ফটোশ্যুট

in Incredible India9 hours ago

নমস্কার বন্ধুরা। সকলে কেমন আছেন? আজকে চলে এসেছি আপনাদের সাথে আরো একটি নতুন গল্প শেয়ার করার জন্য। আশা করছি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।

কিছুদিন আগেই হিন্দুদের একটি বড় উৎসব জন্মাষ্টমী ছিল। সেই সম্পর্কে আপনাদের বেশ কয়েকটি পোস্ট শেয়ার করেছি। আর এটাও বলেছিলাম যে সেই দিন অনেক বাবা-মায়েরাই তাদের সন্তানদের কৃষ্ণরূপে সাজিয়ে ফটো তুলতে ভালোবাসেন। সেই মতো আমাদের বাড়িতেও যে ছোটো বাচ্চা আছে মানে আমার ভাইপো, তাকে কৃষ্ণ রূপে সাজিয়ে একবার ফটো তোলা হয়েছিল। সেই ফটো আমি ইতিমধ্যে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। সেই পোস্টে আমি আপনাদের বলেছিলাম যে এই বছরও আমার ভাইপোকে আমরা ছোট্ট কৃষ্ণ রূপে সাজিয়েছিলাম। আজ আপনাদের সাথে সেই দিনের কিছু গল্প শেয়ার করব।

1000291839.jpg

এই বছর ভাইপো নিজেই ফটো তুলতে খুব আগ্রহী ছিল। ওকে খুব বেশি মোবাইল দেখতে দেওয়া না হলেও, খাবার খাওয়ার সময় একটু না দিলে বায়না করে, তাই শুধুমাত্র খাবার খাওয়ার সময়টুকুতেই ওকে মোবাইল দেখতে দেওয়া হয়। আর এই মোবাইল দেখতে দেখতেই ও অনেক বাচ্চাদের কৃষ্ণ রূপে সাজাতে দেখেছে। তাই এই বছর সেও কৃষ্ণ সাজার বায়না করেছিল। তাই দাদা- বৌদি ওকে সাজিয়ে ফটো তুলতে নিয়ে গিয়েছিল।

1000291843.jpg

বৌদি আমাকে আমার কিছু জুয়েলারি দিতে বলেছিল যেগুলো দিয়ে ওকে সাজাত। তবে সেই দিন বিকেলে আমি বাড়ি ছিলাম না। আর আগে থেকে কোন কিছু বের করেও রেখে যাইনি। তবে বৌদিকে বলেছিলাম যাতে আমার জুয়েলারির বাক্স থেকে বের করে নেয়। কিন্তু সত্যি কথা বলতে গেলে অল্প স্বল্প করে কিনতে কিনতে এত বেশি ইমিটেশন, স্টোন ইত্যাদির জুয়েলারি হয়ে গেছে যে প্রয়োজনের সময় যেটা চাই সেটা খুঁজেই পাওয়া যায় না। তাই বৌদি আর খোঁজে নি। যার ফলে এই বছর একটু অন্যরকম ভাবে সাজানো হয়েছিল। খানিকটা রাখাল বালকের মতো।

1000291847.jpg

সাজিয়ে বিকেলবেলায় ওকে আমাদের এখানকার একটি মাঠে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তবে তখন মাঠে কোন গরু না থাকাই, ছাগলের পাশে দাঁড় করিয়েই ফটো তোলা হয়েছিল। যেটা দেখে পরে আমরা খুব হেসেছিলাম। মাঠের মধ্যে এক বিরাট বট গাছ আছে। সেখানেও বেশ কিছু ফটো তোলা হয়েছিল। ছোটবেলায় যেমন ফটো তোলার সময় আমাদের ক্যামেরার এপার থেকে অনেক রকমের কর্মকাণ্ড করতে হয়েছিল সেই রকমটা কিন্তু এইবার করতে হয়নি। যেহেতু নিজের আগ্রহতেই ফটো তুলতে গিয়েছিল তাই খুব শান্ত ছিল। আর দাদা, যেভাবে ওকে দাঁড়াতে বলছিল ও ঠিক সেই ভাবেই দাঁড়াচ্ছিল। এইসব গল্প আমি পরে বৌদির কাছ থেকে শুনেছি।

1000291841.jpg

ফটোগুলো দেখে মনে হচ্ছে বাচ্চাটা আমাদের কত বড় হয়ে গেছে। সত্যিই তো এই তো সেদিন হসপিটাল থেকে বাড়ি এল। আর চোখের পলকেই যেন কত বড় হয়ে গেল। সব বাচ্চারাই তাদের বাবা-মা এবং আপনজনদের কাছে প্রিয় হয়। ঠিক তেমনি আমার ভাইপোও আমার খুব স্নেহের। ওর মায়া ভরা মুখটা দেখলে মনটা ভরে যায়। পড়িয়ে বাড়ি এলে এক গাল হাসি নিয়ে সামনে এসে যখন বলে, "আজকে দাদাদের পড়ানো হয়ে গেছে? আর যাবা না তো?" তখন যেন সব ক্লান্তি চলে যাই। এই ভাবেই যেন আমাদের বাচ্চা হাসি- খুশিতে থাকে সেটাই সকলে আশীর্বাদ করবেন।

1000291845.jpg
আজ তাহলে এখানেই শেষ করছি। আগামীকাল আবার অন্য কোনো লেখা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব। সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।