Incredible India monthly contest of August #1|My own story!
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারোকাতুহ।
জীবন তার নিজ নিয়মে চলে। চলার এই পথে আসে শত বাঁধা, যেগুলো মেকাবিলা করে আমাদেরকে নিজ গন্তব্যে পৌছে যেতে হয়। সুখ আর দুঃখ ছাড়া যেন জীবন অসম্পূর্ণ। আপনে পৃথিবীর বুকে এমন একজনও মানুষ দেখাতে পারবেন না, যার পূরো জীবনটা শুধু সুখের আবার এমন মানুষও দেখাতে পারবেন না, যার পূরো জীবনটা কষ্টের। সবার জীবনেই কখমও কষ্ট কখনও সুখ এসে থাকে। যার মাধ্যমেই মানুষ জীবনটা নিয়ে তার নিজ গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টটা করে। পৃথিবীর সকল মানুষ একটু শান্তি আর সুখের জন্য জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করে যায়।
চলে আসলাম আপনাদের মাঝে কমিউনিটি কতৃক আয়োজিত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে নিজের কিছু অভিব্যক্ত প্রেশ করার জন্য। বাস্তব জীবনের কিছু গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করব৷ এর আগে আমি আমার কিছু বন্ধুকে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি । তারা হলেন @baizid123,,@rubina203,,,@tammanna.
নিম্নের লিংকে ক্লিক করে সহজেই আপনারা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
অংশগ্রহণের লিংক
এবার মূল অংশে চলে যায়।
Do you believe lives are incomplete without challenges? Explain how?

হ্যাঁ! অবশ্যই আমি বিশ্বাস করি চ্যালেন্জ ছাড়া জীবন অসম্পূর্ণ। আসলে আপনে কি কখনও নিজের জীবনের ছোট বয়সটা কল্পনা করতে পারেন৷ যখন আপনে বসতে বা হাটা শুরু করেছিলেন। তখন যদি আপনে একবার পরে যেতেন বা ব্যাথা পেতেন একটু কান্না করে আবারও উঠে দাড়ানোর চেষ্টটা করতেন। বার বার চেষ্টটার ফলে একটা সময় আপনে হাটতে শুরু করেন। আপনার সেই বয়সে বার বার পরে যাওয়ার পরও উঠে দাড়ানোটা ছিল আপনার কাছে চ্যালেন্জ৷ যেটা আপনে গ্রহণ করার ফলে একটা সময় আপনে নিজের পায়ে হাটা শুরু করেন।
এবার আসুন অন্য দিক গুলো দেখি। প্রবাদে বলে "ঝুকি না নিলে লাভ হয় না।" এটার বাস্তবতাটা হয় আমরা বর্তমান সময়ে আমাদের জীবনের নানা ধরনের কর্মে প্রতিফলিত হতে দেখেছি। যদি বিশ্বের বড় বড় ধনীদের বা কোম্পানির মালিকদের দিকে লক্ষ্য করেন, দেখতে পারবেন তারা ছোট বেলা থেকে কঠোর পরিশ্রম করে সাহস দেখিয়ে ঝুকি নিয়ে চ্যালেন্জ গ্রহণ করেছেন৷ তারপর ধীরে ধীরে ব্যার্থ হতে হতে একটা সময় এসে জীবনের সফলতার সিরি পেয়েছে। তারা যদি চ্যালেন্জ গ্রহণ না করত তাহলে হয়ত আজ তাদের নাম পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে যেত না।
আপনে রাস্তায় চলতে যাবেন, তাও আপনাকে চ্যালেন্জ নিতে হবে। কারণ আপনে যানেন রাস্তায় যেকোনো সময় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে, তবুও আপনে চ্যালেন্জ গ্রহণ করে রাস্তায় চলা শুরু করেন৷ এজন্য আমরা জীবনের সকল ক্ষেত্রেই চ্যালেন্জ গ্রহণ করে থাকি। চ্যালেন্জ ছাড়া আসলেই আমাদের জীবন অসম্পূর্ণ।
What has been the most significant challenge you have faced? We invite you to share your most profound real-life stories with us.
