মামীর সাথে কেনাকাটা
নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন ?আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আজকে আবারও নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে আশা করি সকলেরই ভালো।
গতকাল আবারও হঠাৎ করেই বেরিয়ে পড়েছিলাম কেনাকাটা করার জন্য। সামনেই পুজো তার জন্য কেনাকাটা তো লেগেই রয়েছে। এরই মধ্যে কিছু কিছু নিমন্তন্ন হুটহাট করে চলে আসলে তার জন্য কেনাকাটা করতে ছুটতে হয়। বাড়ির কাছেই সবকিছু যাতায়াত করতে খুব একটা অসুবিধা হয় না। তবে চলার পথে একজন সঙ্গী থাকলে ভালো লাগে।গতকালকে বড় মামির সাথে বেরিয়ে পড়েছিলাম বিকেল বেলায় প্রয়োজনীয় কিছু জিনিসপত্র কেনার জন্য। সবসময় মামীকে বলতে ভালো লাগে না।কারণ পরের দিন ছিল মেজো মামির মায়ের বাৎসরিক অনুষ্ঠান। দেখতে দেখতে একটা বছর পার হয়ে গেল। সময় কারোর জন্য থেমে থাকে না।এর জন্যই আরও কেনাকাটা করার তাড়া ছিল। ভেবেছিলাম দুদিন আগেই কেনাকাটা করে রাখবো। কিন্তু যাওয়া হয়ে ওঠেনি। এছাড়া দিদা, মামা সকলেই যাবে ওদের বাড়ির জন্য কিছু কেনাকাটা করতে হবে। সেই জন্য দিদা সমস্ত দায়িত্ব আমার কাঁধে দিয়েছিল। যতদিন আমি কেনাকাটা শুরু করেছি, তবে থেকেই দিদা নিজে একা গিয়ে কোনদিনই কেনাকাটা করে না। এখন অসুস্থ তাই আর একা ছাড়া হয় না।
গতকালকে বিকেল বেলায় পড়ানো শেষ হবার পর আমি আর আমার মামি সন্ধ্যা ছটা নাগাদ বেরিয়ে ছিলাম কেনাকাটা করতে। সারাদিন একটু আধটু বৃষ্টি হলেও বিকেলের দিকটা আকাশ ভালোই ছিল। মনে হচ্ছিল সন্ধ্যার আগে আগে ঠিক গোধূলি বেলার মতো ।দুজনে হাঁটতে হাঁটতে চলে গিয়েছিলাম আমাদের কেনাকাটা করার জন্য দোকানে। সেখানে দিদা কিনতে দিয়েছিল সেই সব জিনিস পত্র কিনে নিয়েছিলাম। আর ইচ্ছে ছিল আমাদের কৃষ্ণনগরে আগমনী বস্ত্রালয় নতুন উদ্বোধন হয়েছে কিছুদিন আগেই ।সেখানে যাওয়ার ইচ্ছে ছিল।এর আগে কখনোই ওই দোকানে যাওয়া হয়নি। তবে অনেকের মুখে শুনেছিলাম শাড়ির খুব ভালো ভালো কালেকশন রয়েছে। এছাড়া ছোট থেকে বড়ো, ছেলে থেকে মেয়ে সকলেরই সমস্ত জিনিস পত্র ভালো ভালো কালেকশন পাওয়া যায়। কৃষ্ণনগরে মোটা মুটি সব শপিং মল রয়েছে।
এরই মাঝে আমি মামার বাড়িতে জামা কাপড় দেওয়ার যার যার বাকি ছিল সমস্ত কেনাকাটায় গতকালকে কমপ্লিট করে নিয়েছি। কারণ রোজ রোজ সকলের জন্য কেনাকাটা করা সম্ভব নয়। তাই গতকালকে একদম শেষ করে ফেলেছি মামার বাড়ি পুজোর দেওয়ার জন্য সমস্ত জিনিসপত্র ।এরপর চলে গিয়েছিলাম সেই শাড়ির দোকানে। সেখান থেকে মামির জন্য সুন্দর দেখে একটা শাড়ি নিয়েছিলাম।শাড়ি দেখে সত্যিই চোখ জুড়িয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু আমি নিজে কিনব বলে কোন প্রস্তুতি নিয়ে যায়নি। তাই আমার নিজের জন্য কোন শাড়ি কেনাকাটা করা হয়নি। ইচ্ছে আছে এ বছর কোন কিছুই না নেওয়ার। নতুন উদ্বোধন হয়েছে বলে দোকানে প্রচুর ভিড়। এরই মাঝে আমাদের প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলাম বাড়ির উদ্দেশ্যে।
গতকালকে মেজ মামার মেয়ের জন্য জামা, মামীর জন্য শাড়ি আর মামীর বাবার জন্য টিশার্ট ,আরো কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনা হয়েছিল। এখনো কিছু বাকি রয়েছে সেগুলো অন্য আরেকদিন গিয়ে কেনাকাটা করে নেব। কারণ এক দিনে সমস্ত কিছু কেনাকাটা করা সম্ভব নয়। হাতে খুব অল্প সময় নিয়ে যাওয়া হয়। এখন মাটির কাজের ভীষণ চাপ। তাই কেনাকাটা করতে একদমই বেশি সময় দেওয়া হয়ে ওঠে না। বাঙ্গালীদের দুর্গা পূজোকে ঘিরে খুব মাতামাতি থাকে। ঠিক তেমনি পুজোর আগে কেনাকাটার শেষ থাকে না। কেনাকাটা করে আমি আর মামি দুজনেই একটু ফুচকা খেয়ে নিয়েছিলাম। এরপর গল্পে গল্পে দুজনে হাঁটতে হাঁটতে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। আজকের কেনাকাটার মুহূর্ত এই পর্যন্তই।
আবারো নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হব আগামীকাল। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।