Better Life with Steem|| The Diary Game|| 28th March 2025

in Incredible India5 months ago
1000001588.jpg

নমস্কার বন্ধুরা,
বিগত রাতে ঘুম হয়নি, কারণ একটা চাপা রাগ মাথায় বসেছিল। যেহেতু, ডলারের বিষয়, অন্যদিকে ঝুঁকি ও রয়েছে। তবে ইগোতে লাগলে বড্ড মুশকিল। এটাই আমি যে কোনো কিছু করার চিন্তা মাথায় ঢুকলৈ সেইটা করেই আমি ক্ষ্যান্ত হই।

যাইহোক, রাতে তো ঘুম হয়নি, আবার খুব দ্রুতই বিছানা ছেড়ে একদমই ভোরে বারান্দার খাটে শুয়ে মোবাইলটা হাতে নিয়েছিলাম। তবে মজা পাচ্ছিলাম না মোবাইলে, তাই ঐ সকাল বেলাই পি সি অন করে একটা এন এফ টি মার্কেটে ঢুকেছিলাম। আমার লক্ষ্য ছিল একটা সুযোগে অর্ধেক মূল্যে এন এফ টি ক্রয় করতেই হবে।

অবশেষে, ধৈর্য্যের অবসান হলো, একশত সুই যেটার বর্তমান বাজার মূল্য ২৫৩ ডলার এই টা এক ইউজার কি যেন ভেবে মাত্র ৩৬ সুইয়ে তালিকাভুক্ত করেছে। এক মিনিট ও পূর্ণ হয়নি, পাশাপাশি ঐটার মধ্যে এখন এমন একটা টোকেন আছে যেটার মূল্য ধারণা করা হচ্ছে কম হলেও চারশত ডলার হবে। আমি বিলম্ব না করেই সেইটা নিয়ে নিলাম। ঐ মূহুর্তেই আমার প্রায় একশত পঞ্চাশ ডলার প্রফিট যেটা ইচ্ছে করলেই আমি নিয়ে নিতে পারতাম।

1000001573.jpg

আমার উদ্দেশ্য সফল এবার ফ্রেশ হয়েই সকালের খাবার খেয়েই কাকুর ঘরে গেলাম। এখনো কাকিমা বাড়িতে আসেনি তাই ছোটদের একটু খেয়াল রাখতে হচ্ছে। ওরে বাবা! গিয়ে দেখি রীতিমতো কয় ভাই মিলে গানের তালে তালে নাচছে।

হাঁ হাঁ হাঁ! তবে সেইটা যে কি নাচ আমি নিজেও জানিনা। তবে হাঁসি চেপে রাখতে পারলাম না। আমার ছোট কাকুর ছেলে ঠাকুরমার শাড়ি শরীরে জড়িয়ে উড়া ধূড়াভাবে নাচতে ছিল। এটাই হলো শৈশব যেখানে দুনিয়া উল্টে যাবে কিন্তু শৈশবে থাকা শিশুরা বিনোদনে সামিল হবেই হবে।

1000001576.jpg

আজ আমাদের মন্দিরের মাঠে শর্ট পিচে ক্রিকেট খেলার কথা, তাই বড়'দি আসলেই আমি বেরিয়েছিলাম মাঠের উদ্দেশ্যে। তবে রোদ্দুর এড়াতে আমি বাগানের পথে গিয়েছিলাম। এইটা আমার সার্বজনীন মন্দির সংলগ্ন শীতলা পূজোস্থান। প্রতিবছর গরমের দিনে আমরা অনেকেই বাড়ি থেকে পাটি, টুল ও চেয়ার নিয়ে এখানে চলে আসি। বটবৃক্ষের ছায়ায় এসেই যেন সকলে স্বস্তি পাই। বাতাস হোক বা না হোক এই বটবৃক্ষের নিচে শীতল একটা পরিবেশ থাকে।

1000001581.jpg

আমাদের বাসন্তী পূজো একদমই সন্নিকটে, তাই মন্দিরে মায়ের প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। ২ জন ভাস্কর মিলে আমাদের মন্দিরের প্রতিমা তৈরি করছিল। যেহেতু, খেলা শুরু হয়নি তাই কিছুক্ষণ মন্দিরের বারান্দায় বসে বসে প্রতিমায় কাজ করা দেখছিলাম।

1000001579.jpg

কি যেআখেলা হবে? গরমে সকলেই যেন হাঁপিয়ে উঠেছে। তাই, সকলে একত্রিত হতে একটু সময় লাগছিল। খেলোয়াড় কম তাই আমার এক কাকুকে সকলে গিয়ে ডেকে নিয়ে এসেছি। এবার একটু স্বস্তি, কারণ কাকু ভালো না খেললেও বল করতে গিয়ে তো নিজেই মাঝেমধ্যে হাত পা ছড়িয়ে পড়ে যায়। খেলা দেখে মজা পাই বা না পাই, অদ্ভুত কিছু অঙ্গভঙ্গি দেখতে পারবো এটাতে কোনো সন্দেহ নেই।

যাইহোক, খেলা কিছুক্ষণ দেখে বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম স্নান করার জন্য। ফেরার পথে রাস্তা হয়ে আসায় মাথা গরম হয়ে ছিল। তাই কিছুক্ষণ পাখার বাতাসে বসে বিশ্রাম নিয়ে স্নান সেরে নিয়েছিলাম।

1000001586.jpg

দুপুরের খাবার খেয়ে একটু বিশ্রাম নিয়ে বিকেলে ঘরের সামনে বেরিয়েছিলাম। আমার এক ভাই ও এক বোন দুষ্টুমি করছিল। এ বাবা, নাচতে লজ্জা নেই কিন্তু ছবিই তুলতে পারলাম হাঁসার জন্য। যাইহোক, চালাকি করেই একটা ছবি তুলেছিলাম।

একটু বাজারে যাওয়ার দরকার ছিল কিন্তু ইফতারের সময় তাই কল করে এক গাড়িওয়ালা ভাইকে প্রয়োজনীয় খাবার নিয়ছ আসতে বললাম। খাবার হাতে পেতে পেতেই সন্ধ্যা। তারপর ঘরে ফিরে এসেছিলাম।

এভাবেই আমি আমার আজকের দিনটা অতিবাহিত করেছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।

Sort:  
Loading...
 5 months ago 

এন এফ টি কিনার চিন্তাভাবনা নিয়ে মার্কেটে ঢুকে ছেলে না অবশেষে একটা টোকেন কিনতে পেরেছেন যেটা শুনতে পেরে ভালো লাগলো যেখান থেকে আপনি প্রফিট করতে পারতেন যাই হোক পরবর্তী সময়ে আপনি আবার আপনার কাকা বাবুর ঘরে গিয়েছেন যেহেতু ছোট বাচ্চা রয়েছে তাদের খেয়াল রাখতে হবে সেই সাথে বিকেলে আবার সবার সাথে অনেক আনন্দঘন মুহূর্ত পার করেছেন অসংখ্য ধন্যবাদ আপনারা আরো একটা দিনের কার্যক্রম আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন।