Better Life with Steem|| The Diary Game|| 29th March 2025

in Incredible India5 months ago
1000001631.jpg

নমস্কার বন্ধুরা,
যদিও ভীষণ গরম তবে আজকে মন ভালো থাকায় যেন শরীর ও ভালো লাগছিল। পাশাপাশি, এটা খুবই খারাপ যে গরমের জন্য কাজে যেন খানিকটা পিছিয়ে পড়েছি। কারণ দিনের বেলা বিদ্যুৎ বিভ্রাট এবং বিদ্যুৎ সম্পৃক্ত দূর্ঘটনা প্রায়ই শোনা যাচ্ছে।

যে কারণে আমি ইচ্ছে করেই দিনের বেলা আমার মোবাইল ও পি সি একটু কমই ব্যবহার করি। পাশাপাশি, নেটওয়ার্কের বাফারিংয়ের জন্য মোবাইল প্রচন্ড উত্তপ্ত হচ্ছে। এই তো সেদিন আমাদের পাশের এক বাড়িতে মিটারে আগুন ধরেছিল। হয়তো সময়মতো দেখেছিল নচেৎ পুরো ঘরটাই হয়তো পুড়ে ছাই হয়ে যেতো। বিদ্যুৎতের সাথে কিন্তু মাতব্বরি চলে না।

এটা যেমন আমাদের জীবনকে করেছে আরামদায়ক, অন্যথা হলেই ঠিক উল্টোটা ঘটবে। এমনি স্বল্প সময় নিবে যখন কোনো কিছু করার কোনো ২য় পথ ও বেঁচে থাকে না। মূলত, আমাদের ঘরে বৈদ্যুতিক কাজ করানো হয়েছিল প্রায় পনেরো বছর আগে এবং এটার পরে আর সম্পূর্ন লাইন চেক ও করা হয়নি। তাছাড়া ঐ সময়ে খুব ভালো তার ও সচরাচর পাওয়া যেতো না । যে কারণে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি খুব দ্রুত আমাদের ঘরের বৈদ্যুতিক কিছু কাজ করাবো।

1000001593.jpg

যাইহোক, সকাল সকল গরমে ঘাম বসে ঠাণ্ডা লাগার জন্য বেশ কাশি হচ্ছিল। সকালেই মা এটা নিয়ে বাড়ির পাশের এক বৌদির সাথছ কথা বলছিল। বৌদির বাড়িতে নাকি রাম তুলসী গাছ আছে। আমি কোনোরকম ব্রাশ করে ওষুধ খেয়েই বৌদির বাড়িতে গিয়েছিলাম। ছবি দেখেই বুঝতে পারছে যে সকাল মানে তখন যথেষ্ট বেলা হয়েছিল।

যাইহোক, তুলসী গাছের ৪/৫ টা পাতা তুলে খেয়েছিলাম। এটা খুবই কার্যকরী এবং প্রাথমিক পর্যায়ে খেলে সম্ভবত দ্রুতই কাশি ঠিক হয়ে যায়। আমি বাড়িতে ফিরতে ফিরতেই যেন গলাটা একটু হালকা লাগছিল।

1000001597.jpg

মনটা ভালো থাকার কারণ আজ আমার বড় কাকিমা বাড়িতে ফিরবে। তবেই বড় কাকিমার সাথে ছোট কাকিমা ও হাসপাতালে যেটা আগেই বলেছিলাম। সেই জন্য ছোট ভাইদের সাথে কাকুর ঘরে বসে কার্টুন দেখছিলাম। পাচ্চিরা নাছোড়বান্দা আজকে কাকিমাকে নিয়ে আসবে। তবে বমির সমস্যার কারণে কোনোরকম মিথ্যা বলেই ঠেকানো হয়েছে। কার্টুন দেখতে দেখতেই প্রায় দুপুর দেড়টা বেজেছিল। স্নানের সময় হয়ে আসছিল তাই আমি তখন স্নান সেরে নিয়েছিলাম।

1000001603.jpg
1000001624.jpg
1000001620.jpg

বাবা বিকেলে বাড়িতে না থাকায় আমাকে একটু বাজারে যেতে হয়েছিল। তবে মাঝপথে গেলেই ইমনের কল, বললো বাড়িতে পার্সিয়ান বিড়াল নিয়ে এসেছে। আমি ইচ্ছে করেই বাজারে না গিয়ে ওদের বাড়িতে গিয়েছিলাম। ওদের বাড়িতে আড়াই বছরের শিশু রয়েছে যে বিড়ালকে দৌড়ের ওপর রাখছে। ঐ পিচ্চির ভয়ে বিড়ালটা খাটের নিচে ঘুমাচ্ছিল।

