Better Life with Steem|| The Diary Game|| 26th March 2025

in Incredible India5 months ago
1000001529.jpg

নমস্কার বন্ধুরা,
এখন বাংলাদেশ সময় প্রায় রাত আটটা বাজে, সবে মাত্র একটা পেন্ডিং কাজ ছেড়ে পোস্ট লেখার জন্য বসেছি। আমার আজকের সকালটা শুরু হয়েছিল অন্যান্য দিনের মতো সকাল দশটার দিকে। সকালে খাবার খাওয়ার পরে বারান্দায় শুয়ে একটু মোবাইলটা হাতে নিয়েছিলাম।

তখনই বড়মা উচ্চস্বরে আমাকে ডাকাডাকি করছিল। তবে পাখার শব্দে সেইটা আমার কানে পৌঁছায় নি। ঐ মূহুর্তে মা ডেকে বললো আমার জ্যাঠাবাবুর শারীরিক অবস্থা খুব খারাপ যেন দ্রুত পুরনো বাড়ির দাদুকে ডেকে নিয়ে আসি। আমি তড়িঘড়ি করে উঠেই খালি পায়ে দৌড়ে গিয়েছিলাম। কারণ জুতা পরার সময় ও ছিল না।

দাদুর বাড়িতে গিয়ে দেখলাম দাদু সবে সকালে খাবার খেতে বসেছেন। দাদু আমার কথা শুনেই খাবার রেখে ছুটে এসেছিলেন। বাড়িতে ফিরে দেখলাম জ্যাঠাবাবুর জ্ঞান ফিরেছে। ইতিমধ্যে আমার ডাক্তার মামা ও উপস্থিত হয়েছিলেন। সৌভাগ্যবশত মামার আজ মেডিকেলে ডিউটি ছিল না।

1000001494.jpg
1000001495.jpg

আমি তখনো জ্যাঠা বাবুর কাছেই ছিলাম। একটু ভালো দেখে স্বস্তি পেয়েছিলাম। হঠাৎ আমার বোনের কন্ঠস্বর শুনলাম। আমার ভাগ্নি বায়না ধরেছে দাদা বাড়িতে আসবে।

সকালছ তাঁর বাবাকে বলছে, "বাবা দাদা যাবা?"

এখনো কথা স্পষ্ট বলতেই পারে না। তবে আধো আধো কথা শুনতে ভারী মিষ্টি লাগে। আমার বোনের হাজবেন্ড তাঁর কণ্যা কিছু বলতেই সেইটা মেনে নেন। পুত্র এবং কণ্যা এইরকম কোনো নেতিবাচক চিন্তা নেই যেটা দেখে বেশ ভালোই লাগে।

ভিডিও দেখলেই বুঝতে পারবেন ভাগ্নির আগমনে মামা ও মাসিরা কিভাবে ভীড় জমিয়েছে। ছোট্ট মামা রণিতের বুকের উপর বসে খেলছিল, প্রায় সমবয়সী এক মাসামণি কিন্তু মামার মাথায় হাত দেওয়া যাবে না। সকলের কোল তাঁর দখলে থাকবে। অন্যদিকে মামা ও মাসিরাও সেই ভাবেই ধরাধরি করে। আমাদের বাড়িতে আসলে আমরা কোলে রাখার সুযোগই পাই না।

1000001509.jpg

ইদানিং আঙ্গুর পাওয়া যাচ্ছে বেশ, তাই আমার জন্য এনে রাখা আঙ্গুর খাওয়া শেষ করেই তেল মাখিয়ে ভাগ্নিকে স্নান করাচ্ছিল আমার মা। গরম পড়েছে তাই ছোট কিংবা বড় এখন সকলেই জল পছন্দ করে।

1000001517.jpg

আমাদের দুপুরের খাওয়া দাওয়া শেষ হতে না হতেই মুরগির ব্যাপারী এসেছিল। আমাদের আবার কিছু মুরগি বিক্রি করার দরকার ছিল। একটু ঝামেলাই হচ্ছিল কারণ ভাগ্নিকে সময় দিতে হচ্ছিল আবার মাঝখানে মুরগির ব্যাপারী। যাইহোক, ৭টা মুরগি মা ধরে দিয়েছিল বাবার কাছে।