আমার বয়স ২২ বছর। এই অল্প বয়সে আমি অনেক প্রতিকূল পরিবেশ এবং চ্যালেন্জের মুখোমুখি হয়েছি। যার অনেক নজির বা প্রতিছবি আপনারা আমার বিগত বছরগুলোর অনেক পোষ্টে খুজে পাবেন৷ আজকে আমি আবারও সেই চ্যালেন্জগুলো আপনাদের সাথে তুলে ধরার চেষ্টটা করতেছি।
আসলে আমি একটা নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান। বাবার দিনমজুর দিয়ে আয় করা অর্থ দিয়ে পরিবার চালিয়ে আমার লেখা পড়ার খরচ চালানো, আমার শখ পূরণ করা মোটেও সহজ ছিল না। এটা আমি অনেক ছোট বেলা থেকেই অনুভব করি ও বুঝতে পারি। এজন্য ছোট বেলা থেকে সিদ্ধান্ত নেই আমি নিজেই চেষ্টটা করে নিজের জীবনটা এগিয়ে নিয়ে যাব। যার ফলে সপ্তাম শ্রেণীতে থাকা অবস্থা আমার জীবনের চ্যালেন্জগুলো শুরু হয়। কিছু গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেন্জ নিম্নরূপ:-
প্রথম চ্যালেন্জের সারাংশ
আমি যখন সপ্তম শ্রেণীতে পড়ি, তখন আমার বাবার কোমড়ের হাড় ভেঙে যায়। বাবা কোন কাজ করতে পারত না। বাড়ীতে একটা গরু ছিল সেটা বিক্রি করে আপাতত আব্বুর চিকিৎসা শুরু করা হয়। এদিকে আমার পড়াশুনার খরচ কে দিবে। আমি চিন্তা করে তখন থেকে বাসায় ছোটদের টিউশনি পড়ানোশ শুরু করলাম। যেই বয়সে আমি খেলাধুলা আর নিজের শখ নিয়ে ব্যস্ত থাকব, সেই বয়সে আমি নিজের খরচ চালানোর জন্য ছোটদের পড়ানো শুরু করি। যা আমার জন্য মোটেও সহজ ছিল না। টিউশনির সেই টাকা দিয়ে নিজের খরচগুলো চালানোর চেষ্টটা করতাম। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত বাসা থেকে আর তেমন টাকা নেই না। বরং পরিবারের অনেক খরচই আমি বহন করি।
দ্বিতীয় চ্যালেন্জের সারাংশ
দ্বিতীয় চ্যালেন্জের কথা বলি। সালটা ২০২৩, আমি তখন ডিপ্লোমা ষষ্ঠ সেমিস্টারের ছাত্র। আমার বড় একটা বোন আছে। সে আমার ৩/৪ বছর বয়সে বড়। অনেক ছোট বেলাতে আমার বোনের বিয়ে হয়, আমাদের আত্মীয় মধ্যে। তখন আমি তৃতীয় শ্রেণীতে পড়তাম। দীর্ঘ ১২ বছরের বেশি সময় আপু সংসার করছে। কিন্তু আমার দুলাভাইয়ের কিছু খারাপ অভ্যাস ছিল, তার মধ্যে বড় হলো সে নেশা করে। আমরা অনেক চেষ্টটা করেও তাকে ভালো করতে পারি নাই৷ আপু অনেক ধৈর্য্য ধরছে, কিন্তু একটা সময় এসে সে আর ধৈর্য্য ধরতে পারে না। আপুর তখনও কোন সন্তান হয় নাই। আমরা কয়েকবার আপুকে বলছিলাম চলে আসতে, সে বলে না দেখি ভালো হয় নাকি। তারপর থেকে আমার পরিবার আর কিছু বলে না। হঠাৎ ২০২৩ সালের রমজান মাসে ঈদের মধ্যে আপু আমাদের বাসায় ঘুরতে আসে। আপু আমার বড় হলে সে তার কষ্টের সব কথা আমার সাথে শেয়ার করত। আমিও চেষ্টটা করতাম আমার সাধ্য মতো তাকে দেখাশুনা করার।
