Better Life with Steem||The Diary Game|| 17th September 2025
![]() |
---|
Hello Steemians,
আমি তো ছোটবেলা থেকে বাবার মুখে এই কথাটা শুনেই অভ্যস্ত যে কথা এবং দলিল একই বিষয়। হয়তো এ কারণেই আমাদের পাড়ায় থাকা কোটি টাকাওয়ালা মানুষটাকে মানুষ শুধু মাত্র টাকার জন্যই ভালোবাসে। তবে মানবিকতা, সততা ও সত্য কথার মূল্য আগেও ছিল এখনো আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।
একটা সময় মাঝেমধ্যে বাইরের লোকজনের কথাতেই বেশি আস্থা পেতাম। কিন্তু সময় বদলে গিয়েছে, তাই কারো কথায় এখন আর বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে না। আশ্চর্যজনক সার্কাস দেখছি প্রত্যেকটা দিন। যদিও ঘটনা গুলো ঘটছে এখন তবে অনেক আগে থেকেই এটা জানা ছিল। আমি সেইসব মানুষের জন্য একটা কথা বলতে চাই নিজের স্বার্থের জন্য ব্যক্তিত্ব এবং দেশের সম্মান ছোট করবেন না। অর্থ সকলের প্রয়োজন, সকল পেশার মানুষ জীবন যাপনের জন্য নিজ নিজ পেশায় থেকে অর্থ উপার্জন করেন।
পাশাপাশি, শ্রদ্ধা করার মতো মানুষ ও পৃথিবীতে রয়েছে। তবে ঈশ্বরের কৃপা না হলে তাদের কাছে পৌঁছানো অসম্ভব।
ওহ ও , জিজ্ঞেস করতেই ভুলে গেছি, আশাকরি সকলে ভালো আছেন। আমি এখন আপনাদের সাথে আমার দৈনন্দিন কার্যক্রম নিয়ে চলে এসেছি।
![]() |
---|
সকালে ঘুম থেকে উঠে খাবার খেয়ে মায়ের সাথে বারান্দায় বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম। মূলত, সকাল থেকেই মায়ের শরীরটা খারাপ যাচ্ছিল, তবে আমাকে আগে বলেনি এটার জন্যই মাথা গরম হচ্ছিল। আমার মা-বাবার শারীরিক সমস্যা হলে আমার মাথা কাজ করে না যেটা অন্যদের ক্ষেত্রে ও প্রযোজ্য। আমার নিজের জন্য এনে রাখা জ্বরের ওষুধ ঘরেই ছিল, তাই মা'কে ওটাই দিয়েছিলাম।
হঠাৎ মুরগির আওয়াজ, অনেক দিন ধরে মুরগির ডিম খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। আমি কাঠের ঘরে গিয়েই দেখলাম মুরগি ভেতরের দিকে যাচ্ছে। পিছু করলাম আর দেখলাম সেখানে ১৩টা ডিম ও রয়েছে। মজাই লাগছিল এতগুলো ডিম এক সাথে দেখে।
![]() |
---|
অনেক আগের কথা বাবার বয়স যখন ১৩/১৪ তখন জন্ডিস হয়েছিল। বাবার মুখে শুনেছি বাবার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে গিয়েছিল। সবেমাত্র দেশ স্বাধীন হয়েছিল, তাই দেশের অর্থনৈতিক, চিকিৎসা সব ক্ষেত্রেরই ছিল দুরাবস্থা। আমার ছোট পিসি বাবাকে নিয়ে গিয়েছিল USA এর একটি চিকিৎসা কেন্দ্রে যেটা আমাদের খুলনা বিভাগেই ছিল। হয়তো বাবার থেকেই আমার শরীরে ও এই সমস্যা যেটাকে জেনেটিক্স সমস্যা ও বলা হয়ে থাকে। ঐ কারণে আমাদের সবার পেঁপে প্রিয় না হলেও ঘরে সব সময়ই পেঁপে রাখা হয়।
জন্ডিসের জন্য ওষুধের থেকে এই পেঁপে ও কিছু কিছু গাছের পাতা ও বিশ্রাম সবচাইতে কার্যকরী। মজার বিষয় হলো গ্রামে পেঁপে সহ অন্যান্য অনেক ফল ও সবজি পাওয়া যায় যেটা একদমই নিরাপদ। এই পেঁপে গাছটা আমার কাকুর, দেখেই ওখান থেকে কাঁচা দুইটা পেঁপে তুলে নিলাম।
![]() |
---|
আবার ডাব নারকেলের ব্যবসায়ীরা এসেছিল, আমার তো এদের দেখলে খানিকটা রাগই হয়। ইদানিং পিঠা উৎসবেও শুকনো নারকেল পাওয়া যায় না এই ডাব নারকেল বিক্রি করার জন্য। আমাদের গ্রামে নারকেল গাছ নেই এমন কোনো পরিবার নেই বললেই চলে। এই নারকেল থেকে পারিবারিক অর্থনৈতিক চাহিদা ও পূরণ হয় অনেক পরিবারের।
![]() |
---|
![]() |
---|
দুপুরবেলা ফ্রিজ থেকে ফল বের করে খেতে খেতে রাস্তায় বেরিয়েছিলাম। মন্দিরের মাঠ হচ্ছে আমার দুপুরের গন্তব্য, পৌঁছে দেখলাম কাকাতো বোনেরা আড্ডা দিচ্ছে। আমি একটু মোবাইল ডাটা অন করতেই দেখলাম দিদিরা ডিসকর্ডে কথা বলছিল। আমিও ওদের সাথে আড্ডা বাদ দিয়ে দিদিদের সাথে যুক্ত হয়েছিলাম। তারপর বাড়িতে ফিরে স্নান করে নিয়েছিলাম।
![]() |
---|
বিকেলে কাকুর ঘরে সবাই বসে আড্ডা দেওয়ার সময় মনে হলো মায়ের ওষুধ আনতে হবে। তাই বিলম্ব না করে আমি বাজারের দিকে হাঁটতে শুরু করলাম। ওষুধ নিয়েই অটোতে বসলাম, ইতিমধ্যে বাবা ও চলে এসেছিল তাই বাবা ও আমি অটো করে বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম।
বাড়িতে ফিরে আমি টিউবওয়েল গিয়েছিলাম, বারান্দায় পা রাখতেই দেখলাম মা পেঁপে কেটে রেখেছে। কোনোরকম হাত মুছেই খাওয়া শুরু করেছিলাম। অন্যদিকে দুপুরে খাই নি যে কারণে খিদে ও পেয়েছিল। তারপর একটু মোবাইল হাতে নিয়ে বসেছিলাম।
এভাবেই আজকের দিনটা অতিবাহিত করেছি। আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
@ninapenda, thank you so much 👍🙏