The September contest #1 sduttaskitchen| Can a best friend become a good life partner?
নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন? আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। অনেকদিন পর আবারো একটি কনটেস্টে অংশগ্রহণ করতে চলেছি। অংশ গ্ৰহন করতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছে।বরাবরের মতো এটিও আমার ভীষণ একটি পছন্দের কনটেস্ট। প্রথমেই জানাই এইরকম একটা সুন্দর কনটেস্ট আয়োজন করার জন্য @sduttaskitchen দিদিকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এই কনটেস্টে বিষয়বস্তু সমস্ত কিছু আমি আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে শেয়ার করব। এখনকার দিনে জীবনসঙ্গী আর বন্ধুত্ব এই দুটোর মধ্যে অনেকের কাছে অনেক মত থাকতে পারে। তবে আমি আমার মত উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করছি ।চলুন তাহলে আজকের কনটেস্টের উত্তর দেওয়া শুরু করি।
Do you think a best friend can become a good life partner? Your viewpoint! |
---|
হ্যাঁ,আমি মনে করি একজন ভালো বন্ধু একজন ভালো জীবনসঙ্গী হতে পারে। কারণ বন্ধুত্বে সবসময় বোঝাপড়া একে অন্যের প্রতি সম্মান একটি রোমান্টিক সম্পর্ক কে শক্তিশালী করতে পারে। তবে জীবনসঙ্গিনীর ক্ষেত্রে রোমান্টিক প্রত্যাশা ও আবেগ গভীরতা এক এক ধরনের হয়। একজন ভালো বন্ধুর সাথে গভীর বোঝাপড়া ও বিশ্বাস থাকে। যা সুস্থ স্বাভাবিক জীবনসঙ্গী সম্পর্কে জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভালো বন্ধু একে অপরকে সুখ দুঃখে সব সময় পাশে থাকে এবং ভবিষ্যতে একসাথে দুজনে জীবন গড়ার পরিকল্পনা করতে পারে। ভালো বন্ধুরা সব সময় একে অপরের প্রতি সহানুভূতিশীল হয় ।যে কোন কঠিন কাজে সবসময় একে অপরের পাশে থাকে ।যা আমাদের জীবনসঙ্গী হিসাবেও প্রয়োজন।তবে পুরোপুরি আমি একদমই একমত নয়। প্রত্যেকটা মেয়ের জীবনে যেমন বিয়ের আগে বিভিন্ন রকম সমস্যা থাকে। ঠিক তেমনি বিয়ের পরেও বিভিন্ন রকম সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রেই একজন ভালো বন্ধুত্ব থেকে সেই সম্পর্কটা প্রেমে পরিণত হয়। আসলে সমস্ত ঝামেলা শুরু হয় বিয়ের পর থেকে।
আমি অনেক ক্ষেত্রেই দেখেছি হয়তো বন্ধুত্বটা অনেক বছরের ।বন্ধুত্ব থেকে সেই সম্পর্কটা প্রেম অব্দি গড়িয়েছে। এরপর দুজনে দুজনেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিয়ের ।শেষে যখন দুই বাড়ীর তরফ থেকে খুব ধুমধাম সহকারে বিয়ে দেওয়ার পর। কিছু মাস যেতেই নিজেদের মধ্যে শুরু হয় মনোমালিন্য ।এর থেকে সম্পর্কের বিচ্ছেদ। আমার মনে হয় বন্ধুত্ব কিংবা যে কোন সম্পর্কে নিজেদের মধ্যে এডজাস্টমেন্টটা আনা খুবই জরুরী ।দুজন দুজনকে মানিয়ে নিতে পারলেই বন্ধুত্বই হোক আর বিবাহিত জীবনই হোক দুটোই স্বাভাবিকভাবে থাকে। দুজনে মধ্যে মনের মিলটাই হল আসল। প্রেম করে বিয়ে হোক কিংবা দেখাশোনা করে সেটা দুজনে মানিয়ে নিতে পারলে তাহলে সংসার জীবন সুখের হয়। আমার মনে হয় যে কোন মানুষের বিয়ের আগে থেকে বিয়ের পরে বন্ধুত্বটা বেশি জরুরী। কারণ দুজনে একসাথে থাকতে থাকতে তাদের দুজনের মধ্যে সম্পর্ক খুব ভালো করে গড়ে তোলাটা ভীষণ জরুরী। এটা সম্পূর্ণ জীবনসঙ্গী আচরণের উপর নির্ভর করে।
Do you believe Friendship and becoming life partners are distinct? How? |
