয়া থাকা-খাওয়া এমনকি ঘোড়া সমস্ত খরচ মালিকের।
আমি এই কথাটা গতকালকে শুনেছিলাম ।শোনার পর ওই কাকাকে বললাম বেড়াতে যাবার জন্য। গতকাল রাতেও আমার সাথে কথা হয়েছে বলেছে যাব না। যাই হোক আজকে সকাল বেলায় হঠাৎ করে আমাকে বলছে তুমি না গেলে আমরা যাব না। আমার তো শুনে মাথায় হাত। একদিনে বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যানিং করা খুবই মুশকিলের ব্যাপার। এছাড়া বাড়ির সকলকে রাজি করানো খুব মুশকিল।এরমধ্যে এবছরের পুজোয় আমি কিছুই কিনিনি ।ভেবেছিলাম জগদ্ধাত্রী পুজোতে কিনব ।তাই সেরকম কোন নতুন জামা-কাপড় ও আমার নেই। দূরে কোথাও বেড়াতে গেলেই আগে আলমারি খুলে নতুন জামা কাপড় খুঁজতে থাকি।আমাকে তো রাজি করালো।এত করে বলল রাজি না হয়ে পারলাম না। এইরকম সুযোগ আমি হাত ছাড়া করতে চায়নি। কারণ আমার বর ঘুরতে ভালোবাসে না । তাই কোনো দিন ঘোরার সুযোগ ও হবে বলে মনে হয় না। যাই হোক কি করব আলমারি থেকে পুরনো সেই জামা কাপড় নিয়েই গোছাতে বসে পড়েছিলাম। এছাড়া আর কিছুই করবার ছিল না।
হাতে সব সময় টাকা পয়সা থাকে না। ইচ্ছে করলেও একদিনের মধ্যেই পছন্দমত জামা কেনা যায় না। হাতের কাছে যেসব জামাকাপড় পেয়েছি সেগুলোই গুছিয়ে নিয়েছি। কথাই বলে ভাগ্য মানুষকে কখন কোন দিকে নিয়ে যায় বলা যায় না। নয়তো আজকে আমার বেড়াতে যাবার কথাই না। দুম করে এসে আমাকে বেড়াতে যাওয়ার জন্য রাজি করানো হয়। তবে অনেক দিনের ইচ্ছে ছিল বেড়াতে যাওয়ার। 2025 সালে শুরুতেই গিয়েছিলাম দীঘা ঘুরতে ।এবার যাচ্ছি দার্জিলিং। হয়তো আর যেখানে যেখানে ঘোরার ইচ্ছা রয়েছে 2025 সালে সব পূরণ হয়ে যাবে। আর দূরে কোথাও যাবার ইচ্ছে নেই ।কাছে পিঠে যাব। তবে এই বছরই সমস্ত কিছু পূরণ করে নেব।
আসলে আমরা চাইলেই আর সবকিছু হয় না ।ভগবান চাইলে সমস্ত ইচ্ছায় যেদিক থেকেই হোক না কেন পূরণ করে দেয়। আজকের দিনটা প্রচন্ড ব্যস্ততম দিন ছিল।কারণ বেড়াতে যাওয়া একটা বিশাল চাপের ব্যাপার। সমস্ত জিনিস গুছিয়ে সাথে করে নিয়ে যাওয়া এটা একটা খুব বড়ো বিষয় হয়ে দাঁড়ায় ।এর মধ্যে সকাল থেকেই শুরু হয়েছে প্রচন্ড হারে বৃষ্টি, সাথে মেঘ ডাকা ,বাজ পড়া। সন্ধ্যা পর্যন্ত এখনো চলছে বৃষ্টি ।যানি না বৃষ্টি কখন থামবে। কিংবা ওখানকার আবহাওয়া কেমন ।সমস্ত কিছুই আপনাদের সাথে শেয়ার করে নেব ।আজ এইখানেই শেষ করলাম।
সকলে ভালো থাকুন ,সুস্থ থাকুন। আবারো নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
Thank you 🙏