"Better life with steem//The Diary Game// 06th September,2025"
![]()
|
---|
Hello,
Everyone,
গতকাল রাতে দার্জিলিং এ কাটানো সুন্দর মুহূর্ত গুলোর স্বপ্ন দেখলাম হঠাৎ করেই। আসলে হঠাৎ করে বলাটাও ঠিক হবে না, আমরা মূলত সেই স্বপ্নগুলোই দেখি যেগুলো নিয়ে দিনের বেলায় আমাদের চিন্তা-ভাবনা চলে। আসলে আরো একবার ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যানিং হচ্ছিলো বান্ধবীদের সাথে।
যে দাদার সাথে আমরা দার্জিলিঙে ঘুরতে গিয়েছিলাম, তাকেই বলে রেখেছি যাতে নতুন কোথাও প্ল্যান হলে আমাদেরকে জানায়। সেই কারণেই দাদা হোয়াটসঅ্যাপে আমাদের গতকাল কাশ্মীরে যাওয়ার কথা জানিয়েছে। কিন্তু আমাদের পক্ষে এই মুহূর্তে আর অতটা দূর পর্যন্ত যাওয়া সম্ভব হবে না।
![]()
|
---|
কারণ আর যাই হোক না কেন, মধ্যবিত্ত পরিবারের টাকাটা কিন্তু অনেক বড় বিষয়। তাই ৮-৯ দিনের ট্রিপ করা এই মুহূর্তে একেবারেই অসম্ভব। যাইহোক এই নিয়েই বান্ধবীদের সাথে কাল সন্ধ্যার বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়েছে বলেই, বোধহয় রাতের দিকে ওই স্বপ্নগুলো দেখলাম। সকালে ঘুম ভাঙার পরে বুঝতে পারলাম আমি দার্জিলিঙে নয়, শ্বশুরবাড়িতেই রয়েছি।
|
---|
![]()
|
---|
ঘুম ভাঙার পর বেশ কিছুক্ষণ শুয়ে রইলাম। কারণ তখনো এলার্বাম বাজেনি। এর রাতে বেশ গরম পড়েছিলো আবার সকাল থেকে রোদ্দুরও উঠেছিল খুব। অবশ্য ভাদ্র মাসের রোদ্দুর এমনই হয়।
যাইহোক সকালবেলা উঠে হাতমুখ ধুয়ে, ফ্রেশ হয়ে নিচে এসে যথারীতি চা বসলাম। আজ অনেকদিন বাদে ইচ্ছা হলো এক কাপ চা খাই। তাই আমার এবং শুভর চা একসাথে নিয়েই উপরে গেলাম। ওকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে, একসাথে চা খেলাম।
![]()
|
---|
আমার একটা ফোনটা কয়েকদিন ধরে একটু ডিস্টার্ব করছিলো। যেহেতু আজ শনিবার, ও একটু আগেই ফিরে আসবে। তাই ওকে বললাম যদি সম্ভব হয় যেন সন্ধ্যার দিকে আমার ফোনটাও একটু ঠিক করে নিয়ে আসে। যাইহোক রান্না কখনো বাকি, তাই চা খাওয়া শেষ করে তাড়াতাড়ি নিচে এসে রান্না শুরু করলাম।
![]()
|
---|
গত তিনদিন যাবৎ আমি নিরামিষ খাচ্ছিলাম। একাদশীর আগের দিন ও পরের দিন আমি নিরামিষ খাই। তবে আজ খুব ইচ্ছা করছিলো গরম ভাতের সাথে একটু ডাল সিদ্ধ খেতে। ডাল রান্না করার জন্য ডাল প্রেসার কুকারে সিদ্ধ করেছিলাম, সেখান থেকেই কিছুটা তুলে রাখলাম। কাঁচা পেঁয়াজ, কাঁচা লঙ্কা, সর্ষের তেলের সাথে গরম ভাত দিয়ে সকালের ব্রেকফাস্টটা আজ জমে গিয়েছিলো।
|
---|
![]()
|
---|
