"তিতলির জন্মদিন শুভারম্ভের কিছু সুন্দর মুহূর্ত"
![]()
|
---|
Hello,
Everyone,
আজ খুব ইচ্ছে ছিলো আপনাদের সাথে নৌকা চড়ার কিছু মুহূর্ত শেয়ার করবো। গত পোস্টে তেমনটাই জানিয়েছিলাম। কিন্তু তারও আগে ভাবলাম আজ এই পোস্টটা শেয়ার করি, যেখানে তিতলির জন্মদিন উদযাপনের কিছু অংশ তুলে ধরতে চলেছি।
বাচ্চারা বরাবরই জন্মদিন নিয়ে ভীষণ আনন্দে থাকে। তিতলির ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয় না। দুদিন আগের পোস্টে জানিয়েছিলাম যে, এইবার আরও বেশি উত্তেজনা কাজ করছে, কারণ আগামীকাল তাঁর ১০ বছরের জন্মদিন। মাসখানেক আগে থেকেই কত কিছু প্ল্যান করে চলেছে তার হিসেব নেই।
![]()
|
---|
![]()
|
---|
![]()
|
---|
যাইহোক বাচ্চাদের সব বায়না যদিও পূরণ করা সম্ভব হয় না, কিন্তু তবুও এই বছরটাকে একটু স্পেশাল করার জন্য দিদি ও আমি একটা প্ল্যান করলাম। আজকে সেই গল্পই শেয়ার করবো আপনদের সাথে।
জন্মদিনের আগের দিন রাত বারোটার পর অনেকেই সারপ্রাইজ দেয়, সেটা প্রায়শই তিতলিও শুনে থাকে, ফোনে বা টিভিতেও দেখে থাকে এবং এই বিষয়ে তিতলি দিদিকে বেশ কয়েকবার জানিয়েছে। কিন্তু দিদি ততটাও গুরুত্ব দেয়নি। আজ দুপুরে দিদির সাথে কথা হলো এবং দুজনে মিলে প্ল্যান করলাম, আমরাও আজ বারোটার পরে ওর জন্য একটা ছোট্ট একটা সারপ্রাইজ এর আয়োজন করবো।
![]()
|
---|
![]()
|
---|
সেইমতো গ্রামের বাড়ি থেকে ফিরে বেশ কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে, সন্ধ্যার পর আমি বাড়ি থেকে বের হলাম। ট্রেন থেকে নেমে সোজা বাজারে গেলাম দিদির সাথে সেখানে দেখা হলো। দিদি ও দাদা এসেছিলো প্রয়োজনীয় কিছু জিনিসপত্র কিনতে। ওদের সাথে দেখা করে আরও কিছু জিনিস কিনে নিয়ে, বাড়ি ফেরার পথে তিতলির পছন্দ মতন একটা পেস্ট্রি নিয়ে নিলাম। যেটা দিয়েই রাতে ওকে সারপ্রাইজ দেওয়া হবে।
![]()
|
---|
বাজার থেকে ফিরলেই তিতলি ও তাতান ব্যাগ চেক করতে চাইবে এ বিষয়টা আমরা জানতাম, তাই বেশ খানিক কষ্ট করেই পেস্ট্রিটা লুকিয়ে আনতে হয়েছিলো। এরপর জন্মদিনের সমস্ত প্ল্যান নিয়ে বেশ দীর্ঘ আলোচনা চললো।
আজকে একাদশী ছিলো আমাদের। দাদাও আজকাল একাদশী করছে। তাই আমি, দাদা ও দিদি রাতে সাবু মাখা খাবো বলে দিদি, সাবু ভিজিয়ে রেখে গিয়েছিল। বাড়িতে এসে জিনিসপত্র গোছগাছ করে আগে আমরা খাওয়ার ব্যবস্থা করলাম।
![]()
|
---|
![]()
|
---|
![]()
|
---|
আমি ছোট ছোট করে ফল কেটে নিলাম সাবুর ভিতরে দেওয়ার জন্য। ফ্রিজের মধ্যে নারকেল রাখা ছিলো ঠিকই, তবে সেটা একেবারে শুকিয়ে গিয়েছিলো, যেটাকে কুড়ানো সম্ভব ছিল না। তাই দাদা সম্পূর্ণ নারকেলটা তুলে পিছনের কালো খোসাটাকে ছাড়িয়ে, মিক্সিতে দিয়েছিল প্রায় কোড়ানোর মতনই করে দিয়েছিলো।
