রাধা অষ্টমী ও জন্মদিন
নমস্কার বন্ধুরা। আপনারা সকলে কেমন আছেন? আজকে চলে এসেছি আপনাদের সাথে আরো নতুন একটি গল্প শেয়ার করার জন্য। আশা করছি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।
আমাদের বাঙ্গালীদের পুজো পার্বণের অন্ত নেই। সারা বছর জুড়েই চলে উৎসব ও পার্বণের ধুম। জন্মাষ্টমীর পর ছিল রাধাষ্টমী। সেই সাথে সেই দিন ছিল আমার আরও একটি জন্মদিনের নিমন্ত্রণ। এই টিউশন করার সুবাদে আমার সারা বছরের জন্মদিনের নিমন্ত্রণ থাকে। কিছুদিন আগেই আমি আমার এক স্টুডেন্টের জন্মদিনের গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম।
আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার আরও একটি স্টুডেন্টদের জন্মদিন ও রাধাষ্টমী দিনের গল্প শেয়ার করব। জন্মদিনের দিন দুপুরে আমার নিমন্ত্রণ ছিল। যথা সময়ে আমি পৌঁছে গিয়েছিলাম। আমার এই স্টুডেন্টটির নাম ঋতিকা, ও ক্লাস টেন এ পড়ে। ভীষণই মিশুকে। আমি এই বছরই ওকে পড়ানো শুরু করেছি। এই আট মাসে অনেকটাই পরিচিত হয়ে উঠেছে। আর স্টুডেন্টের বাড়ির মানুষজন যদি ভালো হয় তাহলে সেখানে পড়াতে যেতেও অনেক ভালো লাগে। এটি বাড়ির মানুষজন খুবই ভালো। তাদের কথাবার্তা ও খুব ভালো । তাই আমার পড়াতে যেতেও খুব ভালো লাগে।
যাইহোক জন্মদিনের দিন ওদের বাড়ি পৌঁছে দেখি ইতিমধ্যে ওকে খেতে দেওয়ার আয়োজন করা হয়ে গেছে। আর সেদিন মেনুতে ওর সমস্ত পছন্দের খাবারই রাখা হয়েছিল। আর যেহেতু ও এখন বড় হয়েছে তাই বিভিন্ন বিষয়ে নিজের মতামত দিতে শিখেছে। তাই কি কি রান্না হবে তা নাকি সে নিজেই ঠিক করেছিল। মেনুতে ছিল --সাদা ভাত, বাসন্তী পোলাও, পাঁচ রকমের ভাজা, স্যালাড, শুক্ত, মুগের ডাল, পটল চিংড়ি, কাতলা মাছ, খাঁসির মাংস, চাটনি, পাঁপড়, পায়েস,দই, পাঁচ রকমের মিষ্টি ও একটা পেস্ট্রি। প্রসঙ্গক্রমে বলে রাখি সকলের সামনে এইরকম ভাবে খাবারের ছবি তোলা আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না। এই ছবিটা আমি পরে ওর কাছ থেকেই পেয়েছি।
সেখানে খাওয়া-দাওয়া সেরে, আমি চলে গেছিলাম পড়াতে, একটা বাড়িতে পড়ানোর পর আবার আমার পড়ানো ছিল । আমি আবার সেখানে চলে যাই। এখানে ছিল রাধাষ্টমী পুজো। পুজো আগেই হয়ে গিয়েছিল। যদিও আমাকে পুজোর সময় আসতে বলেছিল। তবে বেশ কিছু কাজ থাকার কারণে আমি সকাল সকাল যেতে পারিনি। একবারে পড়াতে গিয়েছিলাম।
এদের বাড়ির প্রতিবছরই জন্মাষ্টমীর পুজো খুব বড় করে হয়। আর রাধাষ্টমীও ধুমধাম করেই হয়। তবে এই বছর কিছু কারণবশত ওরা খুব ঘরোয়া ভাবেই পুজো সম্পন্ন করেছে। সকালে পুরোহিত মশাই এসে পুজো করে দিয়ে গিয়েছিলেন। আমি সকালবেলায় যাইনি বলে কাকিমা রাগ করছিল। তবে যেহেতু আমার পরীক্ষা আছে তাই সেটা বলাতে কিছুটা রাগ কমেছিল। ওরা প্রতিবছরই বাড়িতে কোন পুজো হলে আমাকে সেই ছবিগুলো হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে দেয়। সেই ছবিগুলোরই একটা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
পড়ানো শেষে এলো প্রসাদ খাওয়ার পালা। যেহেতু দুপুরবেলায় বেশ ভালো খাওয়া দাওয়া হয়েছিল, তাই খুব বেশি খিদে ছিল না। তাই কাকিমাকে বলেছিলাম খুব অল্প করে প্রসাদ দিতে। একেইতো পুজোর সময় আসতে পারিনি তার ওপরে যদি বলি প্রসাদ খাওয়ার মত পেটে জায়গা নেই, তাহলে আর রক্ষে ছিল না। কাকিমা বেজায় রেগে যেত। যেহেতু এই বাড়িতে অনেকদিন ধরে পড়াই তাই নিজেদের লোকের মতোই হয়ে গেছি। ফলত কাকিমা প্রয়োজনে আমাকে বকাও দেয়।
কিছুক্ষণের মধ্যেই কাকিমা, প্রসাদ নিয়ে চলে এসেছিল। অল্প বললেও কি অল্প দেয়! সবরকম প্রসাদই অল্প অল্প করে আমাকে দিয়েছিল।
আজ তাহলে এখানেই শেষ করছি। আগামীকাল আবার অন্য কোনো লেখা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব। সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
Curated by: pandora2010
Thank you so much.
Hello @pinki.chak, thank you for your contribution to our account.
Thank you so much 🙏