Photography

in Incredible India21 days ago
1000006137.jpg

Hello Steemians,
ওহ! ইতিমধ্যে অনেক রাত কি যে করবো এটাই বুঝতে পারছিলাম না। পি সি তে বসে এদিক ওদিক একটু ঘাঁটাঘাঁটি করতে করতেই প্রায় বারোটা বেজেছে। এই যে এখন লেখার জন্য বসেছি তবে বাংলাদেশ সময় দুইটা। সত্যি বলতে ভুলেই গিয়েছিলাম পোস্ট লেখার কথা। অন্যদিকে কি নিয়ে পোস্ট করবো এটাই খুঁজে পাচ্ছিলাম না।

তাছাড়া, বিভিন্ন বিষয়ের কারণে মাথাটা ও গরম হয়ে আছে। এই পৃথিবীর সবচাইতে বেঈমান হলো মানুষ নামক জীব যেটার প্রমাণ কয়েকদিন ধরেই পাচ্ছি। দেখুন অর্থ আমাদের সকলের প্রয়োজন তবে সেইটা কি যা ইচ্ছে তাই করে। আমরা সামান্য অর্থের জন্য অতীতকে ভুলে যাই। ঐ যে বড় হওয়ার সাথে সাথে আমাদের আর শৈশবের কথা মনেই থাকে না। যে কারণেই আজ বৃদ্ধাশ্রম নামক একটা প্রতিষ্ঠানের জন্ম হয়েছে। আরে এটা স্বাভাবিক তাই নয় কি? যেখানে সন্তানরা তাঁদের মা বাবাকেই মনে রাখে না।

ওহ! এরা মানুষ নামের মিনিমাম কোনো যোগ্যতাই রাখে না। এর থেকে পোষ্যরা শতগুনে সম্মানের। যাইহোক, কোনো টপিক মাথায় ছিল না। তবে পোস্টের কথা মাথায় রেখেই দুপুরে কয়েকটা ছবি তুলে রেখেছিলাম।

1000006118.jpg

শরতের রৌদ্রজ্জ্বল দুপুর যেন অন্যরকম একটা সৌন্দর্য্য দেখার সুযোগ করে দিয়েছে। ভরদুপুরে রাস্তায় লোকজন ও কম দেখা যায় যে কারণে রাস্তায় হাঁটতে ও ভালো লাগছিল। রাস্তার দু'পাশে গাছের সারে যে কারণে ছায়া ঘেরা রাস্তা সেই মনে হচ্ছিল।

1000006119.jpg
1000006120.jpg

এটা আমাদের মন্দিরের দক্ষিণ পাশের রাস্তার ডান পাশের একটা দৃশ্য। যেখানে বহুদিন ধরেই এই দেশীয় কচুগাছ গুলো রয়েছে। সত্যি বলতে আমাদের কাছে মাঝে মধ্যেই অপ্রয়োজনীয় মনে হয় কিন্তু যখন দেখি হতদরিদ্র অনেক নারীরা এখানে এসে তাদের পরিবারের জন্য কচুগাছের ডগা কেটে নেয় তখন ভালোই লাগে। ঐ মূহুর্তে আর মনে হয় না যে এগুলো অপ্রয়োজনীয়। কারণ গ্রামের এই একটাই সুবিধা যে রাস্তা বা বাগান থেকেও অনেক সবজি পাওয়া যায় যেগুলো স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী ও বটে।

তাছাড়া এই কচুগাছ একটু স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায়ই ভালো হয়।

1000006122.jpg
1000006121.jpg

গ্রামের রাস্তার পাশে যে পুকুরগুলো রয়েছে সেখানে কিছু না কিছু গাছ রয়েছে। এমনও কিছু গাছ আছে যে ১০-১৫ বছর বয়সী ছেলে মেয়েরা সেগুলোর নামও জানেনা। তবে গাছগুলো সরাসরি আমাদের কাজে না আসলেও আমাদের জন্য অনেক উপকারী।

1000006125.jpg

এ বছর আমাদের এলাকার বাগদা চিংড়ির অবস্থা খুব একটা ভালো না। অধিকাংশ বড় বড় জলকরের সব বাগদা চিংড়ি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে। তবে হ্যাঁ এটার বিকল্প তো থাকবেই। ঠিক তেমনি ভাবে কতদিন এলাকায় যেগুলোতে বাগদা চিংড়ি মারা গিয়েছে সেখানে সাদা মাছের চাষ করা হয়।

এই যে রাস্তার ডান পাশে যে জাল মেলে দেওয়া হয়েছে শুকানোর জন্য এই জাল দিয়েই জেলেরা মাছ ধরে। মূলত আমাদের পুরনো বাড়ির ছোট কাকুর পুকুর থেকে মাছ ধরার কথা ছিল যে কারণেই ওই দুপুর বেলা আমি রাস্তাতে গিয়েছিলাম।

1000006128.jpg

এই রাস্তাটা আমাদের গ্রামের পশ্চিম বিলের দিকে যাওয়ার যে রাস্তার দুই পাশে দীর্ঘদিন ধরে অনেক গাছ দাঁড়িয়ে রয়েছে। এই রাস্তাটা গরমের দিনে আমাদের জন্য আরামদায়ক ও বটে। তবে আপনারা যে মাটির রাস্তা দেখতে পারছেন এখানে পূর্বে কোনো রাস্তা ছিল না বরং এখানে ছিল একটি ছোট্ট খাল।

জোয়ার ভাটার কারণে কিন্তু গাছপালা এবং মাছ ও অন্যান্য ফসল ভালো হয়। এই খাল গুলো বন্ধ হওয়ার কারণেই আমাদের এই দুর্দশা। আমাদের এখানে এখন যত প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটে কিছুর পেছনে রয়েছে গাছের পরিমাণ কমে যাওয়া।

Sort:  
Loading...