একদিন আমি বাড়ীর বাইরে দাড়িয়ে ফোন চাচ্ছিলাম, আপু আমার কাছে এসে বলে রাসেল একটা কথা বলার ছিল, আপু কেমন যেন একটু নার্ভাস ছিল। বললাম জি আপু বল, আমি আবার আপুকে তুই করে বলি, তখন সে বললো - আমি আর আমার শ্বশুর বাড়ী যাব না। আমি বললাম কেন সে বলে এতো বছর দেখলাম তোর দুলাভাই ভালো হলো না। তুই আমাকে ওখান থেকে ছাড়ায়ে নিয়ে আস। তোরা যদি না আনিস আমি নিজেই কোথাও চলে যাব। কথাটা শুনে আমি যেন আকাশ থেকে পরলাম। বড় বোন হয়ে কতটা কষ্টে থাকলে আমি ছেট ভাইয়ের কাছে কথাগুলো বলতে পারে। আব্বু রাগ করবে এজন্য আব্বুকে না বলে আমাকে বলল। এর আগে আব্বু আপুকে ছাড়ায়ে আনতে গিয়েছিল কিন্তু আপু তখন আসছিল না, এজন্য আব্বুকে বলে নাই৷ আমি বললাম তুই ঠিক করে সিদ্ধান্ত নে, যদি নাই থাকিস আমি নিয়ে আসবে সমস্যা নাই, পরিবারকে বোঝানোর দায়িত্ব আমার।
এরপর থেকে আমার রাতের ঘুম হতো না ঠিক মতো। আপু ঈদের পর আবার শ্বশুর বাড়ী চলে যায়। এদিকে আর কয়েক মাস পরই আমার এডমিশনে যেতে হবে সেই টেনশন কাজ করে তারপর হঠাৎ আপু এটা বললো। এতো বড় একটা সিদ্ধান্ত আমি একা কিভাবে নিব বুঝতে পারতে ছিলাম না। এরপরে দিন রাতে ভয়ে ভয়ে কথাটা আব্বুকে বললাম, প্রথমে আব্বু রাগ করলেও পরে অনেক ভেবে বললো তোর যা ভালো মনে হয় কর। আসলে আব্বু অসুস্থ বাড়ীর বেশির ভাগ সিদ্ধান্ত এখন আমিই নেই। আর মূল কথা আব্বুর ইনকাম তেমন নাই, আমিই টিউশনি করায়ে কোন রকম চলি ও তাদের ডাক্তার দেখায়। এখন কি করা যায়, ভাবতলে লাগলাম। আপু বললো সে তার শ্বশুর বাড়ীতে কিছু জানাবে না। নিজে থেকে তালাক নামা পাঠায়ে দিবে। কারণ জানা জানি হলে তারা কখনই আসতে দিবে না। মানুষের মন পাল্টাতে পারে এজনয় আমি আমার মা, ভাবি আরও কয়েকজন আত্মীয় স্বজনদের দিয়ে আপুর সাথে কথা বলায় সে সবার কাছে একই উত্তর দেয় থাকবে না।
আমি ছোট হয়ে কিভাবে এতো বড় একটা কাজ করব বুঝতে পারতেছিলাম না। পরে আমার পরিচিত একটা কাজীর সাথে কথা বলি, কিভাবে কি করা যায়। সে বললো তোমার বোন যেহেতু নিজে থেকে তালাক দিবে সমস্যা নাই, তালাক দিয়ে তালাক নামা পাঠায়ে দিলেই হবে। পরে আমার মিড পরিক্ষার মাঝে আপু একদিন শুধু তার কাপড় কিছু নিয়ে চলে আসে৷ এরপর আমার এক স্যারের বাসায় আমি আমার বোন, আব্বু আম্মু আর কাজী তালাক নামা লিখে আপু স্বাক্ষর করে পাঠিয়ে দেয়। তারপর থেকে আপু আমাদের বাসায় থাকা শুরু করে। নিজের জীবন নিয়েই ছিলাম অনেক টেনশনে সেখানে আবার আপু এই কাজ করলো। একটা মেয়ে বাসায় আসা মানে হাজারও টেনশন আর চিন্তা মাথায় ঘুরতে থাকে। কারণ, এটা তো আর বাসায় রেখে দেয়ার জিনিস না। আমাকে অনেকেই অনেক কিছু বলতে লাগল, এতো সাহস কেন দেখাতে গেলি, তুই কি ওর খরচ চালাতে পারবি, ওকে আবার বিয়ে দেওয়া লাগবে না। এরকম হাজারও কথা শুনতে হয়েছে। আমি তখন বলেছি আল্লাহ তায়ালা সব দেখবেন।
