Better Life With Steem || The Diary game || 28 August 2025 ||
একটা জিনিস এই কয়েকদিনে বেশ ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছি। সেটা হচ্ছে প্রয়োজনের চাইতে আপনি যখন একটা মানুষকে অনেক বেশি গুরুত্ব দেয়া শুরু করবেন। তখনই কিন্তু সেই মানুষটার কথা বলার ধরন পরিবর্তন হয়ে যাবে। আমার কাছে মনে হয় একটা মানুষকে ঠিক ততটাই গুরুত্ব দেয়া উচিত। যতটা সে পাওয়ার যোগ্য, অতিরিক্ত দিতে গেলেই কিন্তু তার কথা বলার ধরন তার ভাব ভঙ্গি সবকিছুই পরিবর্তন হয়ে যায়। একটা মানুষের সাথে চলতে চলতে আমরা সেই মানুষের আসল রূপ দেখতে পাই। তবে কিছু কিছু মানুষের পরিবর্তন দেখলে আমরা নিজেরাই অবাক হয়ে যাই এবং বলতে বাধ্য হই, এই মানুষটা আমাদের সাথে এই কাজ কিভাবে করল। তবে সেই মানুষটা অনায়াসে আপনার সাথে আপনার ক্ষতি করার জন্য অনেক বাজে ধরনের কাজ করতে পারে।
প্রথমে তো অনেক কিছুই বিশ্বাস করতাম না, কিন্তু পরবর্তী সময়ে এসে দেখলাম আমাকে বিশ্বাস করতে বাধ্য করা হয়েছে। আসলে সেই মানুষটার দ্বারা অনেক কিছু করা সম্ভব আর রীতিমত অবাক হয়েছি। আসলে আমি বুঝতেও পারিনি এই মানুষটা এত কঠিন কাজ এত সহজে করে ফেলবে, আদৌ কতটা সহজ ভাবে করেছে সেটা আমার জানা নেই। তবে তার দ্বারা এই কাজ কিভাবে সম্ভব হয়েছে এটা ভেবেই আমি মাঝে মাঝে অবাক হয়ে যাই। অবাক হওয়ার কিছু নেই মানুষ পরিবর্তনশীল এটা আমাদেরকে মেনে নিতেই হবে। আর যত দ্রুত আমরা এটা মানতে পারব তত দ্রুত আমরা কিন্তু তাদের সম্পর্কে বুঝতে পারব। তাই কাউকে কিছু বলার আগে কারো সম্পর্কে অতিরিক্ত কিছু বোঝার আগে, সেই মানুষটা সম্পর্কে ভালোভাবে জানাটা অনেক বেশি প্রয়োজন।
আলহামদুলিল্লাহ নতুন একটা সকালের দেখা পেয়ে অনেক বেশি খুশি। তবে আজকের সকালটা আমার একটু অন্যভাবেই শুরু হয়েছিল। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে কোন রকম কাজ ছিল না, তার কারণ হচ্ছে আমি এখন আমার বাবার বাড়িতে রয়েছি। যাইহোক সকালবেলা মায়ের সাথে একটু সাহায্য করেছিলাম। তারপর সকালে পান্তা ভাত ছিল শুটকি ভর্তা তৈরি করে পান্তা ভাত খেয়ে নিয়েছিলাম। তারপর চলে গিয়েছিলাম মায়ের ঘরের কিছু বাজার করার জন্য এবং বাবাকে ডাক্তার দেখানো হয়েছে তার জন্য কিছু ঔষধ নিয়ে আসতে হবে। বাজারে যাওয়ার পর আসলে অবস্থা একেবারেই খারাপ হয়ে গিয়েছিল, এত পরিমাণে গরম যেটা বলে বোঝানো সম্ভব না।
যাইহোক মোটামুটি আমার সমস্ত বাজার কমপ্লিট করে নিয়েছিলাম, তারপর চাচাতো বোনের ছেলের ডাক্তার দেখানোর কথা ছিল ওকে ও ডাক্তার দেখানো সম্পন্ন করলাম। মোটামুটি দুপুর একটার সময় বাড়িতে আসলাম। বাড়িতে এসে দুপুরের খাবার খেয়ে ভেবেছিলাম একটু বিশ্রাম নেব। কিন্তু সেটা আর হয়ে ওঠেনি কারণ মায়ের ঘরে কিছু কাজ ছিল সেগুলো সম্পন্ন করতে হয়েছিল। কাজ করতে করতে মাগরিবের আজান দিয়ে দিল। তারপর নামাজ পড়ে এসে মা একটু চিকেন চাপ তৈরি করতে বলেছিল। তাই উনার জন্য একটু চিকেন চাপ তৈরি করে দিলাম। তারপর আর কিছুই ভালো লাগছিল না প্রচন্ড মাথা ব্যথা করছিল, তাই আমি শুয়ে পড়েছিলাম আর এভাবেই আমার জীবন থেকে আরো একটা দিন অতিবাহিত করলাম। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।