Better Life with Steem|| The Diary Game|| 20- 09-2025||

in Incredible India3 days ago
Untitled design (1).png
Made by Canva

Hello,

Everyone,

অনেকদিন পরে আবার আমার দিনলিপি তোমাদের সাথে শেয়ার করতে আসলাম । বাংলাদেশে এখন গভীর রাত ,সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে কিন্তু এখন আমি সময় পেলাম তোমাদের সাথে কিছু কথা শেয়ার করার। আজকে রাতে ২০ তারিখের দিনলিপি শেয়ার করছি । যারা আমার নিয়মিত পোস্টগুলো পড়ে থাকেন তারা অবশ্যই জানেন যে, বাপ্পি মা অসুস্থ তারা আমার বাসায় এসেছেন । তাদেরকে নিয়ে আমাকে ছুটতে হয় ডাক্তারের কাছে ।

IMG_20250920_152250.jpg

অন্যদিকে মেয়ের পড়াশোনার দিকে লক্ষ্য রাখতে হয়, সবমিলিয়ে খুবই ব্যস্ততার ভিতরে আমি সময় গুলো পার করছি। তারপরেও চেষ্টা করছি মাঝে মাঝে আপনাদের সাথে আমার কিছু কথা শেয়ার করার।

আমরা যা চিন্তা ভাবনা করি তা সব সময় সম্পূর্ন করতে পারি না ।অনেক সময় আমাদের ভেবে রাখা কাজগুলোও আমরা করতে পারি না।ইদানিং আমার সাথে এমনই হচ্ছে যে, আমার পরিকল্পনা অনুযায়ী আমি কিছুই করতে পারছি না ।

IMG_20250919_100330.jpgIMG_20250919_142610.jpg
(১৯/০৯/২৫) শুক্রবারের তোলা ছবি

(১৯/০৯/২৫) শুক্রবার ছুটির দিন ছিল তাই আমি রান্না করবো ।মেয়ে অনেকদিন থেকে বায়না করছিল রোস্ট রান্না করার জন্য ।মেয়ের পছন্দ অনুযায়ী রান্না গুলো করেছি ।অন্যদিকে আমার বড় ননদের দেবর তার মৌসাতো নারদের বাসায় এসেছেন। তাকে অবশ্যই আমাদের বাসায় আমন্ত্রণ জানানো উচিত ।

আর্মি বাবুকে বলেছিলাম, শুক্রবার ছুটির দিন তাদেরকে আমাদের বাসায় আসার জন্য। আর্মি বাবু জানিয়েছিলেন, দাদা অসুস্থ, ডাক্তার দেখাতে এসেছেন, আমাদের এখানের পথঘাট ভালোনা তাই তিনি আসতে পারবেন না ।তার সাথে গিয়ে দেখা করতে হবে। আর্মি বাবু শুক্রবার তার সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন এবং তিনি রাত ১১ টায় বাসায় ফিরেন ।

বললেন, তার মৌষাতো ননদের পরিবারসহ সবাই শনিবার বাসাতে আসবে।অন্য দিকে, আমি চিন্তাভাবনা করেছিলাম যে, বাড়ির সবার জন্য কেনাকাটা হলো এবার আমাদের নিজেদের জন্য এখনো কিছু কেনাকাটা বাকি, সেগুলো শনিবার করব তাই ভেবেছিলাম। শনিবার পূজার শপিং করা হবে না।

রাত বারোটার সময় রান্নার কিছু আইটেম গুছিয়ে রাখি ।আর্মি বাবু ২০ তারিখ সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে কাঁচা বাজারে চলে যায় কারণ দাদা ফ্রিজের কোন খাবার খায় না। ফ্রেশ তাজা খাবার এগুলো খেয়ে থাকেন ।আমিও চেষ্টা করি, অতিথিদের পছন্দ অনুযায়ী খাবারগুলো তৈরি করতে।

ফ্রিজে মাছ-মাংস থাকা সত্ত্বেও আমি নতুন করে আবার সবকিছু কিনে নিয়ে আসি। সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে প্রার্থণা করে রান্নাঘরে চলে গেলাম। তবে একটা বিষয়ে খারাপ লেগেছে, তারা যদি আমার বাসায় শুক্রবার আসতো তবে শুক্রবার এগুলো রান্না করতাম না ।

