"বিকেলে বাজারে যাওয়ার মুহূর্ত..........!"
![]() |
---|
বৃষ্টির সময় চারপাশটা কেমন যেন স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে আছে। চারপাশ থেকে কেমন একটা গন্ধ ভেসে আসছে, তার উপরে শরীরটা ভালো নেই আগেই আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম শরীরে প্রচন্ড জ্বর মাথা ব্যথা তার সাথে কোমরে প্রচন্ড ব্যথা রয়েছে। যার কারণে কোন কাজ করতে পারছি না অনেক বেশি কষ্ট হচ্ছে। তাই বিকেল বেলা ডাক্তারের কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। বাড়ি থেকে বের হতেই আমার বিকেল পাঁচটা বেজে গেল। তারপর সোজা রাস্তায় গিয়ে দশ মিনিটের মত অপেক্ষা করলাম, আসলে বৃষ্টি হচ্ছে যার কারণে গাড়ির দেখা পাচ্ছিলাম না। তার ওপরে ছিল বাজারের দিন। মোটামুটি অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পর একটা রিকশা পেয়ে গেলাম। তারপর ওখানে উঠে চলে গেলাম সোজা বাজারের উদ্দেশ্যে।
গিয়ে দেখলাম ডাক্তার সাহেব নেই নামাজ পড়তে গিয়েছে, তাই আমি সময় নষ্ট না করে বাজারে ভেতরে গেলাম কারণ আমার কিছু জিনিসপত্র কেনার রয়েছে। প্রথমত আমি চলে গেলাম শুটকির দোকানে জ্বরের মধ্যে কোন কিছুই ভালো লাগছে না। চিন্তা করলাম শুটকি নিয়ে যাব ভর্তা তৈরি করে একটু খাবো তাহলে হয়তোবা ভালো লাগবে। ওখান থেকে ১৫০ টাকা দিয়ে ১০০ গ্রাম শুটকি নিয়েছিলাম। তারপর চলে আসলাম কাঁচাবাজারের দোকানে ওখান থেকে কিছু বাজার ছিল সেগুলো শেষ করলাম। মোটামুটি বাজার করা হয়ে গেলে তারপর সোজা চলে গেলাম মোবাইলের দোকানে। আমার হাতে থাকা মোবাইলের গ্লাস ফেটে ভেঙে গেছে, অনেকবার হাত থেকে পড়ার কারণে তার অবস্থা একেবারেই খারাপ আর ব্যাক কভার পরিবর্তন করেছি প্রায় অনেকদিন হয়ে গেছে। তার অবস্থাও মোটামুটি খারাপ তাই প্রথমত মোবাইলের গ্লাস পরিবর্তন করে নিয়েছিলাম।
তারপর জিজ্ঞেস করেছিলাম একটা ব্যাক কভার এর দাম কত বললো ২০০ টাকা। এরপর আমি বললাম ১৫০ টাকা দিব যদি দেন তাহলে একটা দিতে পারেন, তারপর উনি আমাকে একটা ব্যাক কভার দিলেন। এরপর সোজা চলে আসলাম অন্য আরেকটা দোকানে এখানে এসে আমার জন্য একটা ফেসওয়াশ নিয়েছিলাম এবং একটা ক্রিম নিয়েছিলাম। মোটামুটি সব জিনিসপত্র নেয়ার পর আমি সোজা চলে গিয়েছিলাম ডাক্তারের দোকানে। ওখানে গিয়ে ডাক্তারকে আমার সমস্যা খুলে বললাম এরপর ডাক্তার আমাকে প্রয়োজন অনুযায়ী ঔষধ দিয়েছিল, টাকা পরিশোধ করে সোজা চলে গিয়েছিলাম ফুচকা ওয়ালা মামার কাছে।
এরপর গিয়ে জানতে পারলাম উনি এখন থেকে বেলপুরি বিক্রি করে তার সাথে ফুচকা রয়েছে, তবে তার সংখ্যা অতি নগণ্য। যাইহোক অনেকদিন হয়ে গেছে বেলপুরি খাওয়া হয় না তাই আমি উনার কাছ থেকে ৫০ টাকার বেলপুরি অর্ডার করেছিলাম, তার সাথে অর্ডার করেছিলাম ৫০ টাকার ফুচকা। কারণ আমার বড় ছেলে ফুচকা খেতে অনেক বেশি পছন্দ করে। এরপর রাস্তায় এসে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করলাম পাঁচ মিনিট। এখন একটা রিকশা পেয়ে গেলাম তারপর রিক্সা নিয়ে সোজা বাড়িতে চলে আসলাম। বাড়িতে আসতে আসতে মাগরিবের আজান দিয়ে দিল, তাই আগে নামাজ পড়ে নিয়েছিলাম তারপর ছেলেরা সহ বেলপুরি ফুচকা দুইটাই খেয়ে নিয়েছিলাম। এরপর মোবাইলের মধ্যে কভার টা লাগিয়ে নিয়েছিলাম, দেখতে বেশ ভালই লাগছিল। আর এভাবেই আমি বিকালের সময়টা পার করেছিলাম।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাকে সাপোর্ট দেয়ার জন্য।