জন্মদিনের রাতের আয়োজন
নমস্কার বন্ধুরা। সকলে কেমন আছেন? আজকে চলে এসেছি আপনাদের সাথে গতকালের পোস্টটির পরবর্তী পর্ব নিয়ে। আশা করছি আপনাদের সকলে ভালো লাগবে।
গতকাল আপনাদের সাথে আমার এক ছাত্রীর জন্মদিনের গল্প শেয়ার করেছিলাম। তবে এ শুধুমাত্র দুপুরের গল্পই আপনাদের সাথে শেয়ার করা হয়েছিল। বলেছিলাম রাতের আয়োজনের কথা আজকে শেয়ার করব। সেইমতো চলে এসেছি জন্মদিনের রাতে কি রকম ভাবে জন্মদিন সেলিব্রেট করা হয়েছিল সেই গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
গতকালকেই আমি বলেছিলাম যে আমার কিন্তু রাত্রিবেলায় ওদের পড়ানো ছিল। ওকে এবং ওর দাদাকে একসাথে আমি পড়াই। যেহেতু ওদের পড়ানোর আগে আমার হাইস্ট্রিট এ পড়ানো ছিল তাই ওর মা আমাকে একটা কেক কিনে আনতে বলেছিল। যদিও কেকের দাম ওর মা আমাকে দিয়ে দিয়েছিল। সেইমতো আমি কেকের দোকানে গিয়ে ভিডিও কলের মাধ্যমে দেখিয়েছিলাম কোন কেকটা ওদের পছন্দ হয়। ওদের পছন্দ মত একটা কে আমি কিনে নিয়েছিলাম। কেকটার দাম নিয়েছিল ৫০০ টাকা। কেকটা দেখতে ভীষণই সুন্দর ছিল। আর ওর যেহেতু ম্যাংগো ফ্লেভার আর চকলেট ফ্লেভার পছন্দের, তাই কেকটা এই দুই ফ্লেভার এরই ছিল।
এরপর কেক কিনে আমি রাত আটটার দিকে ওদের বাড়ি পড়াতে গিয়েছিলাম। পড়তে বসার আগে কেক কাটিং পর্ব চলল। যদিও ওদের বাড়িতে পৌঁছে দেখি ইতিমধ্যে কেক কাটিং এর জায়গা সাজানো হয়ে গেছে। সেই সাথে অন্য একটি কেকও কাটিং এর জন্য রাখা হয়েছে। ওই কেকটা ওর জ্যাঠা এনেছিল। সবাই "হ্যাপি বার্থডে" উইশ করছিল।তারপর কেক কাটিং পর্ব চলল।
কেক কাটিং পর্ব শেষ হয়ে গেলে ওরা পড়ার ঘরে চলে আসে। বাকি বাচ্চারা তখনও ঘরে হৈ-হুল্লোর করছিল। তারপর পড়ানো শুরু করি। যেহেতু কিছুদিন পরে আবার পুজোর ছুটি পড়বে, এবং বেশ অনেকদিন কামাই হবে, তাই জন্মদিনের দিনো পড়া অফ করেনি। তবে পাশের ঘরের যেহেতু অন্য বাচ্চারা হৈ হুল্লোড় করছিল তাই পড়াতে বেশ অসুবিধাই হচ্ছিল।
কিছুক্ষণ বাদেই ওর মা এসে আমাদের সকলের জন্য চিকেন ললিপপ দিয়ে যায়। আমরা তিনজন মিলে সেই চিকেন ললিপপ খেলাম। চিকেন ললিপপ শেষ না হতেই চলে এলো কেক। এই ভাবেই কিছুটা পড়া হলো, কিছুটা খাওয়া হলো, কিছুটা গল্প হলো। জন্মদিনের দিন কারোরই পড়ার প্রতি মনোযোগ থাকে না। এটা তো স্বাভাবিক। তবুও তার মধ্যে দিয়েও বেশ ভালোই পড়াশোনা হয়েছিল।
এভাবেই পড়াশোনা শেষ হলে আমি যখন বাড়ি যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছি, তখন ওর মা এসে বলল, "পিংকি না খেয়ে যেতে দেব না কিন্তু, খেয়ে যেতেই হবে।" আমার নিমন্ত্রণ ছিল দুপুর বেলায়। সেই মতো দুপুরে এসে আমি ইতিমধ্যে খেয়ে গিয়েছি। আবার খাবার খাওয়ার প্রসঙ্গে আমি একেবারেই রাজি ছিলাম না। আর তাছাড়া আমার ক্ষিদেও ছিল না। তবুও ওরা ছাড়তে নারাজ। অগত্যা আমাকে খেতে বসতেই হলো।
রাতের মেনুতে ছিল, লুচি, মুরগির মাংস, মিষ্টি আর পায়েস। তবে আমার পক্ষে বেশি কিছু খাওয়া একেবারেই সম্ভব ছিল না। তাই দুটো লুচি আর এক পিস মাংস আমি খেয়েছিলাম। ততক্ষণে বাকি বাচ্চারা খেয়েদেয়ে বাড়ি চলে গিয়েছিল। তাই আমার সাথেই বৃষ্টি ও সূর্য দুই ভাই বোন খেতে বসে পড়েছিল। তবে সব সময় সব জায়গায় খাবার সময় ছবি তোলা সম্ভব হয় না। তাই গতকালও রাতের খাওয়ার সময় ছবি তোলা হয়নি। যে ছবিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি সেটা কিন্তু গতকালের নয়।
এইভাবেই সারাদিনটা আমার কেটে ছিল। আজ তাহলে এখানেই শেষ করছি। আগামীকাল আবার অন্য কোনো লেখা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব। সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
আপনার এক ছাত্রীর জন্মদিনের গল্প অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এবং রাতে কিভাবে সেটা আনন্দ উপভোগ করেছেন সবকিছু তুলে ধরেছেন আপনার পোস্টের মাধ্যমে যেটা দেখে সত্যি ভালো লাগছে তার জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল তার আগামী দিনগুলো অনেক সুন্দর ভাবে কাটবে এই আশা করি।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।