"বান্ধবীদের সাথে নৌকায় চড়ার সুন্দর মুহূর্ত - শেষ পর্ব"
![]() |
---|
Hello,
Everyone,
আশাকরছি সকলে ভালো আছেন এবং আপনাদের প্রত্যেকেরই আজকের দিনটা খুব ভালোভাবে কেটেছে। গত কালকের পর্বে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম বান্ধবীদের সাথে নৌকা ভ্রমণের প্রথম পর্ব। আজ পরবর্তী পর্বের লেখা শুরু করছি।
![]() |
---|
যেমনটা আগেই বলেছিলাম, গতবারের তুলনায় এই বছর জল একটু বেশিই ছিলো। রাখির কাছেই শুনলাম জল বেশি থাকলে নৌকা ভালোভাবে চালানো যায়। তাই মামাদের বাড়ির উঠোন থেকে কিছুটা দূর এগিয়ে এসেই নৌকাটা অনেক সুন্দর ভাবে চলছিলো। কারণ ততক্ষণে জলের গভীরতা বেড়ে গিয়েছিলো।
![]() |
---|
প্রথমেই বলেছি যে জমিতে জল জমে ছিলো এবং যেখানে আমরা নৌকায় চড়েছি, সেই জায়গাগুলো চাষের জমি। বছরে অন্যান্য সময় এখানে ধান, গম, পাট এই জিনিসগুলো চাষ করা হয়ে থাকে। তবে বর্তমানে সেখানে তাকালে চারিদিকে শুধু জল আর জল। আলাদা করে আর কোনো জমি বোঝার উপায় নেই।
![]() |
---|
গোটা জমি জুড়ে ছিল শাপলা এবং প্রচুর পরিমাণে কলমি শাক। রাখির কাছে শুনলাম আমাদের পাড়ার সকলেই কমবেশি এখান থেকে শাপলা তুলেছে আর কলমি শাক ও। যে মামা নৌকা তৈরি করেছেন তিনিও সেই শাপলা ও কলমী শাক তুলেছিলেন, আর রাখীদেরও দিয়েছিলেন।
![]() |
---|
ওখানে আরও একটা শাক দেখছিলাম। যদিও সেটা খাওয়া যায় কিনা জানিনা। তবে পাতাগুলো কিন্তু বেশ সুন্দর দেখতে ছিলো। পাতাগুলো উপরের দিকটায় খানিকটা গোলাপ ফুলের মত হয়ে আছে। যদি আপনারা ছবিগুলো খেয়াল করেন তাহলে হয়তো কিছুটা বুঝতে পারবেন।
![]() |
---|
অনেকটা জায়গা জুড়ে এই শাকগুলো ছড়িয়ে আছে যা দেখতে সুন্দর লাগলেও, খাওয়ার উপযুক্ত নয় বলেই বোধহয় কেউ খায়নি। যাইহোক নৌকা নিয়ে আমরা অনেকটা দূর গিয়েছিলাম। বেশ খানিকটা দূর যাওয়ার পর নৌকা আর চালানোর প্রয়োজন পড়ছিল না, কারণ তখন বেশ হাওয়া দিচ্ছিলো আর নৌকাটা নিজের মতো করেই এদিক ওদিক ঘুরছিলো।
![]() |
---|
![]() |
---|
সেই মুহূর্তে আমরাও নৌকাতেই বসে নিজেদের মতো করে কিছু সময় গল্প করলাম, ছবি তুললাম, কারণ তখন নৌকা চালানোর প্রয়োজন ছিল না। আপনারা জানলে অবাক হবেন নৌকাতে ওঠার আগে আমরা এক বোতল জল এবং অনেক গুলো নিমকি ভাজা নিয়ে উঠেছিলাম। নৌকাতে বসেই খেয়েছিলাম। তবে দুর্ভাগ্যবশত খাওয়ার সময়কার ছবিগুলো ক্যামেরাবন্দি করতে ভুলে গিয়েছিলাম।
![]() |
---|
শাপলার পরিমাণ তখন অনেকটাই কমে গিয়েছিলো, কারণ প্রতিদিন কেউ না কেউ শাপলা তুলতেই থাকে। আমরাই বা বাদ যাই কেন, তাই কয়েকটা শাপলা আমরাও তুললাম। এরপর বেশ কিছুক্ষণ সেখানে নৌকায় বসে গান শুনলাম, নিজেদের মধ্যে গল্প করলাম, এই সমস্ত কিছু করতে করতে কখন দু ঘন্টা পার হয়ে গিয়েছিলো আমরা বুঝতেই পারিনি।
কিছুক্ষণ বাদেই রাখির ফোনে সেই মামা ফোন করে জানালেন উনি এখন জাল তুলতে আসবেন। তাই আমাদেরকে নৌকা নিয়ে ফিরতে হবে।
![]() |
---|
অগত্যা ইচ্ছা না থাকলেও আবার বাড়ির পথে রওনা করলাম। তখন হাওয়া চলছিলো অনেক বেশি, তাই ফেরার সময় নৌকা চালাতে একটু বেশিই কষ্ট হয়েছে। তবে সত্যি কথা বলতে আমি নৌকা চালানোতে একেবারেই অজ্ঞ। পিয়ালী এবং রাখি আমার থেকে অনেকটাই ভালো নৌকা চালাতে পারে। তাই আমার কাজ ছিল মাঝখানে চুপচাপ বসে থাকা।
বাকি দুপাশ থেকে ওরাই নৌকা চালাচ্ছিল এবং বেশ কিছুক্ষণ চেষ্টা করার পর, অবশেষে আমরা মামাদের বাড়ি পর্যন্ত পৌছালাম। আমরা নৌকা থেকে নামার পর মামা আবার নৌকা নিয়ে চলে গেলো জাল পাতার জন্য এবং পেতে রাখা জালটা তুলে আনার জন্য।
![]() |
---|
সবকিছু মিলিয়ে সেদিন বিকেলটা বেশ উপভোগ করেছি। বিশেষ করে সেদিনের আবহাওয়া, আকাশের রং সবকিছু মিলিয়ে সময়টা যেন খুব সুন্দর ভাবে অতিবাহিত হয়েছিলো। ভেবেছিলাম সেদিনই আপনাদের সাথে এই পোস্টটা শেয়ার করবো। কিন্তু হয়ে ওঠেনি।
তারপর তিতলির জন্মদিন এবং আরো কিছু ঘটনা শেয়ার করতে করতে, অনেকটা দেরি হয়ে গেলো এই পোস্টটা শেয়ার করতে। তবে ছবিগুলো দেখে আপনাদের কেমন লাগলো অবশ্যই মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। ভালো থাকবেন সকলে। শুভরাত্রি।
Thank you so much for your support . 🙏
@sampabiswas
তোমার এলাকায়ও পানির পরিমাণ বেড়েছে। তোমার এলাকায় গম ও ধানের ফসল আছে শুনে ভালো লাগলো, আমাদেরও একই রকম ফসল। তুমি নৌকায় ভ্রমণ করে দারুন ছবি তুলেছো। খুব ভালো হয়েছে।