1000001518.jpg

এবার আমার বোনের বাড়িতে যাওয়ার পালা, শুধুমাত্র ভাগ্নির উদ্দেশ্যেই আজকে বোন এসেছিল। ভীষণ বিরক্ত করছিল আমার বাবার জন্য। এবার দেখুন রেডি হয়ে আমার বাবাকেই তাঁর সাথে নিয়ে যেতে হবে । অন্যদিকে সকলকে ডেকে এক জায়গায় জড়ো করেছে। বাড়িতে একা থাকে যে কারণে আমাদের এখানে আসলেই আর বাড়িতে যেতে চায় না।

1000001524.jpg

এই যে যাওয়ার সময় আবার আমার বাবাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছিল সাথে করে যেন বাবাকে নিয়েই যাবে। কোনো ভাবেই বাবাকে হাত ছাড়া করছিল না। অন্যদিকে রোজার দিন, একটু বাদে গ্রামের রাস্তায় কোনো পরিবহন ও পাওয়া যাবে না।

1000001526.jpg

আমিও সাথে গিয়েছিলাম আমাদের বাজার পর্যন্ত। যদিও ইদানিং বাজারে একদমই যাই না তবে আজ মায়ের জন্য ওষুধ আনার ছিল। যাইহোক, আমার প্রিয় বিড়ালটি আমার উপস্থিতি বুঝতে পেরে আমার পিছু নিয়েছিল। আমি ফার্মেসিতে গিয়েছিলাম আর বিড়াল আমার সাথে সাথে সেখানেই গিয়েছিল‌। বিড়ালটির খাবারের চাহিদা নেই, আমি একটু ধরবো এটাই তাঁর প্রত্যাশা। কিছুক্ষণ বিড়ালটিকে সময় দিয়ে আমি বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম।

1000001528.jpg

কেবলমাত্র আমি ফ্রেশ হয়ে ঘরে উঠেছি তখন বাবাও বোনকে ছেড়ে বাড়িতে ফিরে এসেছিল। বাবার মনটা আজ ভালো নেই। ভাগ্নি এসেই চলে গিয়েছে সেই কারণেই মূলত মন খারাপ। আমার জন্য দেখলাম আঙ্গুর নিয়ে এসেছে।

যাইহোক, সন্ধ্যায় ফল খাওয়ার পরে এক মগ কফি হাতে নিয়েই কম্পিউটারে বসে কিছু transaction এর কাজ সেরে নিয়েছিলাম। কারণ ঐটা শেষ না হওয়া অবধি আমার মাথায় পেইন থাকে। যাইহোক, প্রায় দেড় ঘন্টার মতো বসে কাজটা শেষ করলাম। তারপর পোস্ট লেখার জন্য বসলাম।

এভাবেই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় অতিবাহিত করেছিলাম। আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।

Sort:  
Loading...
 5 months ago 

আপনি ঠিকই বলেছেন বর্তমান সময়ে বাজারের মধ্যে আঙ্গুর ফল পাওয়া যায় অনেক তবে আপনার ভাগ্নি দেখতে দেখতে মাশাল্লাহ অনেক বড় হয়ে গেছে আধো আধো কথা বলাটা কিন্তু অনেক বেশি মিষ্টি হয়ে থাকে আর মেয়েরা একটু অঙ্গী ভঙ্গি দিয়ে কথা বলে তাই তাদেরকে সবাই অনেক বেশি ভালোবাসে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার আরো একটা দিনের কার্যক্রম আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।

 5 months ago 

পরিবারের সদস্যদের শারীরিক অবস্থা নিয়ে যে উদ্বেগ ছিল, তা সত্যিই এক ধরনের চাপ তৈরি করে। তবে, সৌভাগ্যবশত সব কিছু ঠিকঠাক হয়ে গেছে, আর আপনার জ্যাঠাবাবুর সুস্থতা দেখে নিশ্চয়ই অনেকটা শান্তি পেয়েছেন।পরিবারের মধ্যে সবার আন্তরিকতা আর স্নেহপূর্ণ সম্পর্ক দেখতে খুবই ভালো লাগে।