Better Life with Steem|| The Diary Game|| 23th March 2025
![]() |
---|
নমস্কার বন্ধুরা,
বেশ কয়েকদিন ধরে একটু সমস্যাতেই আছি যেটা চোখের কারণে। সবমিলিয়ে রাতে ঘুম না হওয়ার কারণে আজ ও সকালে ঘুম থেকে উঠতে বিলম্ব হয়েছিল। তবে সকালে উঠতেই বাবা বললো আজ নাকি আমাদের পুকুরে মাছ ধরা হবে। ইতিমধ্যে জেলেরা জাল নিয়ে পুকুরে নেমেছে।
আমি একটু তাড়াতাড়ি করেই ব্রাশ করলাম, তারপর একটা ডিম খেলাম। ইদানিং চোখের কারণে মনে হচ্ছে খাবারে ও অরুচি। যাইহোক, আমি বললাম পুকুরে যেতে ইচ্ছে করছে না।
মা-বাবা ও কাকাতো ভাইয়েরা সকলে পুকুরে চলে গিয়েছিল। বাড়িতে একা একা ও ভালো লাগছিল না।
![]() |
---|
অবশেষে আমিও পুকুর পাড়ে গিয়েছিলাম। তবে পৌঁছে দেখলাম মা এবং বাবা সেখানে নেই। কারণ পুকুরের জল এখন তলানিতে তাই এই পাশে কাঠের নড়াচড়া করার কারণে অন্য পাশে ট্যাংরা মাছ উঠছিল।
![]() |
---|
![]() |
---|
আপনারা প্রত্যেকেই হয়তো একটা জিনিস লক্ষ্য করেছেন যে আমাদের বাড়িতে থাকা শিশুরা প্রচন্ড চঞ্চল হয়। আর হয়তো এ কারণেই তাদের শারীরিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি কারণ তারা স্থির না অর্থাৎ এক প্রকার শারীরিক ব্যায়ামের মধ্যেই থাকে।
অনুরূপভাবে, আমার এই দুই কাকাতো ভাই তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল। পুকুরপাড়ের পাশেই এক কাকুর নারকেল বাগানে গিয়ে নারকেল গাছের উপর মাটি দিয়ে কিছু একটা তৈরি করছিল। হঠাৎ করে আমার দেখে মনে হচ্ছিল যে স্পাইডারম্যান।
![]() |
---|
ইতিমধ্যে জাল অনেকটা গুছিয়ে নিয়ে এসেছে উত্তর বাড়ির দিকে। কারণ এই উত্তরপাড় মাছ উঠানোর জন্য উপযুক্ত অর্থাৎ সমতল। অসমতল স্থানে যদি জলের মধ্যে থেকে মাছ তোলা হয় তাহলে মাছ ফাক পুকুর দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারে। যদিও এখান থেকেও অনেক মাছ বেরিয়ে যাবে কিন্তু বন্ধুর জায়গা হলে আরো বেশি সমস্যা।
কাতল মাছের আকৃতি যেমনই হোক না কেন এরা লাফানোয় খুবই ওস্তাদ। পাশাপাশি যদি কোনো পুকুরে এই কাতল মাছ থাকে এবং যদি বড় আকৃতির হয়ে থাকে তাহলে জেলেদের জীবনের ঝুঁকি ও থাকে। এরা জলে থাকা জেলেদের ক্ষিপ্র গতিতে আঘাত করে। প্রকৃতপক্ষে মাছ ইচ্ছে করে এটা করে না বরং লাফিয়ে বাঁচার চেষ্টা করে। এতোটা উঁচু হওয়া সত্ত্বেও আজকে লাফিয়ে ৫/৬ টা কাতল মাছ বেরিয়ে গিয়েছিল।
![]() |
---|
পুকুরপাড়ের এক পাশে কয়েকটি চম্পা ফুল দেখলাম। এটা এক প্রকার জঙ্গি ফুল ও বলা যায়। কারণ যেখানে সেখানে ঝোপঝাড়ে এই ফুল দেখা যায়। তেমন বিশেষ কোনো কাজ না হলেও ভাটি পূজোর সময় কুলা সাজাতে ব্যবহার করা হয়। যে যা ই বলুক আমার কাছে ফুলের রং টা অস্থির লাগে। একটা ফুলের লাগিয়ে যত্ন করে বড় করলেও এতো সুন্দর ফুল পাওয়া মুশকিল।
![]() |
---|
![]() |
---|
এক কেজি ওজনের বেশি মাছ এবার পাওয়া যায় নি। ইতিমধ্যে ৬/৭ বার জাল দিয়ে মাছ ধরা হয়েছে। তবে জেলেদের একজন জানালেন একটা অনেক বড় মৃগেল মাছ আছে যেটা জালে ওঠেনি। মৃগেল মাছ নরম কাদার মধ্য দিয়ে সহজেই চলাচল করতে পারে। যে কারণে বিপদ বুঝলেই কাদার মধ্য দিয়ে পার পেয়ে যায়।
![]() |
---|
তেমন বড় মাছ আজ ধরা পড়েনি, তবে বেছে বড় বড় ট্যাংরা মাছসহ আরো কিছু মাছ রাখা হয়েছিল। আমার জন্য গলদা চিংড়ি রাখা হবে না তা তো হতেই পারে না। পাশাপাশি এবার মাছ চোরের উৎপাত শুরু হয়েছে। আমাদের পুকুরের আসে পাশে অনেক পুকুরেই বিষ প্রয়োগ করে মাছ নষ্ট করে ফেলেছে। যে কারণে এই এক দেড় মাসের ব্যবধানে আমাদের পুকুরে দুইবার জাল দিয়ে মাছ ধরা হয়েছে।
![]() |
---|
বিকেলে একটু খেলার মাঠে ঘুরতে গিয়েছিলাম, তবে যেতে যেতেই গোধূলি লগ্ন তাই খেলা ও হচ্ছিল না। পাশাপাশি সিয়াম সাধনার মাস তাই সকলেই ইফতারি করতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
এভাবেই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমার আজকের দিনটা অতিবাহিত করেছি। আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনার একটি দিনের কার্যক্রম আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য,, এবং চোখের সমস্যা মাঝে আমারও হয়েছিল যেটা হয়েছিল কাজের জায়গা থেকে,, আসলে ঘুম আমাদের জন্য অনেক প্রয়োজন একটি জিনিস তাই আমাদের সময় মতো ঘুম পড়তে হবে,, কাজ তো আমরা সব সময় করি তাই আপনি অবশ্যই আগে নিজের শরীরের প্রতি খেয়াল রাখবেন ঠিক মতো ঘুমাবেন এটাই আশা করি,, এবং আজকে আপনাদের পুকুরে জেলেরা এসেছিল মাছ ধরার জন্য তার কিছু ছবি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো।
শরীর অসুস্থ থাকলে কোন কিছুই ভালো লাগে না এটাই স্বাভাবিক তবে আপনারা মাছ ধরার জন্য আপনার বাবা-মা এবং সবাই গিয়েছে যেটা দেখে বেশ ভালো লাগলো অবশেষে আপনিও গিয়েছেন। খুব বেশি মাছ ধরা না পড়লেও বেশ বড় বড় চিংড়ি মাছ এবং টেংরা মাছ আপনারা ধরে নিয়েছেন যেটা দেখতেই তো অনেক বেশি সুন্দর লাগছে সেই সাথে শিশুরা অনেক বেশি চঞ্চল হয়ে থাকে তাদের সামনে যেটা দেখে সেটাই কিন্তু তারা তৈরি করার চেষ্টা করে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটা দিনের কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন।