Better Life with Steem||The Diary Game|| 20th September 2025
![]() |
---|
Hello Steemians,
কেমন আছেন বন্ধুরা? সময় যেন কোনো ভাবেই আজ যাচ্ছিল না। এমনিতেই গরম আমার শত্রু, পাশাপাশি আজ বিকেল প্রায় তিনটে অবধি ছিল বিদ্যুৎ বিভ্রাট। বিগত ২/১ সপ্তাহ আগেই আমাদের পাড়ার উল্টো দিকের এক পাড়ায় ২/৩ মাস ধরেই এমন বিদ্যুৎ বিভ্রাট চলছিল। যখন বাজারে গেলেই গরমে বিরক্ত লাগতো আর মনে মনে এটাই ভাবতাম যে যদি আমাদের পাড়ায় হয় তাহলে আমার কি অবস্থা হবে?
![]() |
---|
সকাল সাতটার দিকে ঘুম ভেঙ্গেছিল, কারণ মায়ের ওষুধ ছিল। যদি ভুলভাল ওষুধ খেয়ে নেয় তাহলে তো সমস্যাই। মা'কে ওষুধ দিয়ে সকালের খাবার শেষ করতে করতে প্রায় দশটা বেজেছিল। ঐ যে বিদ্যুৎ বিভ্রাট, বাবা বাড়িতে ফিরতেই আমি রাস্তায় হাঁটতে বেরিয়েছিলাম। যদিও অন্যান্য দিন বারোটার দিকে রাস্তায় যাওয়া হয়, তবে আজ একটু সকাল সকালই বেরিয়েছিলাম।
কাকুর ঘরের সামনে যেতেই দেখলাম বাজারের পাশের এক কাকু মাছ ধরে নিয়ে বাড়ির দিকে যাচ্ছিল। থলেটা দূর থেকে দেখে ভারী মনে হলেও মাছ কম ছিল। ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আমাদের এলাকার অধিকাংশ পুকুরের বাগদা চিংড়ি মারা গিয়েছে।
![]() |
---|
আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম যে মাঝখানে আবার মেঘের গর্জন ও ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছিল যে কারণে রাস্তা ভিজে ছিল। গরমের মধ্যে হঠাৎ বৃষ্টির জন্য পরিবেশ খানিকটা শান্ত মনে হচ্ছিল। হাঁটতে হাঁটতে আমি রাস্তার দক্ষিণ দিকে যাচ্ছিলাম। একটু সামনে এগোতেই দেখলাম আমাদের গ্রামের এক কাকু যাদের বাড়ি আমাদের বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরেই যিনি একটা মোটা সিরিস গাছ কাটছিল। যে গাছটা বহুবছর ধরেই এই রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল।
ইতিপূর্বে অনেক বার বড় বড় ঝড় বন্যা হয়েছে যে কারণে আমাদের এলাকায় আর কোনো বড় গাছ অবশিষ্ট নেই। তবে এই গাছটার ডালপালা কেটে দেওয়া হয় তাছাড়া রাস্তার পাশে বা সাথে থাকায় মাটি ক্ষয় কম যে কারণেই হয়তো এটা টিকে রয়েছে।
![]() |
---|
পথিমধ্যেই দেখলাম সাদা মাছ ধরে নিয়ে পাড়ার এক কাকু ড্রামে করে বিক্রি করতে নিয়ে যাচ্ছিল। তবে মুরগির খামারের পুকুরের মাছ যেগুলো আমার হিসেবে খাওয়াই উচিত না। মজার বিষয় হলো মুরগির খামারের পুকুরে বাগদা বা গলদা চিংড়ি তেমন ভালো হয় না।
![]() |
---|
আমার এক কাকু পরিবার নিয়ে দীর্ঘদিন বাদে বাড়িতে এসেছে। রাস্তায় ঐ কাকু ও কাকিমা দেখেই ডেকে অনেক্ষণ গল্প করলো। কাকুর একমাত্র মেয়ে সম্পর্কে আমার ছোট বোন দেখতে খুবই মিষ্টি হয়েছে। একদম গলুমলু, যে কেউ দেখলেই ওকে কোলে তুলে নিবে।
মাত্র আঠারো মাস বয়স, আমাদের পুচকুর মতোই অর্ধেক অর্ধেক কথা বলে যা শুনতে সকলেই পছন্দ করে। সেই ছোট থেকেই এসির হাওয়াতে অভ্যস্ত তাই শরীর থেকে ঘাম যেন কমছেই না। আমার সাথে আর ও কয়েকজন ছিল। অচেনা মানুষ দেখে সে একটু মুডেই ছিল।
![]() |
---|
আসার পথে দেখলাম পুকুরে মাছে দৌড়াদৌড়ি করছিল। জলের রংটা সেইরকম লাগছিল। কারণ বৃষ্টির পরে আবার রৌদ্রজ্জ্বল আবহাওয়া যেন মুহূর্তের মধ্যেই অন্য রকম এক দৃশ্য।
![]() |
---|
এটা কি বলুন তো?
এটা একটা সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর সবজি যেটা আমাদের গ্রামে বর্ষা ঋতুতে সচরাচর পাওয়া যায়। আমি আগেও অনেকবার বলেছি যে গ্রামে এই একটাই সুবিধা মাছ, মাংস সবজি ও ফল সব কিছুই তাজা পাওয়া যায়।
যাইহোক, প্রায় বিকেল তথ্য তিনটের কাছাকাছি তাই বাড়ি ফিরে স্নান সেরে দুপুরের খাবার খেয়ে একটু মোবাইল হাতে নিয়ে বসতেই যেন ঘুম ঘুম লাগছিল। কিছু সময় কাজ করার পরে আবার প্রচন্ড ঘুম পাচ্ছিল। ঘুম থেকে উঠেই দেখলাম সন্ধ্যা।
এভাবেই আজকের দিনটা অতিবাহিত করেছি। আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
@lirvic, thank you so much ma'am for your support 🙏