বাড়ীতেও আব্বু আম্মু সব সময় টেনশন করতো। এদিকে আমার দুলা ভাইয়ের বাসায় তালাক নামা যেতেই তারা সবাই মিলে আমাদের বাড়ী এসে হাজির। অনেক কথা আর কাহিনীর মাঝেও আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত থেকে সরি নাই। যেখানে আমার বোনের সুখের কথা সেখানে কোন আপোষ নাই৷ এই সিদ্ধান্ত টা নেওয়া আমার জীবনের সবচেয়ে বড় কঠিন কাজ ছিল। আমার বয়সে একটা ছেলে যেখানে নিজের জীবন নিয়ে টেনশনে সেখানে আবার আরেকটা ঘর বাধতে হবে। এরপর থেকে আপুর সকল খরচ আমি দেওয়ার চেষ্টটা করতাম।তার কাছে সব সময় জিগাতাম কি লাগবে। এদিকে আমার ডিপ্লোমা শেষ হতে থাকে। আমাকেও গাজিপুর ডুয়েট এডমিশনে যেতে হবে। আবার মাথাস চিন্তা আপুর বিয়েও দিতে হবে৷ আমি বিভিন্ন মাধ্যমে আমার আত্নীয় স্বজনদের কাছে বলে রাখি ছেলে দেখার জন্য। আল্লাহ তায়ালার কাছে একটা দোয়া করতাম, আল্লাহ আমার এডমিশনে যাওয়ার আগে ষেন আপুকে বিয়ে দিয়ে যেতে পারি যাতে একটা টেনশন কমে। আপুর তালাকের তখন ৩ মাস পার হয়েছে। ইসলামের নিয়ম মতো একটা মেয়ের তালাক হওয়ার তিন মাস পর সে আবার বিয়ে করতে পারবে। আমার এডমিশনে যাওয়ার সময় হয়ে গিয়ে ছিল। আমি আগস্ট মাসের ৩১ তারিখ গাজিপুর যাওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নেই এবং ট্রেনের টিকিট কাটি৷ ২৯ তারিখ রাতে আমি বসে আমার ব্যাগ গুছিয়ে রাখতেছিলাম। তখন আমার কাছে আমার পরিচিত একজন হুজুরের কল আসে যিনি কাজী। আপুর তালাক করাইছিল। বললো রাসেল আমার দোকানে একটু আসো। আমি রাত ১০ টার সময় সাইকেল নিয়ে আমার এক বন্ধুর সাথে তার দোকানে গেলাম। গিয়ে দেখি একটা ছেলে ও আরও একজন বসা। পরিচিত হলাম। মূলত সেই ছেলেকে দেখার জন্য আমাকে ডাকছিল। গিয়ে কথা বললাম, ছেলেকে দেখলাম আপুর ছবি দেখালাম।এরপর আমিও ছেলের একটা ছবি তুলে নিয়ে আসলাম। বাড়ূ আমাদের কুমারখালি শহরের মধ্যেই ছিল।
