Better Life with Steem || The Diary Game || August 06, 2025

বন্ধুরা চলে এলাম আপনাদের কাছে আমার গতকাল সারাদিন অর্থাৎ ৬ই আগস্টের কার্যাবলী নিয়ে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।



আজ সকাল ৭টার একটু আগে আমি ঘুম থেকে উঠলাম। সারা রাত মুষলধারায় বৃষ্টি হওয়ার পর এখন বৃষ্টি থেমেছে। বিছানা ছেড়ে উঠে আমি প্রথমে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। তারপর ময়লার গাড়ী আসলে আমি তাতে এক প্যাকেট ময়লা ফেলে দিয়ে ঘরে ফিরে এক কাপ চা করে চা খেতে খেতে আজকের খবরের কাগজটা পড়ে নিলাম। এরপর আমি একটু মেন রোডে গেলাম কিছু কেনাকাটি করতে। বাড়ী ফেরার পথে আমি ৪টে কচুরী নিয়ে আসলাম ব্রেকফাস্ট করার জন্য। বাড়ী ফিরে ব্রেকফাস্ট করে আমি আরো এক কাপ চা খেলাম।
তারপর আমি আজকের রান্না করার জন্য প্রস্তুতি নিলাম। আজকে আমি রান্না করবো ডিমের ঝোল, তাই আমি ভাতের সাথে ২টো ডিম সেদ্ধ করতে বসিয়ে দিলাম। অন্যদিকে আলু, পেঁয়াজ, আদা, রসুন আর কাঁচালঙ্কা সব কেটে রাখলাম। ডিম দুটো সেদ্ধ হয়ে গেলে আমি আলু দিয়ে ডিমের ঝোল বানিয়ে নিলাম। ঝোল একটু বেশি রেখেছি কারণ এই এক পদ দিয়ে আমায় দুইবেলা খেতে হবে।
দুপুর ১টার আগেই আমার রান্না শেষ হয়ে গেলো। তারপর আমি কাজের মাসীর জন্য অপেক্ষা করতে থাকলাম। মাসী এসে কাজ করে চলে যাওয়ার পর আমি স্নান করে নিয়ে লাঞ্চ করতে বসলাম। লাঞ্চ হয়ে যাওয়ার পর আমি কিছুক্ষণের জন্য বিশ্রাম নিতে চলে গেলাম।

বিকেলবেলায় ঘুম থেকে উঠে আমি আজকে আর চা খেলাম না। ফ্ল্যাটের সামনে দিয়ে একজন আইস্ক্রিমওয়ালা যাচ্ছিলো, আমি তার কাছ থেকে কোয়ালিটি ওয়ালসের ফিস্ট আইস্ক্রিম কিনে খেলাম। ৫ টাকা দাম বেড়েছে দেখলাম। আগে দাম ছিল ৪৫ টাকা আর এখন হয়েছে ৫০ টাকা। এর থেকে ছোট সাইজেরটার দাম অবশ্য ৪০ টাকা।


এরপর আমি যখন হাঁটতে বের হলাম তখন সন্ধ্যে হয়ে গেছে। ৩০ মিনিটের মতো হেঁটে বাড়ী ফিরে আমি সন্ধ্যে দিলাম। তারপর এক কাপ চা করে আমি স্টিমিটের জন্য পোস্ট লিখতে বসলাম। আজকের পোস্টে আমি আমার মেয়ের প্রথম জন্মদিনের কিছু ছবি শেয়ার করেছি।
লেখা শেষ হয়ে গেলে আমি স্টিমিটে পোস্ট করে দিলাম। তারপর আমি আমার স্ত্রীকে ফোন করলাম। আজকে আমার মেয়েকে ৩টে ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা ছিল। ফোন করে জানলাম যে একটা ভ্যাকসিন হাতে আর দুটো পায়ে দিয়েছে। পা বেশ ভালোই ফুলে আছে আর ওর মাঝেমাঝে জ্বর আসছে। অবশ্য এটার ব্যাপারে স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে আগেই বলে দিয়েছিল। আমি একটা জিনিস বুঝতে পারিনা যে একদিনে একটা কচি বাচ্চাকে ৩টে ভ্যাক্সিন দেওয়ার কি দরকার! প্রতি মাসে একটা করে দিলেই তো পারে। নাকি ফ্রিতে দিচ্ছে বলে সরকার যা ইচ্ছে তাই করবে!
যাইহোক, এরপর রোজকার মতো দিদি আসলে আমি ওর সাথে কিছুক্ষণ কথা বললাম। আমার যা মনে হয় যে দিদি ওর সারা দিনের কথা আমার সাথে শেয়ার না করলে ওর ভাত হজম হয় না। দিদির কাছ থেকে শুনলাম যে আমার ভাগ্নে নতুন স্কুটি বাড়ীতে নিয়ে এসেছে আর আগামীকাল আমাকে দেখাতে আনবে। তারপর দিদি বাড়ী চলে গেলে আমি ডিনার করে নিয়ে শুতে চলে গেলাম।
তো বন্ধুরা এই ছিল আমার ৬ই আগস্টের দিনলিপি। সকলে ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন, এই শুভকামনা জানিয়ে আজকের মতো বিদায় নিচ্ছি।

X share: https://x.com/PijushMitra/status/1953482066114330738