আমার মেয়ে ঋধির প্রথম জন্মদিনের কিছু মুহূর্ত

আমার মেয়ে ঋধির প্রথম জন্মদিন আমরা উৎযাপন করেছি ৩রা মার্চ, ২০২৫, দিনটা ছিল সোমবার। আমি ১ দিন আগে রবিবার আমার শ্বশুরবাড়ীতে পৌঁছে গিয়েছিলাম। আমার মেয়ে গতবছর এই তারিখে সকাল ৯:৩০ এ জন্মেছিল। সোমবার এত সকালে আমি আসতে পারতাম না, তাই একদিন আগে চলে এসেছি।

৩রা মার্চ সোমবার সকালে আমি, আমার স্ত্রী আর মেয়ে ৮টার সময় ঘুম থেকে উঠে পড়লাম। এরপর আমরা তিনজন স্নান করে নিলাম। অন্যদিকে আমার শ্বশুরবাড়ীর সকলে আমার মেয়ের জন্মদিনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। ৯টা ৩০ মিনিটে আমার মেয়েকে নতুন জামাকাপড় পড়িয়ে ওর সামনে ৫ রকম মিষ্টি আর পায়েস দেওয়া হলো। পায়েসটা এই ছবিতে মিস হয়ে গেছে কারণ পায়েস দেওয়ার আগেই এই ছবিটা তোলা হয়ে গিয়েছিল।

এরপর শাস্ত্রের নিয়মানুযায়ী আমি আমার মেয়েকে প্রথমে আশীর্বাদ করলাম।

তারপর ঋধির মা ওকে আশীর্বাদ করলো। এরপর একে একে সকলে ঋধিকে আশীর্বাদ করা শুরু করলেন।

প্রথমে আসলো কুশু (ডাক নাম)। ও আমার এক ছোট্ট শালী। ওর ব্লাড ক্যান্সার আছে কিন্তু এত প্রাণবন্ত বাচ্চা এই বাড়ীতে আর দ্বিতীয়টি নেই।

তারপর আসলেন আমার কাকা-শ্বাশুড়ীমা ঋধিকে আশীর্বাদ করতে।

এরপর আমার শ্বাশুড়ীমা ওকে আশীর্বাদ করলেন।

তারপর কুশুর মা তপতী কাকিমা এসে ঋধিকে আশীর্বাদ করলেন।

এরপর আমার নিজের শালী টুইঙ্কেল এসে আমার মেয়েকে আশীর্বাদ করলো। আমি যদিও ওকে বনি বলে ডাকি। আমার শ্বাশুড়ীমা আর বনি মিলেই আমার মেয়েকে বড়ো করছে। আমার স্ত্রী আবার কাজে জয়েন করেছে। ও সকাল ৮টার সময় বাড়ী থেকে বেরিয়ে রাত ৯টা ৩০ মিনিটে নিজের বাপের বাড়ীতে ফেরে। আমি কলকাতায় একা থাকি। আমার একার পক্ষে এতো কচি বাচ্চাকে সামলানো একেবারেই সম্ভব না।

তারপর আমার কাকা-শ্বশুরের মেয়ে খুশী ঋধিকে আশীর্বাদ করলো। খুশীকে আমরা সকলে আদর করে কুচো বলে ডাকি। ও এই বছর H.S. দিয়েছে। আমার মেয়ে প্রত্যেকদিন অনেকটা সময় ওর সাথেও কাটায়।

এরপর আমার শ্বশুরমশাই এসে আমার মেয়েকে আশীর্বাদ করলেন।


দুপুরবেলায় ঋধিকে অনেকরকম খাবার পরিবেশন করা হলো। আজকে ওর জন্মদিনের মেনু ছিল ভাত, ৫ রকম ভাজা, মুগ ডাল, কাতলা মাছের কালিয়া, চিংড়ীর মালাইকারী, সর্ষে ইলিশ, চিকেন কষা এবং কাঁচা আমের চাটনি। যদিও ঋধি এগুলোর কোনোটাই খায়নি, শুধু কুমড়োভাজা একটু মুখে দিয়েছিল।

ঋধির আশীর্বাদের সময় আমার কাকা-শ্বশুর থাকতে পারেননি। তাই ওর লাঞ্চের সময় উনি এসে ওকে আশীর্বাদ করে গেলেন।


লাঞ্চ হয়ে যাওয়ার পর আমার মেয়ে কিছুক্ষণ খেলাধুলা করলো। এরপর আমরা কিছু ফোটোসেশন করলাম। তারপর ঘন্টাখানেক বিশ্রাম নেওয়ার পর বিকেলে আমি কলকাতায় আমার বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।

X share: https://x.com/PijushMitra/status/1953140322759803349
Your post has been supported by SC-05. We support quality posts, quality comments anywhere, and any tags
@sduttaskitchen, thank you mam for your generous support.