"Better life with steem//The Diary Game//17 th August,2025- Happy Sunday"
![]() |
---|
Hello,
Everyone,
আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের সকলের আজকের দিনটি অনেক ভালো কেটেছে।
আজ রবিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন। তার উপরে আজ ছিলো মনসা পূজো। দেখতে দেখতে বাংলা ক্যালেন্ডারের আরও একটা মাস অর্থাৎ শ্রাবণ মাস শেষ হলো আজ।
আজকে রবিবার হলেও অন্যান্য রবিবারের তুলনায় আজকের দিনটা বেশ খানিকটা অন্যভাবে কাটিয়েছি, তাই ভাবলাম এই ভিন্নধর্মী দিনটির কার্যক্রম আপনাদের সাথে আজকের পোস্টের মাধ্যমে শেয়ার করা যাক।
|
---|
![]() |
---|
গতকাল রাতে শাশুড়ি মা গিয়েছেন আমার ননদের বাড়িতে। তাই আমাকে ও শুভকে নিচে শুতে হয়েছিলো। কারণ শ্বশুরমশাই বাড়িতেই ছিলেন, তাই নিচের তলাতে ওনাকে একা রাখা যাবে না। এই কারণেই রাতে আমরা নিচে শুয়ে ছিলাম। ফলতো জায়গা বদল করাতে রাতে খুব একটা ভালো ঘুম হয় নি।
রবিবার দিন সাধারণত অনেকটা লেটেই ঘুম থেকে উঠি, কিন্তু আজ অনেক সকালেই উঠে পড়েছিলাম। তারপর ফ্রেশ হয়ে শ্বশুর মশাইকে চা করে দিয়ে, সোজা চলে গিয়েছিলাম ছাদে পুজোর জন্য ফুল তুলতে। ফুল তুলে আসার পর ঘরের বাকি কাজ সেরে নিলাম। যেহেতু শাশুড়ি মা বাড়ি নেই, আজ সংসারের সব কাজের দায়িত্ব আমার উপরেই ছিলো। তারও আগে কমিউনিটির কয়েকটা পোস্ট ভেরিফাই করা বাকি ছিলো, তাই আগে সেই কাজটাই শেষ করলাম।
![]() |
---|
ব্রেকফাস্ট এর জন্য ছোলার ডাল রান্না করে, কিছুটা ময়দা মেখে রেখে আমি স্নান করে নিলাম। কারণ তখনো পর্যন্ত শুভ ঘুমাচ্ছিলো। তাই ভাবলাম সকাল বেলায় পুজাটা দিয়ে দিই। আসলে সকালে পুজো হয়ে গেলে কেন জানিনা মনটা খুবই ভালো লাগে। তবে প্রতিদিন সেটা সম্ভব না। আজ যেহেতু অনেকটা সকালে উঠেছিলাম ঘুম থেকে, তাই প্রথমেই পুজোটা সম্পন্ন করে নিয়েছিলাম।
পাশের বাড়ির কাকিমা আজকেও অনেক গুলো ফুল দিয়েছিলো, সেগুলো দিয়ে সুন্দর করে আসনটা সাজিয়ে আজ পুজো করেছি। পুজোর শেষ হওয়ার পর শুভকে ডেকে দিলাম। তবে ও আজ আর সকালে চা খায়নি। তাই আমি আর সময় নষ্ট না করে ব্রেকফাস্ট তৈরি করতে গেলাম।
![]() |
---|
শ্বশুরমশাই আলুর পরোটা খেতে পছন্দ করেন না, তাই ওনাকে কয়েকটা শুধু পরোটা করে দিলাম। আমার এবং শুভর জন্য আলুর পরোটা করলাম। আসলে ফ্রিজে দুটো আলু সিদ্ধ করা ছিলো, তারই সদ্ব্যবহার করলাম বলতে পারেন। শুভ আবার আলুর পরোটার সাথে টমেটো সস খেতে খুব ভালোবাসে, তাই ওকে একটু সস দিলাম।
দুর্ভাগ্যবশত আমাদের কাজের মাসি দুদিন ছুটি নিয়েছেন। তাই সকালের ব্রেকফাস্ট শেষ করার পর, চায়ের এবং ব্রেকফাস্ট এর সমস্ত বাসন গুলো মেজে, তারপর দুপুরে রান্নার জোগাড় করতে গেলাম।
|
---|
![]() |
---|
ইতিমধ্যে শুভ বেরিয়ে গেছে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে। ও যাওয়ার সময় ওকে উপরের ছবিতে যে ব্যাগটা দেখছেন সেটা দিয়ে ননদের বাড়িতে পৌঁছে দিতে বললাম। কারন শাশুড়ি মা নিতে ভুলে গিয়েছেন। যাইহোক আমিও চলে গেলাম রান্না ঘরে। দুপুরে রান্নার আয়োজন করতে করতে মোবাইলে পছন্দের কিছু গান চালিয়ে নিয়ে রান্না শুরু করলাম। যদিও বেশি কিছু রান্না করিনি।