ব্রেকফাস্ট কমপ্লিট করার পর দুটো পোস্ট ভেরিফিকেশন বাকি ছিলো, সেটাও সেরে নিলাম। ইতিমধ্যে শাশুড়ি মা এসে বললো আমাদের পাশের বাড়ির একজন জেঠিমা ফুল দিতে আসবেন। আসলে আমাদের বাড়ি থেকে দুটো গাছ নিয়ে ওনাদের বাড়িতে লাগিয়েছিলেন। সেই গাছে ফুল ফুটেছে সেগুলোই উনি দিতে আসবেন। আর এমনিতেও ওনাদের বাড়িতেও অনেক ফুল হয়।
আসলে কয়েকদিন আগে উনি ফুল নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু সকাল সকাল আমার পুজো দেওয়া হয়ে গিয়েছিলো বলে, তখন সেই ফুলগুলো পরে আসনে শুধু সাজিয়ে দিয়েছিলাম। তাই আজ উনি আসার আগেই ফোন করে দিয়েছিলেন, যাতে আমি সকাল সকাল পূজা দিয়ে না ফেলি।
![]()
|
---|
যাইহোক কাজগুলো গুছিয়ে নিয়ে আমি স্নান করতে গেলাম। ততক্ষণে জেঠ্যিমা ফুল দিয়ে গেছেন, তারপর পুজো সেরে নিলাম। ফুলগুলো দিয়ে আসন সাজিয়ে দিলাম। তারপর সকলে মিলে দুপুরের খাওয়া দাওয়া সেরে নিয়ে, বিশ্রাম নিলাম।
|
---|
![]()
|
---|
সন্ধ্যা বেলায় পুজো দিতে বসেছি এমন সময়ই শুভ অফিস থেকে ফিরলো। পুজো দেওয়ার পর ওকে একটু ছাতু মুড়ি মেখে দিলাম, ওর খিদে পেয়েছিলো বলে। তারপর আমাকে বললো, ফোন নিয়ে তখনই দোকানে যাবে। তাই আমি যেন নেট অফ করে দিই।
নেট অন থাকলে মেসেজ আসতে থাকে, সুতরাং দোকানে নিয়ে গেলে কাজ করতে সমস্যা হয়। এই কারণে ফোন বন্ধ করেই ও দোকানে নিয়ে গেলো। একটা ফোনের সামনের গ্লাসটাও বদলাতে হতো। সেটাও করে আনলো।
![]()
|
---|
মজার বিষয় হলো ও অন্য একটা ফোনের জন্যে একটা কভার পছন্দ করেছে। তার ছবিটা দেখলে আপনারাও হয়তো হাসবেন। তবে ওর নাকি পছন্দ হয়েছে। আসলে কভারটা নিঃসন্দেহে সুন্দর, তবে বাচ্চাদের জন্য ঠিক আছে। আমার মতো বুড়িদের জন্য একটু কেমন লাগছে না?
কথাটা বলতেই রেগে গেলো। ওর মতে কভারটা যথেষ্ট সুন্দর। যাইহোক আপাতত ফোনেই লাগিয়েছি। ছবি তুললাম আপনাদের জন্য, একেবারে মন্দ লাগছে না বলুন?
যাইহোক এরপর ও বেড়োলো বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে, আর আমি বসলাম পোস্ট লিখতে। এইভাবেই কাটলো আমার আজকের দিনটা। আপনাদের প্রত্যেকের দিনটা কেমন কাটলো? অবশ্যই মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। ভালো থাকবেন সকলে। শুভরাত্রি।
👋 Hey @sampabiswas ,
Your post has been manually curated by @besticofinder 🎉
Thanks for sharing such nice content with the Steemit community. Keep it coming!
💬 Want to stay connected?
Join our Discord
– @besticofinder
Thank you for your support @wirngo.🙏