---|
হ্যাঁ, আমি বিশ্বাস করি বন্ধুত্ব আর জীবনসঙ্গিনী একদমই আলাদা। দুটোই ভিন্ন ধর্মের দুটো মানুষ। আপনারা সকলেই হয়তো মোটামুটি জানেন আমাদের লাভ ম্যারেজ ।আমরা দুজনে দুজনকে নিজে থেকে পছন্দ করে বিয়ে করেছি ।এখনকার দিনে এই জিনিসটাই চলে আসছে। তবে যে প্রেম করে বিয়ে করলেই জীবনের সুখ হয় এমনটাই নয়। অনেক সময় দেখাশোনা করে বিয়ে করলে তাদের মধ্যে খুব ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আমি অনেক সম্পর্ক দেখেছি প্রেম করে বিয়ে করার পর বেশিরভাগ সময়ে মেয়েদের সেক্রিফাইস করতে হয়।জীবনে চলার পথে সব সময় মেয়েদেরই মানিয়ে নিতে হয়। আর মানিয়ে নিতে না পারলে সংসারে অশান্তি। আমরা মেয়েরা যখন কোন সম্পর্কে জড়ায় ।তখন বিয়ের আগে আমরা যখন প্রেমিকা থাকি। তখন আমাদের নিয়ে ছেলেদের উত্তেজনা থাকে। তখন ছেলেদের যখন যেভাবে যেখানে আসতে বলা হয় তখন তারা সেখানেই ছুটে চলে আসে ।তখন তাদের কাছে সবকিছুর ঊর্ধ্বে তাদের প্রেমিকাকে ভালো রাখার দায়িত্ব থাকে। ছেলেদের সব কিছু উজার করে তার প্রেমিকাকে ভালো রাখার চেষ্টা করে। সমস্ত দায়িত্ব কর্তব্য পালন করতে দ্বিধা বোধ করে না।
কিন্তু বিবাহিত জীবনের পর একটা মেয়ে প্রেমিকা থেকে তার বৌ হয়ে ওঠে। ঠিক তখনই অনেক ছেলেদের বিবাহিত জীবনের পর মেয়েদের প্রতি আকাঙ্ক্ষা অনেকটাই কমে যায়। কিন্তু মেয়েরা যখন সংসার জীবনে প্রবেশ করে তখন তার স্বামীর প্রতি আকাঙ্ক্ষা আরো বেড়ে যায়। কিন্তু ওই যে বললাম মেয়েরা বিয়ের পর প্রেমিকা থেকে তার বউ হয়ে ওঠার সমস্ত দায়িত্ব পালন করে। আমি অন্যের উদাহরণ দেব না আমি নিজেকে দিয়েই অনেক সময় লক্ষ্য করেছি। আমার বর আমাকে বিয়ের আগে যেমন সময় দিত। কিন্তু বিয়ের পর সেই সময় আর পায়। কারণ ছেলেরাও বিয়ের পর কর্মজীবনে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। তাদের মধ্যে সেই প্রেম জিনিসটা আর থাকে না। কিন্তু মেয়েদের বিয়ের পর সেই দিনটাকে উপলব্ধি করতে যায়।এমনও অনেক সম্পর্ক দেখেছি প্রেমিক-প্রেমিকা থাকাকালীন যখন বাড়িতে সম্পর্ক মেনে নিতে রাজি হয় না। তখন একে অন্যকে ছাড়া বাঁচবে না এইরকম প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু যে দুটো ছেলে মেয়ে বাড়ির অমতে বিয়ে করে ।তখন তারা কিছু মাস দিব্যি খুব ভালোভাবে সংসার করে। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই একটা সন্তান হয়। ঠিক তারপর থেকেই শুরু হয় তাদের মধ্যে অশান্তি।
তবে তবে এমন অনেক সম্পর্ক রয়েছে বন্ধুত্ব থেকে প্রেমে পরিণত হয়ে বিয়ে করে তারা খুবই সুখী দম্পতি। তবে সংখ্যায় খুবই কম ।বেশিরভাগ সম্পর্কে আপনি অশান্তি ঝগড়া ঝামেলা দেখতে পারবেন।এর থেকেই সম্পর্কে চিড় ধরতে দেখা যায়।সম্পর্ক যখন প্রেমিক প্রেমিকা থাকে বিবাহিত জীবনে যখন প্রত্যেকদিন কলহ লেগেই থাকে । তখন সেই মিষ্টি ডাক তুমি থেকে তুই পর্যন্ত পৌঁছে যায়। একটা মেয়ে বিয়ের পর তার সবকিছুতে পাশে তার জীবন সঙ্গিনী হিসেবে স্বামীকে চাই ।কিন্তু সেই স্বামী বিয়ের পর বন্ধুবান্ধব নিয়ে ব্যস্ত থাকে ।তাই সেই প্রেমিকাটিকে তার আর সময় দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করে না। এখন জীবনসঙ্গিনী সাথে সব থেকে অশান্তির মূল কারণ হলো মোবাইল ফোন। বর্তমান যুগে খুব ভালো বন্ধুই বলুন আর জীবনসঙ্গিনী কোনোটাকে বিশ্বাস করা যায় না।