ছেলেরও বিয়ে হয়েছিল তিন মাস পর বউ তার প্রেমিকের সাথে চলে গেছে। এরপর রাতেই আমি সকল খেজ নিই। মেটামুটি সকল দিক ভালো পায়। তারপর আমি তাদেরকে বলি দেখেন, আমি এডমিশনে চলে যাব যদি দেখাশুনা করতে হয় আগামি কালকেই করতে হবে। এরপর তারাও রাজি হয়, পরের দিন আমি সকালে আমার কয়েকজন আত্নীয়কে নিয়ে তাদের বাসায় যায়। আমাদের দিক থেকে মোটূমুটি পছন্দ। তাদেরকে বলি বিকালে আমাদের বাসায় এসে দেখাশুনা করতে। দুপুরের পরে তারা আমাদের বাসায় আসেন। আমি এর মধ্যে সকল কিছুর ব্যবস্থা করি৷ আমি একা সকল দিক দেখতেছিলাম। কারণ দায়িত্বটা যখন আমি নিয়েছি, পালনও আমাকে করতে হবে। তারা দেখাশুনা করে পছন্দ। আমাদেরকে শিওর জানাতে বলে। এবার আমি বাড়ীতে বললাম যেহেতু আমাকে ঢাকা চলে যেতে হবে বিয়ে দিতে হলে আজকেই দিতে হবে। এটা বলে সকলের সাথে সিদ্ধান্ত নিয়ে রাত ১১ টার সময় বিয়ে হবে জানানো হয়৷ তারা ২০ জন লোক আসবে৷ বিকাল ৩ টার পর থেকে আমি আমার চাচাতো ভাই দের সাথে মিলে সকল আয়োজন করি। টাকা কোথা থেকে আসবে সেটাও চিন্তা ছিল। আমি আমার এডমিশনের জন্য আগে থেকে এক লক্ষ্য টাকা গুছিয়ে রাখছিলাম সেটা দিয়েই বিয়ের সকল কাজ শেষ করি। আগস্ট মাসের ৩০ তারিখ বিয়ে হয়। আমার আর পরের দিন ঢাকা যাওয়া হলো না। সবাই বললো বিয়ে যখন দিয়েছিস সকল কাজ মিটায়ে তারপর যা।
সকল কাজ শেষ করে আমি সেপ্টেম্বর মাসের ৩ তারিখ গাজিপুর যায়। আমার মাথা থেকে যেন বড় একটা বোঝা নেমে গিয়েছিল৷ যদিও আমার এডমিশনের সকল টাকা বিয়েতে খরচ করেছিলাম। কারণ আব্বুর সার্মথ্য ছিল না। বয়সে ছোট হয়েও আমি চেষটটা করেছিলাম বড় দায়িত্বটা পালন করা যা মোটেও সহজ ছিল না। এতো বড় গল্প থেকে হয়ত আপনারা বুঝতে পেরেছেন। আমার জীবনের এটা ছিল সবচেয়ে বড় চ্যালেন্জ বলতে পারেন এখন পর্যন্ত।
তৃতীয় চ্যালেন্জের সারাংশ
এবার আসুন আরেকটা চ্যালেন্জের কথা শোনা যাক। আপুর বিয়ে দেওয়ার পর আমি আমার স্বপ্ন পূরণের জনয় এডমিশনে আসি। আসার কয়েক মাস পরেই আমার জীবনে আবারও বড় একটা ঝড় নেমে আসে। যা আমাকে আবারও চ্যালেন্জের মুখে ফেলে। হঠাৎ গাজিপুর থেকে জানতে পারি মায়ের খুব জ্বর কয়েক দিন ধরে। এরপর হঠাৎ একদিন বমি এবং বমির সাথে রক্ত উঠতেছিল। এটা শোনা মাত্র আমি আমার ছোট খালাকে কল দিয়ে বলি আমাদের বাড়ীতে যেতে এবং মায়ের অবস্থা দেখে হাসপাতালে নিতে। পরে আব্বু এবং আমার বড় ভাই মিলে কুষ্টিয়া হাসপাতালে নিয়ে যায়৷ তত সময়ে মায়ের পুরো শরীরে কোন বল নাই। অনেকগুলো টেস্ট করে জানতে পারে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে তার শরীরে কোন বল নাই,৷ যেন মারা যাওয়ার অবস্থা। তাকে তখনই ডাক্তার সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়। আমি খবর শুনতে পায় সন্ধার সময়৷ তখনই ঢাকা থেকে বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা হই। আসছিলাম টেনশন বাদ দিয়ে