IMG_20250920_112826.jpgIMG_20250920_112829.jpgIMG_20250920_112834.jpg

যাইহোক, অতিথি হলো নারায়ণ ।আমি রান্নাবান্না করতে খুবই পছন্দ করি আর এবং তারা প্রতিটি খাবার খেয়ে যখন প্রশংসা করে তখন আমার আরো ভালো লাগে । রান্না করার মাঝে গ্যাস শেষ হয়ে গেছিল , ফোন করে কেয়ারটেকারকে বলার পরে তিনি আবার সিলিন্ডার পরিবর্তন করে দেয় ।

IMG_20250920_122245.jpgIMG_20250920_131549.jpgIMG_20250920_140419.jpg

দুপুরে খাবার পরিবেশন করতে দুপুর তিনটে বেজে যায়। যেদিন অতিথি আসে তখন কিন্তু একটু খাবার খেতে সাধারণত দেরি হয় । আর্মি বাবুর কথাটায় আজ আমার খুব খারাপ লেগেছে ।এত কিছু আয়োজন করেছি তাও নিজের হাতে।

”কেন দুপুরের খাবার দুটার সময় টেবিলে দেওয়া হলো না ,তা নিয়ে তিনি আমাকে কিছু কথা শুনালেন। সকাল ৯:৩০ মিনিটে কাঁচা বাজার গুলো নিয়ে এসেছিল, সেগুলো রান্না করে দিতে আমার দুপুর তিনটে বেজেছিল। তাকি বেশি দেরি হয়ে গিয়েছিল আমরা!

এমন এমনও আত্মীয়ার বাসায় গিয়েছি, দুপুরের খাবার দিতে তাদের বিকেল চারটা বেজে যায়, তখন তো আর্মি বাবু কিছু বলতে পারেনা। তাহলে আমাকে কেন দুপুর দুটোর ভেতর খাবার টেবিলে দিতে হবে। অতিথি আপ্যায়ন করতে গেলে একটু দেরি হতেই পারে ।তারপর এইভেবে ভালো লাগলো, আমার রান্না করা খাবার খেয়ে খুব প্রশংসা করেন এবং তারা প্রতিটি খাবার খুব যত্ন সহকারে খেয়েছিল।

IMG_20250920_152246.jpgIMG_20250920_152253.jpg

আজকের খাবারের মেনুতে রেখেছিলাম, ইলিশ মাছ ভাজি, পটল ভাজি, বেগুনি, চিংড়ি মাছের মালাইকারি, রুইমাছের পাতলা ঝোল ,রুই মাছের মাথা দিয়ে ডালের মুড়িঘন্ট, মাটন কষা, আমের চাটনি, পাপড় আর শেষ পাতে দই মিষ্টি ছিল।

খাবারগুলো তৈরি করতে একটু সময় লাগতেই পারে, কি তাই না! আমি একদমই ঝামেলা পছন্দ করিনা তাই জবাব দেইনি। আরেকটা বিষয় অবাক লেগেছে ,যেহেতু পুজোর সময় তারা আমাদের বাসায় প্রথম এসেছেন ।এর আগে কখনো আসেনি। যাবার আগ মুহূর্তে সবাইকে পূজোর উপহার কেনার জন্য টাকা দিয়ে ছিলাম ।

কিন্তু মজার বিষয় হলো তারা যাবার সময় আমার মেয়ের হাতে এক টাকাও দিয়ে গেল না ।”আমি তাদের চারজনকে দিতে পারি তবে কি তারা আমার একটিমাত্র মেয়েকে কিছু দিতে পারল না । নরদের মৌসাত ননদ, তারা অনেক বড়লোক ,তাদের ঢাকা শহরে তিনটি ফ্ল্যাট, নিজেদের ব্যবসা ।

অতিথি রাত ৮টায় চলে গেলেন। এভাবে চলে যাচ্ছে আমার দিনগুলো । জানিনা পরবর্তী পোস্ট কতদিন পরে আবার শেয়ার করতে পারি । বাপির শরীর ততটা ভালো না তাই আমিও কাজ করতে পারছিনা। আপনারা সকলে আমার বাবার জন্য দোয়া ও আশীর্বাদ করবেন। আজকের মত এখানে বিদায় নিচ্ছি ।


◦•●◉✿ শুভ রাত্রি✿◉●•◦

Sort:  

Congratulations @muktaseo, your post was upvoted by @supportive.

 yesterday 

অসংখ্য ধন্যবাদ।

Loading...