"শুভ জন্মদিন দাদা - আনন্দের কিছু মূহুর্ত"
![]() |
---|
Hello,
Everyone,
এই মুহূর্তে দিদিদের বাড়ির সোফাতে বসে আপনাদের সাথে পোস্ট লেখা শেয়ার করছি। না আসলে আজ আসবো এমনটা ঠিক ছিল না, কিন্তু হঠাৎ করেই চলে এলাম। তার অবশ্য কারণও আছে।
আজ ১লা সেপ্টেম্বর, অর্থাৎ দাদার জন্মদিন। প্রকৃত অর্থে এটা বোধহয় ওনার পূর্নজন্ম। কারণ মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে এই জীবনটা ফিরে পেয়েছে, কথাটা কেন বললাম যারা আমার পূর্বের পোস্টগুলো পড়েছেন, তারা সকলেই হয়তো জানেন।
কয়েকদিন আগেই তিতলির জন্মদিন হলো, তখন ঘুরে গিয়েছিলাম বলে আর এখন আসার কোনো প্ল্যান ছিল না। তবে দিদি বারবার বলাতে চলেই আসলাম। আসলে এরকম একটা দিন যে আমরা কাটাতে পারবো, আজ থেকে দু বছর আগে সেটা ভাবতেও পারিনি।
কোথাও যেন দিদির মনটাও ভারাক্রান্ত ছিলো, তাই ওকে সঙ্গ দেয়ার জন্যই চলে এলাম। প্ল্যান সেরকম কিছুই নয়। দাদার খুব পছন্দের খাবার চিকেন ভর্তা। প্রতিবার শীতকালে দিদিদের বাড়িতে এলে একবার খাওয়া হয়।
![]() |
---|
তবে যেমনটা আপনারা জানেন গত ডিসেম্বর মাসের বেশিরভাগ সময়টায় শ্বশুরমশাইকে নিয়ে হসপিটালে কাটাতে হয়েছিলো ফলতো আর আলাদা করে দিদির বাড়িতে যাওয়া হয়নি বলে দাদাকেও চিকেন ভর্তা করে খাওয়াতে পারিনি।
আর সেই সময় দাদা অনেকখানি অসুস্থ থাকার কারণে দিদি খুব একটা বেশি খেতেও দিতো না। তাই এ বছর আবদার করল চিকেন ভর্তা খাবে। তার যোগাড় করার পর, ভাবলাম পোস্ট লেখাটা শুরু করি।
কিছুক্ষণ আগে অবশ্য বাজার থেকেই এলাম। আলাদা করে কিছুই নয় দাদার জন্য একটা কেক আনা হলো আর সাথে দুধের প্যাকেট। দিদি অল্প করে পায়েস করবে, কেক কাটা হবে, আর তার সাথে দাদার পছন্দের চিকেন ভর্তা ও দিদি যেহেতু চিকেন খায় না তাই ওর জন্য একটু পনির বাটার মসলা করব। ব্যস আয়োজন বলতে এইটুকুই।
![]() |
---|
দাদার জন্মদিন নিয়ে সব থেকে বেশি আনন্দে রয়েছে তিতলি এবং তাতান। বোঝা যাচ্ছে না জন্মদিন ওদের নাকি ওদের বাবার। ওদের আনন্দ একটাই, বাবার সাথে কেক কাটবে, বাবা ওদেরকে চকলেট দেবে, তারসাথে পছন্দের খাবারও আনবে। সবকিছু মিলিয়ে দুজনেই খুব খুশি।
সোফার উপরে বসে বসে কিছুক্ষণ আমি আর দিদি ফেলে আসা দিনগুলোর কথাই বলছিলাম। জীবন সম্পর্কে আমাদের কত বেশি অভিযোগ থাকে তাই না?
আমরা কখনো কখনো জীবনের সুন্দর মুহূর্তগুলোকে অবহেলায় হারিয়ে ফেলি। কখনো আপন জনের সাথে ঝগড়া বিবাদে সময় পার করি, কিন্তু জীবন থেকে যখন সেই আপন মানুষ হারিয়ে যায়, তখন আফসোসের সাথে সারাটা জীবন কাটাতে হয়।
![]() |
---|
দাদার জীবনের সবথেকে কঠিন মুহূর্ত গুলো দিদি কাছে থেকে দেখেছিলো, তাই এই সকল দিনগুলো আসলেই ও যেন মানসিকভাবে একটু ভেঙ্গে পড়ে। সমস্তটা দাদার সাথে শেয়ার করতে পারে না, তাই আমার সাথেই মন খুলে কথা বলে। আমার সাথে আমার দিদির মতামতের অনেক পার্থক্য, কিন্তু তবুও এইরকম কিছু মুহূর্তে দুই বোন যখন কথা বলি, তখন যেন মনে হয় এই পাশে থাকাটুকু অনেক কিছু।
আমরা আমাদের জীবনের কিছু সম্পর্ককে কখনো কখনো এতটাই তুচ্ছ হিসেবে দেখি যে, যেন মনে হয় এই সম্পর্ক আমাদের জীবনে না থাকলেও কিছু ফারাক পরবে না। কিন্তু বিশ্বাস করুন যে মুহূর্তে এটা অনুভূত হয় উল্টো দিকের মানুষটা জীবনে নেই, তখন ভিতর থেকে যেন নিজেকে খালি মনে হয়।জীবনের সবটুকু দিয়ে তাকে আগলে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করি। যেমন আমি দিদিকেও চেষ্টা করতে দেখেছি।
ওই কঠিন দিনগুলো আসলে যে কিভাবে পার হয়েছে, এখন ভাবতেও অবাক লাগে। যাইহোক বেশ কিছুক্ষণ কথা বলার পর দিদি রান্না ঘরে গেছে। আমিও ওকে হাতে হাতে একটু হেল্প করলাম। দুজন মিলে রান্নার কাজ শেষ করালাম। তারপরে সমস্ত কিছু গুছিয়ে নিয়ে দাদার জন্মদিনের কেক কাটা হলো।
![]() |
---|
পরবর্তী মুহূর্ত গুলো আমরা কিভাবে কাটালাম, সে বিষয়ে না হয় আপনাদের সাথে পরবর্তী পোস্টে কথা বলবো। আপনারা সকলে একটু দাদার জন্য প্রার্থনা করবেন। জীবনের যে কঠিন সময় পার করে এসেছেন, যেন আর কখনো এমন সময়ের মুখোমুখি হতে না হয়। শুধু দাদাকে না পৃথিবীর কাউকেই যেন ঈশ্বর অমন অশুভ দিন না দেখান, এইটুকুই প্রার্থনা। আপনারাও সকলে ভালো থাকবেন। শুভরাত্রি।
Thank you for sharing on steem! I'm witness fuli, and I've given you a free upvote. If you'd like to support me, please consider voting at https://steemitwallet.com/~witnesses 🌟
TEAM 8
Congratulations! Your post has been upvoted through @steemcurator08. Good post here should be..Thank you for your support @dasudi 🙏.