আজ সারাদিনের খাওয়া-দাওয়া

in Incredible India14 days ago

নমস্কার বন্ধুরা। সকলে কেমন আছেন? সকলে সুস্থতা কামনা করে আমি আমার আজকের ব্লগটি শুরু করছি। আজকে চলে এসেছি আপনাদের সাথে আমার আজকের সারাদিনে খাওয়া কিছু খাবারের ছবি তার সাথে কিছু গল্প শেয়ার করার জন্য। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।

1000279911.jpg

প্রথমেই শুরু করি সকাল দিয়ে। আজ সকাল থেকেই আকাশ মেঘলা হয়ে ছিল। মাঝে মাঝেই বৃষ্টি পড়ছে। এরকম ওয়েদারে মাঝে মাঝে বাড়িতে থাকতে ভীষণ ইচ্ছে করে। তবে সব সময় তো তা হয়ে ওঠেনা। তবে মাঝে মাঝে কাজের ফাঁকে নিজের জন্য কিছুটা সময় বের করে নিতে হয়। আজকে সকালেও আমার পড়ানো ছিল। তবে আজকে পড়াতে যেতে একেবারেই ইচ্ছে করছিল না। একদিন পড়াতে না গেলে সেই পড়ানোটা আবার অন্য একদিন যেতে হবে জেনেও আজকের দিনটা কামাই করলাম। সকালে খুব লুচি খেতে ইচ্ছা করছিল। তাই নিজেই সমস্ত উদ্যোগ নিয়ে ময়দা মেখে, বেলে লুচি করতে বসে গেলাম। সকলের জন্য লুচি ও আলু-ছোলার ডালের তরকারি করে সকালের জলখাবার সারলাম। সকাল সকাল এরকম জলখাবার কার না ভালো লাগে। হ্যাঁ যারা একটু বেশি স্বাস্থ্য সচেতন তারা হয়তো পছন্দ করবে না। আমিও প্রতিদিন পছন্দ করি না। তবে মাঝে মাঝে বেশ ভালোই লাগে।

1000279908.jpg

সকালে এরকম একটা ভারী জলখাবার খাবার পর খুব তাড়াতাড়ি খিদে পায় না। আমারও তাই হয়েছিল। তবে আমার মনেই ছিল না আজকে দুপুরে আমার আর শুভায়নের এক জায়গায় নিমন্ত্রণ আছে। মানে ওর একটা বন্ধুর SBI Bank এ চাকরি হয়ে গেছে সেই উপলক্ষ্যে আমাদের ট্রিট দিত। ওর ওই বন্ধুর সাথে আমারও ভালো বন্ধুত্ব হয়ে গেছে। সমবয়সী তো তাই বন্ধুত্ব হতে বেশি সময় লাগে না। যাইহোক, দুপুর একটা-দেড়টা নাগাদ শুভায়ন অফিসের লাঞ্চ টাইমে আমাকে নিতে চলে এসেছিল। আসার পথে ও ওর বন্ধুর জন্য একটা ঘড়ি কিনে এনেছিল গিফ্ট দেওয়ার জন্য। তারপর আমরা চলে গিয়েছিলাম আমাদের বাড়ির কাছেই হ্যাংলা নামক রেস্টুরেন্টে। সেখানে ওর বন্ধুও এসে হাজির হয়। তারপর আমাদেরকে এই আমাদের পছন্দমত খাবার অর্ডার দিতে বলা হয়। সেই মতো আমরা আমাদের পছন্দের স্টার্টার প্যান ফ্রায়েড মোমো অর্ডার করেছিলাম। এটা খেতে আমি যে কতটা ভালোবাসি ,সেটা আমি আমার গত অনেক পোস্টে বলেছি। এই রেস্টুরেন্টে গেলে এটা আমি খাবোই। আগের দিন খুব ড্রাই ছিল এই মোমো গুলো, তাই আজকে একটু গ্রেভি দিতে বলেছিলাম। তবে যখন দিল তখন দেখি একটু বেশিই দিয়ে ফেলেছে। যাইহোক আমাদের সকলের খুব ভালো লেগেছিল। এরপর আমরা সবাই বাটার গার্লিক নান, বাটার তান্দুরি রুটি আর বাটার চিকেন কোর্মা অর্ডার দিয়েছিলাম। প্রত্যেকটা আইটেম খুব ভালো ছিল। খাওয়া-দাওয়া সেরে, গল্প গুজব করে, একটা ভালো সময় কাটিয়ে একে অপরকে বিদায় জানিয়ে বাড়ি ফিরে এসেছিলাম। আসার পথে রাস্তায় আমি আর শুভায়ন দুটো কুলফিও খেয়েছিলাম। দুপুরের সময়ে এই কুলফিটা খেতে বেশ ভালো লাগছিল।

