Better Life with Steem||The Diary Game|| 01st September 2025

in Incredible India26 days ago
1000005991.jpg

Hello Steemians,
আবারো আজ দূর্দান্ত একটা দিনের কার্যক্রম নিয়ে চলে এসেছি। রাধা অষ্টমীর পর দিন, এই দিনেই যেন কাজ আরো বৃদ্ধি পায়। যদিও অনুষ্ঠানের পর্ব গুলো সমাপ্ত কিন্তু পারণের পরপরই শুরু হয়, খিচুড়ি, পায়েস, ডাল ও সুজির পায়েস রান্নার। তার ওপর আবার মন্দির ছাড়া ও পাড়ার দুই বাড়িতে অনুষ্ঠান যে কারণে মন্দিরে নারীদের একটু ঘাটতি দেখা যাচ্ছিল।

1000005975.jpg

সকালের কাজ সেরে খাবার খেয়ে বের হতে হতেই প্রায় এগারোটা বেজে ছিল। তবে পৌঁছে দেখলাম আমার মা ও পিসি সেখানে ইতিমধ্যে উপস্থিত এবং সকলের সহযোগিতায় খিচুড়ি প্রস্তুতির কাজ শুরু ও হয়ে গিয়েছিল। সেখানে আর বেশিক্ষণ বিলম্ব না করেই দক্ষিণ পাড়ার দিকে গেলাম।

1000005985.jpg
1000005986.jpg
1000005984.jpg

ঐ বাড়িতে ও খিচুড়ির পূর্ব প্রস্তুতি চলছিল উঠোনে। যেহেতু, বাড়িতে আয়োজন তাই সেখানে ঐ পরিবার ও বাড়ির লোকজন এবং তাদের আত্মীয় স্বজনের উপস্থিতিই বেশি ছিল। অন্যদিকে সার্বজনীন মন্দিরে ও কাজ চলছিল তাই এই বাড়িতে লোকজন কম।

1000005983.jpg

ঐ যে কথায় বলে রাখে ঈশ্বর মারে কে? ঠিক তেমনি এই সেই বড়মা বিগত এক/দেড় বছর ধরে সেই ভয়ংকর দূরারোগ্য ক্যান্সারে ভুগছেন। বিগত দিন গুলোর ৯৫% সময়ই তিনি পাশ্ববর্তী বন্ধু রাষ্ট্র ভারতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অতিবাহিত করেছিলেন। এই তো কিছুদিন আগেই দেশে ফিরেছেন। সেই বড়মা আজ রাধা অষ্টমীর পর সুজির পায়েস রান্না করছে।

1000005984.jpg

রান্নার সকল প্রস্তুতি শেষ, বাকি রইলো শুধুমাত্র মন্দিরের হাঁড়ি ভাঙ্গার পালা। আমি তাৎক্ষণিকভাবে বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম ও স্নান সেরে নিলাম ও মন্দিরের উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলাম।

1000005988.jpg
1000005989.jpg
1000005990.jpg
1000005991.jpg
1000005992.jpg
1000005993.jpg

ঐ বাবা! স্নান সেরে মন্দিরের মাঠে পৌঁছাতেই দেখলাম পাড়ার ছোট ছোট ভাই-বোনেরা রাধাকৃষ্ণ সেজে মাঠে উপস্থিত। তবে মন্দিরে বড়রা কেউই নেই। রাতে মন্দিরে জেগে থাকা আবার সকালে এতো রান্না করে সবাই ক্লান্ত। তাই বাড়িতে গিয়েছিল স্নান সেরে নিতে।

1000005995.jpg

মেকাপ সম্পর্কে আমার কোনো ধারণাই নেই। এই মেকাপ দেখে আমার ভীষণ হাঁসি পাচ্ছিল কিন্তু হাসা বারণ। ছোট ভাই বায়না ধরেছে ছবি তুলে দিতে হবে। আবার আমার পিছু নিয়েছে পাড়ার অন্য দুই বাড়িতে ও যাবে তাঁরা।

1000006005.jpg
1000005996.jpg
1000006004.jpg

বড়'মাদের বাড়িতে পৌঁছাতেই সোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছিল। এবার সাজা রাধাকৃষ্ণ যুগল মন্দিরের হাঁড়ি ভাঙ্গলো‌। গরম ও যেন ঐ দিন একটু বেশি ছিল। যে কারণে দাঁড়াতে ও মন চাচ্ছিল না।

তাই সকলের সাথে তোড়জোড় করে অন্যদিকে একটু প্রসাদ দেওয়ার কাজ করছিলাম। মোবাইল আর হাতে রাখার উপায় নেই। ঐ বাড়ির সকল প্রসাদ বিতরণ শেষ করে, আবার ফিরে গেলাম মন্দিরে। আবার মন্দিরে পৌঁছে ও প্রসাদ বিতরণ করতে করতেই রাত হয়ে গিয়েছিল।

এভাবেই সারাদিন অতিবাহিত করেছিলাম। আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।

Sort:  
Loading...

Congratulations! Your post has been supported by our team

InShot_20250801_084743252.jpg

Curated by @aviral123

 26 days ago 

@aviral123, thank you so much for your response & support ☺️