Farewell এ আমাদের ফটো সেশন
নমস্কার বন্ধুরা। সকলে কেমন আছেন? আশা করছি সকলেই খুব ভালো আছেন। আচ্ছা আবারো চলে এসেছি আপনাদের সাথে নতুন কিছু গল্প শেয়ার করার জন্য। আশা করছি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।
কলেজের ফেয়ারওয়েল ডে নিয়ে আপনাদের সাথে গত দুটি পোস্টে অনেক গল্পই করেছি। তবে এখনো অনেক গল্প বাকি রয়ে গেছে। চলুন তাহলে আজকে আপনাদের সাথে বাকি খেতে যাওয়া গল্প গুলোই শেয়ার করি।
কলেজের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালীন আমরা একবার বাইরে বেরিয়ে মাঠ থেকে ঘুরে এসেছিলাম এবং সেই সাথে বেশ কিছু ফটোও তুলেছিলাম। যেহেতু অনুষ্ঠান শেষে সকলে মাঠেই ভিড় করবে। তাই আমরা আগে থেকেই বেশ কিছু ফটো তুলে নিয়েছিলাম। এই কলেজে এসে সমবয়সী খুব কম বন্ধু বান্ধবী পেয়েছি। বেশিরভাগ জনই আমার থেকে বয়সে ছোটো। মানে ঐ ২-১ বছরের ছোটো। তাই সকলেই আমাকে, 'পিংকি দি' বলে ডাকে। এই দুই বছরে আমি সকলের পছন্দের দিদি হয়ে উঠতে পেরেছি। কারণ সকলেই আমার কাছে যে কোন কিছু বিষয়ে সাহায্য চাইলে আমি তাদের সাহায্য করি। সত্যি কথা বলতে গেলে এই সকল কলেজে খুব ক্লোজ ফ্রেন্ডশিপ খুব কম জনেরই হয়। বেশিরভাগই আসলে প্রয়োজনের বন্ধুত্ব। তবুও কলেজে বেশকিছু ক্লাসমেট তথা বোনেরা ছিল যাদের কাছ থেকে আমিও অনেক সাহায্য পেয়েছি। কলেজের এই বিদায় দিনে তাদের সাথে ফটো না তুললে চলে।
এরা সকলেই আমার খুব পছন্দের।ওরা ভীষণই মিশুকে। ওদের গ্রুপের বাকি সকলেই ওদের পূর্ব পরিচিত কারণ ওরা একসাথে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছে একই কলেজ থেকে। প্রথম প্রথম ওদের সাথে কিভাবে মিশবো বুঝতে পারতাম না কারণ একে তো ওরা নিজেরাই খুব ক্লোজ ফ্রেন্ড, সেই সাথে আমি ওদের কাছে পুরোপুরি অপরিচিত একজন। তবে প্রত্যেকেই খুব মিশুকের স্বভাবের হবার ফলে আমাকে খুব সহজেই ওরা একসেপ্ট করে নিয়েছে। আর কলেজে গেলেই চারিদিক থেকে শুধু শুনতে পাই, 'পিংকি দি, পিংকি দি'... আমার বেশ ভালো লাগে।
ওদের সকলের সাথে ফটো তোলার পর সকলেই নিজে নিজের মতো করে কতগুলো ফটো তুলছিল। আমিও বা বাদ যাই কেন। আমিও যে ফটো তুলতে বেশ ভালবাসি। তাই এক বান্ধবী কে দিয়ে বেশ কিছু ফটো তুলে নিয়েছিলাম। যদিও সেই দিন যেহেতু বড্ড গরম পড়েছিল তাই আমি একেবারেই সেজে যেতে পারিনি, তাই ফটো তুলতেও খুব বেশি ভালো লাগছিল না। কারণ ফটোতে আমাকে বাজে দেখাচ্ছিল। তবুও কিছু স্মৃতি ধরে রাখার জন্য অল্প কয়েকটা ফটো তুলেছিলাম। তার মধ্য থেকেই বাছাই করে কিছু ফটো আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
এই ডি.এল.এড করতে এসে আরো অনেক বোন তথা ক্লাসমেট পেয়েছি। এরা সকলেই আমার থেকে ৩-৪বছরের ছোটো। তবে আগের গ্রুপটার মতো এই গ্রুপটাও কিন্তু একই সাথে একই কলেজে গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করেছে। তাই ওরাও সকলেই সকলের পরিচিত ছিল। তবুও ওরাও আমাকে নিজেদের গ্রুপের সাথে যুক্ত করে নিয়েছে। আর এই দুটো বছর আমরা সবাই মিলে বেশ মজা করেই কাটিয়েছি। তাই বিদায় দিনে এদের সাথেও ফটো না তুললে চলে? তাই আমরা অনুষ্ঠানের মাঝেই একবার বেরিয়ে সকলে মিলে ফটো তুলে নিয়েছিলাম।।
শুধু কি ফটো! একদমই না। ফটোর পাশাপাশি আমরা বেশ কিছু ভিডিও বানিয়েছিলাম। এখন বর্তমানে ফেসবুক খুললেই কত ধরনের ভিডিও দেখা যায়। তাই আমরা সব মেয়েরা মিলে একটা ভিডিও বানিয়ে ছিলাম। যদিও সকলে ছিল না। যারা ভিডিওতে আসতে ইচ্ছুক ছিল তাদেরকে নিয়ে ভিডিওটা বানানো হয়েছিল। আমি নিজে সেই ভাবে এক্সপ্রেশন দিতে না পারলেও মাঝে মাঝে এদের দলে ভিড়তে বেশ ভালোই লাগে। তাই আমিও ভিডিও করতে রাজি ছিলাম। আমাদের এক বন্ধু ভিডিওটা ক্যাপচার করে দিয়েছিল। আমি পরে সেটা এডিট করে নিয়েছিলাম। নীচে সেই ভিডিও লিংক শেয়ার করছি।
আজ তাহলে এখানেই শেষ করছি। আগামীকাল আবার অন্য কোনো গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করব। সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
TEAM - 01
Congratulations!! Your post has been upvoted through steemcurator04. We encourage you to publish creative and high-quality content, giving you a chance to receive valuable upvotes.
Curated by: abdul-rakib
Thank you so much for upvoting my post.