Better Life with Steem||The Diary Game|| 06 August 2025
![]() |
---|
Hello Steemians,
দীর্ঘ এক মাস সাতদিন বাদে গতরাতে ঘুমিয়েছি, তবে এমনভাবে ঘুমিয়েছি যে আজ সন্ধ্যায় ঘুম ভেঙ্গেছে। যদিও সন্ধ্যা হতেই আমি কম্পিউটারের সামনে বসি কাজ করার উদ্দেশ্যে কিন্তু আজ কাজ করতে ইচ্ছে করছিল না। ঘুমের কারণে আজ দুপুর স্নান করা হয়নি। তাই পি সি অন করে রেখেই আমি সন্ধ্যায় স্নানে গিয়েছিলাম।
পোস্ট লেখার উদ্দেশ্যে সবেমাত্র মোবাইলটা হাতে নিয়ে ব্রাউজারে প্রবেশ করেছি। তখন একটা বিষয় দেখে ভীষণ হাসলাম। প্রকৃতপক্ষে আমরা জল খাই কিন্তু কোনো কোনো সময় সেটাকে ঘোলা করে খাই। আজকের দিনটা ঘুমিয়েই অতিবাহিত করেছি তাই আজকের দিন সম্পর্কে লেখার মত কিছুই নেই। তবে আমার অন্য একটি দিনের কার্যক্রম তুলে ধরতে চলে এসেছি।
![]() |
---|
সকালে ঘুম থেকে উঠেই নিজের কাজ সেরে সকালের খাওয়া-দাওয়া শেষ করে মোবাইল হাতে কিছুক্ষণ বসেছিলাম। তারপরেই ছাতা হাতে নিয়ে রাস্তায় বেরিয়েছিলাম। ইতিমধ্যে দুপুর বারোটা তখন রাস্তায় দেখলাম দলবেঁধে বিদ্যালয় থেকে শিশুরা বাড়িতে ফিরছিল। শিশুদের সাথে মায়েরাও ছিল, কারণ রাস্তায় কুকুরের সংখ্যা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। শিশুদের ফাঁকা পেলেই ধাওয়া করতে শুরু করে।
![]() |
---|
ইদানিং ফুটবল খেলা দেখলে যদিও ইচ্ছে করে কিন্তু মাঠে নামি না। সবে মাত্র এক মাসের একটু বেশি সময় অতিবাহিত হয়েছে আমার এক কাকুর পা ভেঙে এখনো অফিস ছুটি নিয়ে বসে রয়েছে। এই অবস্থাতেও বিসিএস এর লিখিত পরীক্ষা দিয়ে গতকাল বাড়িতে ফিরে এসেছে। কিছু দুর্ঘটনা আমাদের জন্য সাবধানতা এবং শিক্ষা ও বটে।
বর্তমান মাঠ বাদ দিয়ে রাস্তায় এভাবে ফুটবলের অনুশীলন চলছে। এটা এক দিক দিয়ে ভালো কারণ আমাদের এখানে যে মাঠে ফুটবল খেলা হয় সেই মাঠ'টা ফুটবল খেলার উপযুক্ত না। যে কারণেই আমার কাকুর পা'টা ভেঙে গিয়েছিল।
এমন কেউ আছে বলে আমার মনে হয় না যারা গ্রামে থাকে কিন্তু শৈশবে এইভাবে স্নান করেনি। তবে এভাবে একা না বরং দলবদ্ধ ভাবে। আমিতো মামার বাড়িতে ঘনঘন এসব কারণেই যেতাম কারণ ওখানে আমার দলীয় লোকজন একটু বেশিই ছিল। তাছাড়া মামার বাড়ির কাছাকাছিই বড় একটি নদীর শাখা যেখানে বাঁধা দেওয়ার মতো কেউ থাকতো না। যে কারণে দুপুর হতে না হতেই দলবেঁধে আমরা চলে যেতাম।
পুকুরে সাঁতার কাটা এবং লাফিয়ে পড়া এই পিচ্চিটা ছিল আমার এক জ্যাঠাবাবুর ছেলে। প্রতি দুপুরেই মায়ের বকুনি শোনার পর তাকে পুকুর থেকে ওপরে আসতে হয়। তবে আমার উপস্থিতিতে সে অনেকটা নিরাপদ ছিল কারণ বড়মা আমাকে দেখেই সেখানে আর আসেনি।
![]() |
---|
বাড়িতে ফিরে দুপুরে খাবার খেয়ে একটু কাজের জন্য বসেছিলাম। বিকেল হতে না হতেই দেখলাম আকাশে মেঘের ঘনঘটা এবং কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই ভীষণ বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। মেঘের কারণে যেন চারদিক আরো বেশি অন্ধকারাচ্ছন্ন মনে হচ্ছিল।
![]() |
---|
সন্ধ্যায় ভীষণ খিদে পেয়েছিল, মাকে বলতেই ফ্রিজ থেকে খাবার নিয়ে এসেছিল আমার জন্য। ঠান্ডা ছিল তাই একটু বাদেই খাবার খেয়ে কাজ করার উদ্দেশ্যে ঘরের দিকে যাচ্ছিলাম।
![]() |
---|
ইতিমধ্যে আমার বোন পুচকুর সাথে চেঁচামেচি শুরু করেছিলে। পুচকু নিরুপায় হয়ে আমাকে ডাকাডাকি শুরু করলে আর আমি দৌড়ে গিয়েছিলাম। খানিকক্ষণ দেখেই আগে হেঁসে নিয়েছিলাম। সারা শরীরে চিনি মেখে অবস্থা বেহাল, স্নান না করিয়ে কোনো উপায় নেই এরকম অবস্থা হয়েছিল। যাইহোক ওখান থেকে পুচকুকে নিয়ে মায়ের কাছে দিয়েছিলাম।
![]() |
---|
আমি সবে কাজে বসেছিলাম তখনই পুচকু এসে উপস্থিত হয়েছিল। কি আর করা! যে কথা সেই কাজ! পুচকু আমার সাথেই রীতিমতো যুদ্ধ শুরু করে দিয়েছিল। এখনো কথা স্পষ্টভাবে বলতেই পারে না। তাকে ফাজিল বললে; আমাকে বললো ফাজি না মুস্তান। তাঁকে ফাজিল বলা যাবে না।
এভাবেই ঐ দিনটা অতিবাহিত করেছিলাম। আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
@tipu curate
;) Holisss...
--
This is a manual curation from the @tipU Curation Project.
Upvoted 👌 (Mana: 1/8) Get profit votes with @tipU :)
Your post has been supported by SC-05. We support quality posts, quality comments anywhere, and any tags
অনেক ধন্যবাদ আপনার সমর্থনের জন্য। 🙏