নিজের স্বপ্ন পূরণের জন্য পড়াশুনা করতে কিন্তু বিপদ পিছু ছাড়ে না। পরের দিন সকালে সরাসরি হাসপাতালে গিয়ে পৌছায়। প্রথম দিকে কোন অবস্থায় মায়ের শরীর ঠিক হচ্ছিল না। ৭ দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। তারপর একটু সুস্থ হওয়াতে বাসায় আনি৷ এই সাতটা দিন জীবনের উপর দিয়ে বয়ে গেছে বড় ঝড়। সব সময় মনে হতো মাকে মনে হয় আর বাচানো যাবে না, হঠাৎ হাসপাতাল থেকে রিলিজের আগের দিন মা ব্রেন স্কোক করে৷ যার ফলে প্যারালাইসি হয়ে যায়। আমার জীবনে যেন তখন আরও বড় ঝড় আসল। কিভাবে এই সময়টা পার করব বুঝতে পারতেছিলাম না। এভাবে দুই সপ্তাহ মতো কাটে তারপর মা কিছুটা সুস্থ হলে বাসায় আনি৷ টেনশনে আমার ঘুম হতো না। টাকা কোথা থেকে আসবে মায়ের যত্ন করা সবই করার চেষ্টটা করেছি৷ পরে মোটামুটি মা একটু সুস্হ হয় আল্লাহ তায়ালা রহমতে। এই সময়গুলো পার করা আমার কাছে ছিল আরও একটা বড় চ্যালেন্জ।
আমার জীবনে আরও অনেকগুলো ঘটনা রয়েছ যা আমাকে নানা ধরনের চ্যালেন্জের মুখোমুখি করেছে।
Share some suggestions that can be helpful while going through different life challenges!
জীবনের বিভিন্ন চ্যালেন্জের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময় সহায়ক হতে পারে এমন কিছু পরামর্শ :-
১. | প্রথমত সকল চ্যালেন্জ মোকাবেলায় নিজেকে ধৈর্য্য ধারণ করে রাখতে হবে। ঠান্ডা মাথায় সকল পদক্ষেপ নিতে হবে। |
---|---|
২. | আমাদের সব সময় অতীতের কথা চিন্তা করে অর্থ মজুদ করে রাখতে হবে। নিয়মিত জন্য অল্প অল্প করে অর্থ জমাতে হবে। |
৩. | পরিবারের সকলের সাথে আলোচনা করে যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা। |
৪. | রাগের মাথায় বা বেশি উত্তেজিত হয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে নাহ। |
৫. | সৎ ভাবে চেষ্টটা করতে হবে এবং সৃষ্টিকর্তার উপর ভরসা রেখে চলতে হবে। |
৬. | মনে রাখতে হবে বাধা আসবেই, সেটাতে ভেঙে না পরে সাহস নিয়ে মোকাবিলা করতে হবে। |
৭. | নিজের প্রতি বিশ্বাস আর আস্থা রাখতে হবে। |
আমি মনে করি আমরা আমাদের জীবনের ২৪ ঘন্টাই নানা ধরনের চ্যালেন্জ এর মুখোমুখি সময় পার করি। এজন্য আমাদের সব সময় নিজের প্রতি বিশ্বাস আর আস্থা রেখে পথ চলতে হবে।
যাই হোক, আমি আজকের প্রতিযোগিতা নিয়ে আমার ব্যক্তিগত জীবনের গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আবারও দেখা হবে আমার নতুন কোনো পোষ্ট নিয়ে।
https://x.com/raselahmed72/status/1954829199497449646?t=o7BfNlm-tKVd518Zalh2eA&s=19