Better Life with Steem||The Diary Game|| 18th September 2025

in Incredible India4 days ago
1000006445.jpg

Hello Steemians,
প্রথমেই বলে রাখছি গতকাল ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও লেখার সুযোগ হয়ে ওঠেনি। প্রকৃতপক্ষে, বিগত পরশুদিন রাতেই হঠাৎ মায়ের শরীরটা খারাপ হয়ে গিয়েছিল যেটা মাঝরাতে বুঝেছিলাম। গ্রামের এই একটাই সমস্যা যে চাইলেই হঠাৎ করে পরিবারের কাউকে স্বল্প সময়ের মধ্যে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া যায় না। তাছাড়া আমাদের যে পরিচিত ও জনপ্রিয় গ্রাম্য ডাক্তার ছিলেন তিনি এখন ইন্দোনেশিয়াতে যে কারণেই বেশি সমস্যা। ঐ ডাক্তারের অনুপস্থিতিতে এখন মানুষ হাঁড়ে হাঁড়ে টের পাচ্ছে যে তিনি কতোটা গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন।

সকালে বোনের কল করেছিল তখনই ঘুম ভেঙ্গেছিল। যদিও আমি আসতে বারণ করেছি কিন্তু মায়ের জ্বর এটা শুনে আর বিলম্ব করেনি। আমি মা'কে সকালে জলের কাজে একটু সাহায্য করে পাশের বাড়ির কাকিমাকে রান্নার কথা বলেই রেডি হচ্ছিলাম। বাবা ও ঐ সময় বাড়িতে ছিল না তাই আমিও বেরিয়েছিলাম ওদের নিয়ে আসার জন্য। মূলত পুজো একদমই সন্নিকটে তাই পুচকুকে তো কিছু কিনে দেওয়াটাই উদ্দেশ্যে ছিল।

1000006445.jpg

আমি দোকানে পৌঁছানোর আগেই ওরা পৌঁছেছিল, আরে বাবা আমি আর কি দিবো পুচকু আমার জন্য আগে থেকেই দুইটা প্যান্ট পছন্দ করে রেখেছি। যাইহোক, বাড়িতে ফল কম ছিল আর দোকানে ও অনেক ভীড় তাই আমি এই সুযোগে ফলের দোকানে গিয়েছিলাম।

1000006449.jpg
1000006450.jpg
1000006451.jpg

মায়ের জন্য প্রথমেই একটা আনারস নিয়েছিলাম, জ্বরের সময় আনারস খুবই উপকারী একটা ফল। তারপর বেদানা, কমলা মালটা ও আপেল নিয়েই আবার আগের দোকানে গিয়েছিলাম।

1000006448.jpg

সেখানে গিয়ে পুচকুর জন্য ড্রেস দেখছিলাম। তাঁর সব ড্রেসই পছন্দ। দুইটা ড্রেস নিয়েই আমরা একটা ইজিবাইক করে বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম।

বাড়িতে ফিরেই দেখি মায়ের আবারো অনেক জ্বর উঠেছে, আমি মা'কে হালকা খাবার দিয়ে একটা ওষুধ দিয়েছিলাম। পুচকু আসলে আর লোকজনের কোনো অভাব নেই। অন্যদিকে বিদ্যুৎ বিভ্রাট, কি যে বিরক্তিকর অবস্থা!

1000006453.jpg

একটু রাস্তায় বেরিয়েছিলাম যেটা প্রতিদিন দুপুরেই করি। পথিমধ্যে জানবাবু ও দক্ষিণ পাড়ার এক দাদার সাথে দেখা হতেই দাদা বললো ওদের বাড়িতে নাকি বড় বড় হাঁস আছে। আমি হাঁস কেনার উদ্দেশ্য নিয়ে বাড়ি থেকে বের হইনি যে কারণে আমার কাছৈ কোনো টাকা ও ছিল না। যাইহোক, পথে এক কাকুর মেয়েকে দেখেই বললাম হাঁস কিনতে যাবো। বোন আর না করলো না, অবশেষে ঐ হাঁস নিয়েই বাড়িতে ফিরলাম।

স্নান আর সময়মতো হলো না, বাড়িতে ফিরতেই ছোট কাকিমা বললো মিতা আসছে ওকে নিয়ে আসতে হবে। আমি আবার রেডি হয়ে গিলাতলা বাজারের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লাম। এদিকে কাকিমাকে হাঁস প্রস্তুত করতে বললাম। কারণ মা কিছুই করতে পারবে না। পুচকু শুধু কলিজা খেতে পারে ওটা তো লাগবেই।

বোনকে নিয়ে বাড়িতে ফিরতে ফিরতে প্রায় বিকেল পাঁচটা বেজেছিল। স্নান সেরে দুপুরের খাবার খেতে খেতেই গোধূলি লগ্ন হয়ে আসছিল। ব্যস্ততার মধ্যে থাকলে সময় যেন কিভাবে পার হয়ে যায় সেইটা বোঝা ও যায় না।

1000006470.jpg

সেই সন্ধ্যা হতেই পুচকু আমার কোলে উঠে বসেছিল আর নামার নাম নেই। আবার বড়'দি গলদা চিংড়ির ঘিলু বা মগজ নিয়ে আসবে ঐটার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম। মোবাইলটা ও হাতে নেওয়া যাচ্ছিল না কি মুশকিল! যদিও পুচকু ইদানিং বাড়িতে একটু সকাল সকাল ঘুমায় কিন্তু গতরাতে তাঁর ঘুমের কোনো নমুনা ও দেখা যাচ্ছিল না।

যাইহোক, এভাবেই গতকাল দিনটা অতিবাহিত করেছিলাম। আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি।

Sort:  
Loading...

💦💥2️⃣0️⃣2️⃣5️⃣ This is a manual curation from the @tipu Curation Project

@tipu curate