Better Life with Steem|| The Diary Game||13- 09-25
![]() | ![]() |
---|
###Hello,
Everyone,
মানব জীবন বড়ই অদ্ভুত জীবন। আমরা যা পরিকল্পনা করে থাকি ,সব সময় আমাদের সেই পরিকল্পনার অনুযায়ী সবকিছু হয় না। মাঝে মাঝে এর ব্যতিক্রম হয়ে থাকে ।তবে, আমার ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমটা বেশি হয়ে থাকে । আমি কোন কিছু সহজে অর্জন করতে পারিনা।
বাবা-মা সুস্থ থাকুক ,সেটা সব সন্তানের কামনা । যারা আমার নিয়মিত পোস্টগুলো পড়ে থাকেন তারা অবশ্যই জেনে থাকবেন যে, আমার বাবাকে ডাক্তার দেখানো শেষ হয়েছিল তিনি বাড়িতে গিয়েছেন।
![]() | ![]() |
---|
তিনি বাড়িতে গিয়ে আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন ।এখন তার প্রধান সমস্যা হলো দাঁত নিয়ে তাই তারা আজ আবার ঢাকা আসছেন। আর্মি বাবু অফিসের কাজে ব্যস্ত থাকার জন্য আমার ছোট বোনের হাজব্যান্ড বাবা- মাকে সদরঘাট থেকে বাসায় নিয়ে আসবেন।
আমি বোনের থেকে বাবা মাকে নিয়ে আসব ।খুব সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠলাম। ফ্রেশ হয়ে আমার গোপাল সোনাকে ঘুম থেকে ওঠালাম এবং সকালবেলার প্রার্থনা করি ।পাঁচ মিনিটের ভেতরে আমরা তৈরি হয়ে গেলাম ।আমাদেরকে বোনের বাসায় রেখে আর্মি বাবু অফিসে চলে যাবেন।
![]() | ![]() |
---|
সকাল বেলা সড়কে জ্যাম না থাকায় আমরা দ্রুত চলে আসতে পারি।ছোটবোনের পরিবারের সকল সদস্যের জন্য পূজার উপহার নিয়ে এসেছি। ছোট্ট বাবুসোনা তার দিদিকে পেয়ে অনেক খুশি ।আমরা বাসায় এসে পৌঁছার পূর্বে ছোটদা সদর চলে গেলেন ।
বোন সকালবেলার নাস্তা তৈরি করে রেখেছে আমাদের জন্য । আমি ফ্রেশ হয়ে নাস্তা খেয়ে নিলাম।মাসি তার আদরের মেয়ের জন্য অনলাইন থেকে ড্রিম কেক অর্ডার দিয়ে রেখেছিল ।মামনি কেক অনেক খুশি হল । বাচ্চারাও চকলেট ,কেক ভীষণ পছন্দ করে ।
কিছু দিন পরে বোনের সাথে দেখা হয়েছে তাই আমরা গল্প করতে বসে পড়লাম। আমরা ভুলে গেছি ,যে মা-বাবা আসতেছে, দুপুরে রান্না করতে হবে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলাম প্রায় বারোটা বেজে গেল।সময় নষ্ট না করে আমরা দুপুরের রান্নার আয়োজনে চলে গেলাম ।আমার ছোট বোনের রান্নার হাত অনেক ভালো।
![]() | ![]() | ![]() |
---|---|---|
![]() | ![]() | ![]() |
দুপুরে খাবারের মেনুতে ছিল চিংড়ি মাছ দিয়ে লাল শাক ভাজি , সরষে ইলিশ ,শিম দিয়ে ডাল, চিকেন , মাটন কারি, পোলা ও সাদা ভাত ।
১২:৩০ মিনিটে বাবা- মা চলে আসলেন। বাবা বাড়িতে গিয়েছে এক সপ্তাহ হল, বাবা অনেক দুর্বল হয়ে গেল। তাকে দেখে অনেক ক্লান্ত মনে হলো।
![]() | ![]() |
---|
দুপুরের খাবার খেতে আমাদের ৩টা বেজে গেল। বিকেল ৪:২০ মিনিটে বোনের সাথে শপিং মলে গেলাম। তখন বৃষ্টি পড়ছিল। আমি ঘর সাজানোর জন্য এবং কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনলাম। প্রায় সকল মেয়েদের মতো আমিও ঘর সাজাতে ভালোবাসি । কিছু টাকা হাতে জমা হলে এখন আর শাড়ি কিংবা থ্রিপিস না কিনে ঘর সাজানোর জিনিসপত্র কিনতে বেশি ভালোবাসি ।
![]() | ![]() |
---|
এতটাই বৃষ্টি হচ্ছিল যে কোন রিক্সা পাচ্ছিলাম না। আমদের ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হল । বাসায় আসতে আমাদের সন্ধ্যা হয়ে গেল। বৃষ্টির জন্য রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ হয়েছে। বাবাকে নিয়ে আজ বাসায় যেতে পারিনি।
সন্ধ্যার নাস্তায় ছোট বোন পিজা বানিয়েছিল । মা আবার পিঠা বানালো। গোপাল সোনার জন্য খেলনা মাছ ক্রয় করি। সে খেলনা পেয়ে অনেক খুশি হল। এভাবেই কেটে গেল আমাদের শনিবারের দিন।আজ এখানে বিদায় নিচ্ছি,সকলে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন|
কি কি যেন লিখব ভাবছিলাম। কিন্তু ইলিশ দেখার পর সব ভুলে গেছি। কেবল ইলিশের কথাই মনে আছে শুধু। হাহা।
দিদি, একটা পরামর্শ রইল, মার্কডাউনের প্রতি আরেকটু যত্নশীল হবেন আশাকরি। এত চমৎকার একটি লেখা মার্কডাউনের কারনে একটু অগোছালো লাগছে।
আমার পোস্টটি সমর্থন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, স্যার।@fantvwiki