আমি পৌঁছেই টেনে টুনে বিড়ালকে বের করেছিলাম। আরে বাবা! অল্প সময়ের মধ্যেই আমাদের ভালো বন্ধুত্ব হয়েছিল। প্রথমে একটু আপত্তি করলেও মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই আমার কোলে এসে উঠে পড়েছিল।

এই যে অল্প সময়েই কতোটা আপন ভেবেছিল বিড়ালটা, কিছুক্ষণ কোলে থাকার পর আমার দিকে তাকিয়ে ডাকছিল। ছোট ভাই ইমন দেখে বললো বিড়ালের এখন খিদে পেয়েছে। আমি তো বিড়ালের অভ্যাস সম্পর্কে অবগত ছিলাম না তাই আমি ওর খাবারের চাহিদাটা বুঝতে পারিনি। তবে বিড়ালটি আমাকে সাথে করেই নিয়ে গিয়েছিল।

সময় তো অতিবাহিত হচ্ছিল, তাই আমি চারটার দিকে বাজারের উদ্দেশ্যে ইমনদের বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলাম। বাজারে খুব বেশি সময়ের কাজ ছিল না। যাইহোক, বাজারের কাজ সেরে ভাবছিলাম আমাদের পশ্চিম পাশের মোড়ে একটু সময় থাকবো। কিন্তু সেখানে পৌঁছাতেই দেখলাম অ্যাম্বুলেন্স।

1000001628.jpg

আমি একটা অটো নিয়ে দ্রুত বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম। এতোটাই দ্রুত এসেছি যে অ্যাম্বুলেন্স থেকে তখনো কাকিমা ঘরে যেতে পারেনি। পৌঁছেই দেখলাম অ্যাম্বুলেন্স থেকে পা রাখতে মাটির বের দূরত্ব। তাছাড়া, কাকিমার হিসেবে আরো দুই চার দিন হাসপাতালে থাকা উচিত। তবে ইদের কারণে সকলের ছুটি তাই কাকিমাকে চলে আসতে হয়েছে।

আচ্ছা এখানে এই যথাযথ সময়ের অভাবে রোগীর যে কোনো সমস্যা হতেই পারে। তবে দায়ভারটা কার বা কাদের?

আমি রোগ ও রোগীর অভিভাবক এবং ডাক্তার উভয়কেই দায়ী করবো। কারণ ডাক্তাররা যদি স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয় যে এই স্বল্প সময়ে আমরা অপারেশন করবো না তাহলে ওখানেই শেষ। এই একই সমস্যা আমার ছোট কাকিমার বেলাতে ও হয়েছিল। যেখানে সর্বোচ্চ এক মাস লাগার কথা। ঠিক ইদের ছুটির কারণে আমার কাকু ও কাকিমাকে ঐ করোনাকালীন সময়ে ছয় মাসের অধিক বিভাগীয় শহরেই থাকতে হয়েছিল।

অন্যদিকে রোগী ও রোগীদের অভিভাবক সকলেরই উচিত সময়ের থেকে জীবনের গুরুত্ব বেশি এটা উপলব্ধি করা। আমার কাকু কাকিমার দু'জনেরই চল্লিশ দিন অফিস বন্ধ তাহলে সেই যথাযথ সময় অর্থাৎ বন্ধের শুরুর সময় বাদ দিয়ে এই ইদের সময় কেন?

এই জন্যই মাঝেমধ্যে আমার সাথে ঝগড়ার পরিবেশ তৈরি হয় । এই যে এখন ও একটা টুল দিলে যে কাকিমার জন্য ভালো হবে এটাই কারো মাথায় নেই।ৎএক ধমক দিয়ছ বললাম এতো তাড়া কিসের? অপেক্ষা করো আমি টুল নিয়ে আসছি। তবে কাকিমা ঈশ্বরের কৃপায় সুস্থ্য আছেন এটাই গুরুত্বপূর্ণ।

এভাবেই আমি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় অতিবাহিত করেছিলাম। আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি।

Sort:  
Loading...

TEAM 7 ¡Congratulations! This post has been voted through steemcurator07. We support quality posts, good comments anywhere and any tags.

1000098952.png

Curated By: @muzack1