![]()
|
---|
![]()
|
---|
![]()
|
---|
যাইহোক এরপর আন্দাজ মতো সৈন্ধব লবণ, মিষ্টির জন্য মিছড়ি, কাঠালি কলা এবং কেটে রাখার সমস্ত ফল দিয়ে ভালো করে সাবুটা মেখে নিলাম। আমি নিজে দুধ খাই না, তাই নিজেরটুকু আলাদা করে রেখে দিদি এবং দাদার সাবু মাখাতে দুধ দিয়ে দিয়েছিলাম।
খাওয়া দাওয়া করার পর আগামী কালকের জন্য বেশ কিছু জিনিস গুছিয়ে রাখার কাজে লেগে পড়লাম আমি ও দিদি। এই যেমন আদা, রসুন এই সমস্ত কিছু ছাড়িয়ে রাখা, কিছু মসলা তৈরি করে রাখা। সেই সমস্ত কাজ আমরা গুছিয়ে নিচ্ছিলাম, অন্যদিকে দাদাকে বলা হলো তিতলি ও তাতানকে খাইয়ে নিয়ে ঘুম পারানোর জন্য।
![]()
|
---|
আগামীকালকের এক্সাইটমেন্টে তিতলির ঘুম আসছে না বলে বারবার সে ঘর থেকে বেরিয়ে আসছে। এরপর দিদি একটু রাগ করেই ওকে শুতে বললো। কারণ ও যদি শুয়ে না থাকে, আমরা বারোটার সময় ওকে সারপ্রাইজ দিতে পারবো না।
এরপর তার বায়না হলো মা না এলে ঘুমাবে না। তাই আমি দিদিকে ইশারা করে চলে যেতে বললাম। আমাকেও ডাকছিলো, তবে আমি বলেছি আমার কিছু কাজ আছে সেগুলো শেষ করার পর আমি শোবো।
![]()
|
---|
![]()
|
---|
দিদি ওদেরকে নিয়ে ঘরের ভেতরেই শুয়ে পড়লো। আমি বাইরে পেস্ট্রিটা বের করে, মোমবাতি জ্বালিয়ে, সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য রেডি করে, হঠাৎ করে বারোটার সময় রুমের ভেতরে ঢুকলাম। তখন ওর অল্প ঘুম পেয়ে গিয়েছিলো কিন্তু হঠাৎ করে এই সারপ্রাইজ দেখে ততটাও আনন্দ করতে পারেনি, কারন ঘুমে চোখ বন্ধ হয়ে আসছিলো।
![]()
|
---|
ও আসলে ভাবতেই পারেনি এইরকম কিছু সারপ্রাইজের জন্য আমরা প্ল্যান করতে পারি। তবে ভীষণ খুশি হয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা লাগে না। আগামীকাল সকাল থেকেই তোড়জোড় শুরু হবে। আমি অবশ্যই আপনাদের সাথে জন্মদিনের মুহূর্ত গুলো শেয়ার করবো। জানি না কাজের ফাঁকে কতটা ছবি তুলতে পারবো কিনা, তবে চেষ্টা করবো প্রতিটা মুহূর্ত তুলে ধরার।
আপনারা সবাই তিতলিকে আশীর্বাদ করবেন। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হতে না পারুক আর না পারুক, অন্ততপক্ষে যেন একজন ভালো সব মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। কারণ আজকালকার দিনে ভালো মানুষ হয়ে ওঠাটাই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ।
আজ এখানেই শেষ করি। আপনাদের সাথে পরবর্তী পোস্টে বাকি গল্প শেয়ার করবো। ভালো থাকবেন সকলে। শুভরাত্রি।
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 7/8) Get profit votes with @tipU :)