আজকের সন্ধ্যা।
![]() |
---|
Hello Steemians,
আজকের দিনটা খুব একটা ভালো ছিল না, হঠাৎ করেই সকালে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। তবে বর্তমানে কাজ এমনিতেই মনের মতো নেই, অন্যদিকে এই অসময়ে ঘুমানোর জন্য আরো বিরক্তই লাগছিল।
![]() |
---|
আমার ভাগ্নে কয়েকমাস পর বাড়িতে এসেছে, তাই ওকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসার জন্যই বেরিয়েছিলাম। তবে বাড়ি অবধি যেতে ইচ্ছে করছিল না, তাই মন্দিরের মাঠের দক্ষিণ পাশে থাকা ভাঙ্গা কল পাড়ে বসে অপেক্ষা করছিলাম। এটা খুব ভালো যে আমার ভাগ্নে একটু অন্যান্য ছেলেদের থেকে ব্যতিক্রম। প্রকৃতপক্ষে, ব্যতিক্রম বলতে ও খুব ঈশ্বর ভক্ত পরায়ণ একটা ছেলে।
আমাদের পাড়াতে ইতিপূর্বে আমি কখনোই এইরকম ঈশ্বর ভক্ত কোনো ছেলে দেখিনি। সন্ধ্যা আন্হিক করার জন্যই বাড়ি থেকে বেরোতে বিলম্ব হচ্ছিল। তবে আমার একটু সমস্যাই হচ্ছিল মশার কামড়ে। গ্রামে হোক বা শহরে এই মশার উপদ্রবের একটাই কারণ পঁচা ডোবা ও ময়লা। ছবিতেই দেখতে পারছেন কতো পাতা পড়ে রয়েছে, আবার পাশেই একটা ডোবা রয়েছে। যে কারণেই এখানে এই মশার উপদ্রব বেশি।
![]() |
---|
হঠাৎ করেই আকাশের ঈশান কোণে চোখ পড়তে দেখলাম চাঁদটা দেখতে অসাধারন লাগছে। মোবাইলের ফ্লাস আর চাঁদের আলো উভয় মিলে এক অন্যরকম দৃশ্য যেন ক্যামেরা বন্দি হয়েছে।
কোনো কিছুকে সুন্দর বোঝাতেই আমরা এই চাঁদের কথা বলি। তবে আমরা এটাও জানি যে চাঁদ ও নিখুঁত না, তবে আমরা আমাদেরকে সর্বদাই পারফেক্ট মনে করি। এমনকি বাহ্যিকভাবে এমন আচরণ করি যেটা আমাদের ভেতরের চরিত্রের সম্পূর্ণই উল্টো।
![]() |
---|
![]() |
---|
ভাগ্নেকে বাড়িতে নিয়ে এসেই আমি কাকুর রুমে গিয়েছিলাম রণিত অর্থাৎ আমার কাকাতো ভাইয়ের কাছে। আমার ও কোনো কাজ করতে ইচ্ছে করছিল না। তাই সুযোগে একটু দুষ্টুমি করতে গিয়েছিলাম। তাছাড়া, ওদের ও পড়াশোনার অনেক চাপ থাকে যে কারণেই এইরকম সময় অতিবাহিত করার সুযোগ হয় না।
এই পিচ্চি দুটো সুযোগ পেলেই আমার পেছনে লাগে, তবে হ্যাঁ সেইটা আমার মুড বুঝে। ভীষণ চালাক, যদি বিপদ তো ঘটে তখন আমার মুড ওরা না বুঝেই আমার সাথে দুষ্টুমি করে। মাঝেমধ্যে তো ২/৪ টা কিল/ঘুষি ও দিয়ে দিই।
হাঁ হাঁ, আজ সুযোগ বুঝেই আমি উল্টোটা করতে শুরু করেছিলাম।রুমে ঢুকেই দেখলাম রণিত ব্যায়াম করছিল, পেছন থেকে ধরে নিয়েই মেঝেতে শুইয়ে দিলাম। কি দূষ্ট সে আর উঠছিল ই না। তাই আবার ধরে খাটে রেখে কিছুক্ষণ ওর মতোবিরোধী কাজ ইং করলাম।
![]() |
---|
অন্যদিকে আমার কাকিমা আমাদের জন্য তালের বড়া ভাজি করছিল। তাই আর বিলম্ব না করে কয়েকটা খেয়েই নিলাম। অনেক দিন বাদেই এইরকম একটা সন্ধ্যা উপভোগ করলাম।
আমাদের দেশের শহরে না বরং গ্রামেও এখন একক পরিবার এবং এ কারণেই হয়তো এখন আর যৌথ পরিবার দেখা যায় না। পাশাপাশি, মানবিকতা বা ভাই-বোনের যে সম্পর্ক সেখানে ও খানিকটা ভাটা পড়েছে বলে মনে হয়।
আমার তো মনে আছে যখন ছোট ছিলাম আমার সহপাঠী বা ভাই-বোনের সাথে কেউ ঝগড়া করলে উত্তম মধ্যম অর্থাৎ ধরে থাপ্পড় বা কিল দিতাম। এখনও বাজারের পাশের এক সহপাঠী সেই পুরোনো দিনের কথা মাঝে মাঝে মনে করিয়ে দেয়।
আমার এক সহপাঠী ভাইকে ঐ ছেলেটা মেরেছিল কিন্তু তখন আমি জানতাম না। বাড়িতে ফেরার পথে যখন বলেছিল তখনই বইয়ের ব্যাগ অন্য একজনের হাতে দিয়ে মাটির রাস্তায় ভীষণ মার দিচ্ছিলাম এবং সারা শরীরে কাঁদা মেখে দিয়েছিলাম।
আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যে আন্তরিকতা ও ভাই- ভাই, ভাই-বোনের সম্পর্ক ভালো করতে আমাদের পরিবাররাই পারে যদি তাঁরা বিষয়টা নজর রাখেন। কারণ বাবা মায়ের অন্যদের সাথে সম্পর্ক যেটা সন্তানদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আমার আজকের লেখাটা এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
Thank you ma'am @lirvic