Hello Steemians,
অনেকদিন বাদে পড়ন্ত বিকেলে ফটোগ্রাফি করার উদ্দেশ্যেই বেরিয়ে পড়েছিলাম। হাঁটতে একটু সমস্যাই হচ্ছিল, কারণ সারা শরীরে প্রচন্ড ব্যাথা হয়েছিল হঠাৎ করে একটু ভারী কাজ করার জন্যই।
রাস্তায় বেরিয়ে দেখলাম দুজন ১৬/১৭ বছর বয়সী ছেলে এদিক ওদিক হাঁটাহাঁটি করছিল। তবে দেখে আমাদের এলাকার মনে হচ্ছিল না। তাছাড়া বর্তমানে পরিস্থিতি তেমন ভালো না যে কারণেই ডেকে জিজ্ঞেস করলাম। হ্যাঁ, আমাদের এলাকারই ওরা, তবে চাকরি সূত্রে বাবা মা বাইরে থাকার কারণে ওরা এখন ভিনদেশীদের মতোই। শুধু মাত্র এরা না বিকেল হতে না হতেই রাস্তায় বেরোলে আমার পাড়ার অনেক ছেলে মেয়েকেই দেখা যায় এভাবে হাঁটতে বেরিয়েছে।
এই পাতাটা হয়তো সকলেই চিনবেন; এটাকে বলা হয় থানকুনি পাতা। এটা রান্না করে ও খাওয়া যায় আবার কাঁচা ও খাওয়া যায়। গ্রামের মানুষের কাছে এই পাতা গুলো যদিও সহজলভ্য তবে শহরের মানুষেরা এই থানকুনি পাতার খুব মূল্যায়ন করে।
পাড়ার অনেকেই ছাগল পালন করে, পড়ন্ত বিকেলে রাস্তার পাশে থাকা ঘাস খেতে খেতেই তাঁরা তাঁদের ঘরে ফিরছিল। প্রায় সময় রাস্তায় এসে ঘাস খায় আর লোকজন ও হাঁটাহাঁটি করে ওদের কাছ দিয়ে যে কারণে ওদের ভয় একদমই নেই বললে চলে।
প্রকৃতি কখন যেন তাঁর রং বদলে নেয় চোখের পলক পড়ার আগেই ভিন্ন চিত্র। এইরকম পোড়া মাটির রংয়ের মেঘের মাঝখানে এক খণ্ড সাদা মেঘ। দেখতে কি অদ্ভুত। এই যে পরিবর্তন যেটা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আর একটা রূপ। কিন্তু আমাদের এভাবে দৃশ্যমান না যে কারণে এটার প্রভাবটা আর বললামই না।
আমাদের গ্রামের পশ্চিম পাশের বিলে অনেকেই সবজি চাষ করে যেটা আমি জানতাম না। আমার পাশের বাড়ির কাকুর অনেক বড় সবজি ক্ষেত আছে এখানে, হয়তো কাকুর সবজি চাষ দেখে দেখে অনেকেই এখন শুরু করেছে। এই বড় সবজি ক্ষেতটাতে মূলত করলা চাষ করা হয়েছে। কিন্তু গাছের চেহারা দেখে আমার বিশেষ ভালো লাগলো না। যদিও ওপর থেকে গাছ দেখতে মোটামুটি ভালো কিন্তু ফল একদমই নেই বললে চলে।
একই সাথে আমি উল্টো দিকে থাকা একটা করলা ক্ষেতের ঝুলে থাকা ফলের ছবি তুললাম। যদিও এখানে কিছু ফল দেখা যাচ্ছিল তবে খুব ভালো না। কারণ আমার মামারবাড়িতে ও অনেক বেশি জায়গা নিয়েই বার মাস সবজি চাষ করা হয়। এই বছর ও প্রতি সপ্তাহে ৭০০/৮০০ কেজি করে করলা তোলা হচ্ছে। যে তুলনায় এই সবজি ও ফল একদমই কম।
এই ছবিটা লক্ষ্য করলেই দেখতে পারবেন ইটের ভাটার মতো একটা দৃশ্য। এটাই রামপালের সেই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। আমার পশ্চিম পাশের বিলে গেলেই এইটুকু দেখা যায় যে ধোঁয়া বের হচ্ছে।
পড়ন্ত বিকেলের পশ্চিম আকাশে ডুবে যাওয়া রক্তিম সূর্যটা দেখতে খুবই ভালো লাগছিল। তবে আমার সাথে আরো কয়েকজন ছিল। রীতিমতো আমার মাথাই নষ্ট করে দিচ্ছিল আজকের চন্দ্র গ্রহণ নিয়ে। এ কারণেই নাকি আজকে আকাশের এই অবস্থা।
ফিরেই যাচ্ছিলাম বাড়ির দিকে কিন্তু হঠাৎ পশ্চিম দিকে তাকাতেই দেখলাম অন্যরকম একটা দৃশ্য। বিলম্ব না করেই মোবাইলটা বেরিয়ে একটা ছবি তুলে নিলাম। বিগত ২/৪ বছরেও আমি কখনো আকাশে এই ধরনের দৃশ্য দেখিনি।
অনেক ইচ্ছে ছিল চন্দ্র গ্রহণ দেখবো কিন্তু পোস্ট লেখা শুরু করেছিলাম যে কারণে ভুলেই গিয়েছি। তবে হ্যাঁ ঐ যে আমার মনে না থাকলেও আমার ইচ্ছাকে মনে রেখেই আমার প্রিয় এবং শ্রদ্ধাভাজন একজন মনে করে দিল। আমি বিলম্ব না করেই বাইরে বেরিয়ে ছবি তুলে নিলাম। মা-বাবার নিষেধ যেন না দেখি তাই তড়িঘড়ি করেই কয়েকটা ছবি তুললাম।
Congratulations!! Your post has been upvoted through steemcurator04. We encourage you to publish creative and high-quality content, giving you a chance to receive valuable upvotes.
@abdul-rakib, thank you so much for your valuable support 💓🙏