Better Life with Steem|| The Diary Game|| 31th March 2025

in Incredible India5 months ago (edited)
1000001733.jpg

নমস্কার বন্ধুরা,
সকলকে ইদের শুভেচ্ছা, ধর্ম যার যার উৎসব সকলের।অজানা

এটা কোনো প্রবাদ কিনা আমার জানা নেই, তবে লোকমুখে অনেক শুনেছি। পাশাপাশি, এটা আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস ও করি তাই আমি নির্দিষ্ট ধর্ম উল্লেখ করে শুভেচ্ছা বিনিময় করিনি।

এখন বারংবার মনে হয় আগের দিন গুলোই ভালো ছিল। হয়তো ছিল না উন্নত প্রযুক্তি, ছিল না এতোটা শিক্ষিত মানুষ তবে মানবিকতা ছিল। এমনি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলের সাথে যে একটা ভালো সম্পর্ক সেইটা যেন একটু লোপ পেয়েছে।

শৈশবে পাড়ার বন্ধুদের সাথে মিলে ইদের মাঠে ঘুরতে যেতাম। পকেটের ১০/২০ টাকাই যথেষ্ট ছিল। দিন দিন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সাথে সাথে যেন মানুষের চাহিদার ও একটা ঊর্ধ্বগতি লক্ষনীয়।

1000001674.jpg

সকালে ঘুম থেকে উঠেই ভালো লাগছিল, কারণ আমাদের পুচকু অনেকটা সুস্থ্য। আমাকে এসে ডাকাডাকি করে না ওঠাতে পেরে রাগ করে বারান্দায় খাটে গিয়ে শুয়ে পড়েছে। আমি উঠেই দেখলা আমার বাবা ও কাকুর মাঝখানে শুয়ে কি যেন গোপন কথা বলছে।

বাড়ির কারোই মাথা কাজ করে না আমাদের পুচকু অসুস্থ হলে। এই যে সকাল হতেই দরজা খোলা দেখে কাকু চলছ এসেছিল। কারণ বিগত দুইদিন যে চেঁচামেচি সেইটা সহ্য করাই যায় না। আমরা সকলেই খাবার খাচ্ছি অথচ পুঁচকু কিছু খাচ্ছে না।

যাইহোক, খবর পেলাম সকালে ভালোই খেয়েছে, আমিও খেয়ে একটু বাজারে গেলাম। এটা আমার সহপাঠীর ছোট ভাই, পৌঁছাতেই বললো আপু ছবি তুলে দেন। আমিও সুযোগে আমার মোবাইলে ২)৩ টা ছবি তুললাম। ইতিমধ্যে ইদের জামাতের নামাজ সমাপ্ত করছ সকলেই বাড়ি ফিরেছে। অন্যদিকে প্রচুর গরম তাই লোকজন বিশেষ নেই। আমি এক প্যাকেট চানাচুর ও একটা স্পিড নিয়ে বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম।

1000001679.jpg

বড়'দির অফিস বন্ধ, আবার মিতা এসেছে মোটামুটি বেশ আনন্দি হচ্ছিল। আমি আর বাকি থাকবো কেন? তাই ওদের সকলের সাথে আড্ডা দিতে কাকুর ঘরে গিয়েছিলাম। আমি পৌঁছেই দেখলাম মিতা বড়দির হাতে মেহেদি লাগাচ্ছিল।

1000001683.jpg
1000001687.jpg

এই যে আমাদের পুচকু আজকে বেশ ফুরফুরে মেজাজে ঘোরাঘুরি করছে। ভাইয়েরা এবং আমরা সকলেই ঘরের মেঝেতে শুয়ে বসে যে যার ইচ্ছে মতোই ছিলাম। পুচকু রূপমের পাঠকে সম্ভবত বসার জায়গাই মনে করেছিল। এদিক ওদিক করে তাঁর ইচ্ছে মতো বসছিল।

1000001703.jpg

মিতার কাজ শেষ, অর্থাৎ বড়'দির হাতে মেহেদি দেওয়া সম্পন্ন। বড়'দি বাড়িতে তাই আমাদের আবদারের কোনো শেষ নেই। এবার মিতর জোরাজুরিতে চুলের সাথে যুদ্ধ করার অভিযান।

1000001708.jpg

জবা ফুল ও জবা ফুলের পাতার সংগ্রহ করে নিয়ে গেলাম বড়'দির কাছে। বড়'দি ব্যালেন্ডার প্রস্তুত করে ঐ ফুল ও পাতার সাথে টক দই, কালো জিরা, মেথী ও নারকেল তেল যোগ করে ব্যালেন্ডারে মিক্স করা শুরু করলো। বিকট শব্দ তাই আমি দ্রুত বাইরে বেরিয়ে গেলাম।

1000001711.jpg

এই যে চুলে লাগানোর জন্য এটা প্রস্তুত শেষ। সবাই এখন চুলে লাগানোর জন্য ব্যস্ত।

1000001721.jpg

ইতিমধ্যে মন্দিরে মাঠ সাজনোর কাজ শুরু। পাশাপাশি, আমরা সকলে সহযোগিতা করছি যেন কোথাও কিছুর কমতি না থাকে।

এই যে আমার ছোট ভাই নয়ন আজ জলে নেমে পড়েছে। এই বছর আমাদের সার্বজনীন পূজা মন্দির কমিটির কোষাধ্যক্ষ, পদের সাথে সাথে দায়িত্ব ও ঘাড়ে চেপে বসেছে। অবস্থান ও কাজের গতি একটা যেন অন্যটার পরিপূরক।

1000001723.jpg

এরপর পূজোর জন্য কিছু শপিং দরকার ছিল কিন্তু আমার তো শপিং করতেই ইচ্ছে করে না। যাইহোক, আমি তবুও বাবা মায়ের সাথে বাজরে গিয়েছিলাম। আমি ফার্মেসিতে গিয়ে কিছু ওষুধ ও ফল নিয়ে বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম।

এভাবেই আমি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় অতিবাহিত করেছিলাম।

Sort:  
Loading...
 5 months ago 

সর্বপ্রথম আপনাকেও ঈদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ঈদ মোবারক। এটা একদম ঠিক কথা বলেছেন ধর্ম যার যার উৎসব সবার। যাই হোক আপনার একটি দিনের কার্যক্রম আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর ভাবে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। চুলের জন্য জবা ফুল এবং জবা ফুল গাছের পাতা সত্যি অনেক কার্যকারী আমি একটি পোস্টে পড়েছিলাম। তবে আজকে আরো ভালো ভাবে জানতে পারলাম আপনার পোস্টের মাধ্যমে আপনারা সেটা ব্যবহার করেন এটা জানতে পেরে ভালো লাগলো। সুন্দর একটি লেখা আমাদেরকে উপহার দেয়ার জন্য আপনাকে আবারো ধন্যবাদ।