আমি আমাদের কৃষ্ণনগরে কিছুদিন আগে একটা ঘটনা শেয়ার করছি। মেয়েটির বাড়ি কৃষ্ণনগরে। মেয়েটির বাবার চাকরির সূত্রে বিভিন্ন জায়গায় পোস্টিং হত ।শেষে কল্যাণী কাঁচরাপাড়া তে মেয়েটি পড়াশোনা সুত্রে থাকতো। ওখানে পড়াশোনার পাঠ চুকিয়ে কিছুদিন আগেই কৃষ্ণনগরে এসেছিল কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য। কাঁচরাপাড়ায় থাকাকালীন মেয়েটির একটি ছেলের সাথে বন্ধুত্ব ছিল। কৃষ্ণনগরে আসার পর কোন কারনে মেয়েটি ছেলেটির বন্ধুত্ব কিংবা প্রেমিক-প্রেমিকা সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিল। হতে পারে, ওদের মধ্যে কোন মনোমালিন্য হয়েছিল। মেয়েটির সাথে ছেলেটি খুব ভালো সম্পর্ক ছিল ।তাই মেয়েটি বিশ্বাস করে তাকে সব কথা বলেছিল ।কখন তার বাড়ি ফাঁকা থাকে ,কখন তার বাড়িতে কে থাকে ।সেই সুযোগ নিয়ে একদিন দুপুরবেলায় মেয়েটির মা যখন তার ভাইকে স্কুল থেকে আনতে গিয়েছিল ।সেই সুযোগ নিয়ে ছেলেটি সোজা দোতলায় উঠে গিয়ে মেয়েটিকে গুলি করে মেরে দেয়।
কিন্তু ছেলেটি যখন উপর থেকে নাম ছিল তখন তার মায়ের মুখোমুখি হয়। তখন ছেলেটি মেয়েটির মায়ের মাথাতেও বন্ধুর ধরে। মেয়েটির মা ভয়ে সরে যাই। ছেলেটি পালিয়ে যায়। মেয়েটির মা ছুটতে ছুটতে উপরে গিয়ে দেখে মেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এই হল একজন প্রেমিক প্রেমিকার কিংবা খুব ভালো বন্ধুত্বের ফলাফল। তাই আজকালকার দিনে খুব ভালো জীবনসঙ্গিনী বলুন আর বন্ধুত্ব দুটোই বিশ্বাস করা খুবই কঠিন বিষয়। অনেক ক্ষেত্রে হয়তো বিবাহিত জীবনের পর খুব ভালো সম্পর্ক। বহু বছর সংসার করার পর হঠাৎ করেই তার স্বামী স্ত্রীকে মেরে ফেলেছে। এরকমও অনেক ঘটনা শোনা যায়।
Share some pros and cons if one accepts a friend as a life partner! |
---|
একজন খুব ভালো বন্ধু যখন জীবন সঙ্গিনী হিসাবে গ্রহণ করে তখন অবশ্যই দুজনেরই ভালো-মন্দ দুটোই দিক রয়েছে। তবে সময়ের সাথে সাথে দু'জনকেই পরিবর্তন হতে হবে। একে অন্যের সব রকম চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করতে হবে। যেমন তার সুখ- দুঃখে সব সময় পাশে থাকার চেষ্টা করতে হবে ।এছাড়াও অনেকেই রয়েছে ছোট ছোট বিষয় ভীষণ আনন্দ পায়। সেই বিষয়গুলো দুজনকেই লক্ষ্য রাখতে হবে। জীবনসঙ্গিনী আয় অনুযায়ী নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। যেকোনো জিনিস স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক কিংবা বন্ধুত্বের মানিয়ে নিতে পারলেই সমস্ত সম্পর্ক শেষ পর্যন্ত টিকে যায়। ইগো দিয়ে কোন জিনিস ধরে রাখা সম্ভব নয়। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক হল আজ মধুর সম্পর্ক। একজন খুব ভালো বন্ধুর সম্পর্ক যদি বিয়ে পর্যন্ত করাই সেই সম্পর্কটাকে দুজনের দায়িত্বে খুব ভালো করে পালন করতে হবে। দুজনেই দুজনকে বোঝাপড়ার দায়িত্ব নিতে হবে। তবে একটা বন্ধুত্ব সারা জীবন টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে। আজ এইখানেই শেষ করছি ।জানিনা সঠিক উত্তর আমি দিতে পেরেছি কিনা।
সবশেষে এই প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুযায়ী আমি আমার তিনজন বন্ধুকে অংশগ্রহণ করার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি@tanay123,@piya3,@pijushmitra.