1000279916.jpg
এরপর বিকেলের পড়ানো সেরে একটা বিশেষ কাজে শ্বশুর বাড়ি যেতে হয়েছিল। তাই যাওয়ার পথে গরম গরম সিঙ্গারা নিয়ে গিয়েছিলাম। ওদের বাড়ির কাছে একটা মিষ্টির দোকান আছে সেটা বেশ বিখ্যাত এবং এখানকার সিঙ্গারা থেকে মিষ্টি সবই খুব ভালো খেতে হয়। তাই সেখান থেকেই সিঙ্গারা নিয়ে গিয়েছিলাম। যেহেতু আমার পেট অলরেডি ভরা ছিল তাই আমি সিঙ্গারা খেতে চাইনি। তবে সবাই জোড়াজুড়ি করাই শেষমেশ একটা সিঙ্গারা থেকে ভেঙে একটুখানি খেয়েছিলাম। আমাদের এখানে কোন কোন দোকানে সিঙ্গারার সাথে একটা চাটনি দেয়। এই চাটনি টা খেতে আমার বেশ ভালো লাগে। চাকরিটা মিষ্টি রস তেঁতুল দিয়ে বানায়।

1000279914.jpg

এখানেই শেষ নয়। পিকচার আভি বাকি হে মেরে দোস্ত। রাতে বাড়ি ফিরে দেখি বাড়িতে চিকেন আর রুটি হয়েছে রাতের খাবার হিসেবে। দাদার চিকেন খেতে খুব ইচ্ছে করছিল তাই রাতেই কিনে এনেছে। আর বৌদি তো রান্না দারুন করে তাই পেটে জায়গা না থাকলেও সে লোভ কি সামলানো যায়। তাই কিছুক্ষণ শুয়ে বসে আরাম করার পর একটু রাত করে দুটো রুটি ও চিকেন খেয়ে নিয়েছিলাম। সত্যিই আজকের খাওয়া-দাওয়া টা একটু বেশিই হয়ে গেছে।

1000279913.jpg

এই হলো আজ সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আমার খাওয়া-দাওয়ারের তালিকা।আজ তাহলে এখানেই শেষ করছি। আগামীকাল আবার অন্য কোনো লেখা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব। সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

Sort:  

Hello @pinki.chak, thank you for your contribution to our account.

 13 days ago 

Thank you so much

Loading...
 13 days ago 

আজকে তুমি এত খাবার-দাবার খেয়েছো দেখে আমার খেতে ইচ্ছে করছে। বৃষ্টির দিনে কারোর বাড়িতে পড়াতে যেতে একদম ইচ্ছে করে না ।তোমার মত আমারও ঠিক একই রকম হতো। তবে কামাই করলে উপায় নেই আবারও একদিন পরিয়ে দিতে হয়। সকালবেলায় নিজে হাতে লুচি ভেজে খেয়ে নিয়েছিলে, সকালবেলায় স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে লুচি খেতে খুব ভালো লাগে। এরপর দুপুরে বাইরে খাওয়া দাওয়া করেছিলে। এখনকার দিনে যে চাকরি পায় তাহলে সেই উপলক্ষে ট্রিট দেয়। এই উপলক্ষে খাওয়া-দাওয়া করতে ভীষণ মজা লাগে। আসলে বন্ধুত্বের মধ্যে এই সবগুলো থাকা খুবই জরুরী। যাইহোক বাইরে সমস্ত ভালো ভালো খাবার খেয়েছ এরপর বাড়িতে এসে বৌদির হাতে চিকেন আর রুটি এ খাওয়া মজাই আলাদা। বাড়িতে যেকোনো ভালো খাবার তৈরি হলে যদিও পেট ভরা থাকে তবুও একটু খেতে মন চায়। আজকে সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করে নেওয়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।