![]() |
---|
আসলে গতকালকের অনেক তরকারি ছিল ফ্রীজে। তাই আজ শুধু ভাত ও চিকেন কষা রান্না করেছি, সাথে একটু আলু উচ্ছে ভাজা।আসলে চিকেনের ঝোল শুভ খুব একটা খেতে চায় না, তাই ওর পছন্দ অনুযায়ী একেবারে কষাকষা করে চিকেন রান্না করলাম, যেটা খেতে বেশ ভালো হয়েছিলো।
যাইহোক বাদবাকি সমস্ত রান্না শেষ করে খাবার টেবিলে গুছিয়ে নিয়ে, রান্নাঘর পরিষ্কার করে, যা বাসন হয়েছিল সেগুলো মেজে, আরও একবার স্নান করে নিলাম। না হলে খেতে বসতেই পারতাম না।
অন্যদিকে শ্বশুর মশাইয়েরও স্নান করা হয়ে গেলে, শুভ তখনও বাড়িতে আসেনি বলে আমি শ্বশুর মশাইকেই খেতে দিয়ে খানিকক্ষণ বিশ্রাম নিলাম। এরপর শুভ বাড়িতে এলে স্নান সেরে নেওয়ার পর আমরা একসাথে লাঞ্চ শেষ করলাম।
![]() |
---|
বাড়ি আসার পথে শুভ আবার একটা আইসক্রিম নিয়ে এসেছিলো। যদিও চকলেট ফ্লেভার আমার বেশি পছন্দ, কিন্তু ও বাটারস্কচ এনেছিলো, সেটাও মন্দ নয়। তাই ভাত খাওয়া শেষ করে, বেশ কিছুটা সময় নিয়ে আইসক্রিম উপভোগ করতে করতে খানিকক্ষণ ফোন দেখলাম।
|
---|
শুভ ঘুমিয়ে গিয়েছিলো ঠিকই, কিন্তু আমার আর ঘুম আসেনি। এদিক ওদিক করে ফোন দেখে খানিকটা সময় কাটিয়ে দিয়ে সন্ধ্যা হতেই উঠে, সন্ধ্যা পুজো দিয়ে নিলাম। তারপর যথারীতি শ্বশুরমশাইকে চা করে দিয়ে আবার একটু শুয়ে পড়লাম। এইভাবে সময় কাটছিলো।
হঠাৎ করে দিদি ফোন করলে ওর সাথে কিছুক্ষণ কথা বললাম। আসলে আগামী ২০ শে অগাস্ট আমার দিদির মেয়ের জন্মদিন। এ বছর তার দশ বছরের জন্মদিন, তাই সেটা নিয়ে ভীষণ প্ল্যানিং করছে সে।
![]() |
---|
যাইহোক তিতলির জন্য দিদি ওর পুরনো কিছু কানের, আংটি এই সমস্ত কিছু বদলে একটা পার্লের সেট বানিয়ে দিয়েছে। আসলে ওর আংটি গুলো ছোটবেলার, বড় হওয়ার পরে আর পড়তে পারবে না। তাই দিদি এমন একটা কিছু বানিয়ে দিতে চাইছিলো যেটা ও সব বয়সেই পরতে পারবে। পার্লের সেটটা নিজেই পছন্দ করেছে। তাই দিদি ওকে পড়ানো অবস্থায় আমার কাছে একটা ছবি পাঠিয়েছে।
![]() |
---|
ওই ছবিটার পরপরই দেখি আরো একটা ছবি, এটা হচ্ছে দিদির একটা কানের দুল। এটা দিদি কিনেছে। সোনার দিকে দিদির অনেক আকর্ষণ, তবে খুব বেশি পড়ে না কিন্তু। তবে নতুন ডিজাইনের জিনিস তৈরি করাতে বড্ড ভালোবাসে।
যাইহোক, এই ছবিগুলো দেখতে দেখতে হোয়াটসঅ্যাপে বেশ কিছুক্ষণ কথা হলো ওদের সাথে। তারপর ভাবলাম নিজের পোস্ট লেখাটা শুরু করি। কারণ রাতের কাজ সব বাকি রয়েছে। শাশুড়ি মায়ের যদিও ফিরে আসার কথা, তবে আদেও আজকে আসবে কিনা জানিনা।
অন্যান্য রবিবার গুলোর তুলনায় আজকের রবিবারটা আমার বেশ অন্যরকম কাটলো।অন্যান্য রবিবার গুলোতে অনেকটা বেলাতে ঘুম থেকে ওঠার কারণে যেন সব কাজ তাড়াহুড়ো পরে যায়। আজকে কিন্তু কাজ আমি অনেক বেশি করেছি, শাশুড়ি মা বাড়িতে নেই, এমনকি কাজের মাসিও আসেনি। কিন্তু তবুও যেহেতু অনেকটা সকালে ঘুম থেকে উঠেছিলাম, যেন মনে হলো দিনটা অনেক আরাম করেই কেটে গেছে।
যাইহোক এই ছিলো আমার আজকের সারাদিনের কার্যক্রম। আপনাদের সকলের দিনটা কেমন কাটলো, অবশ্যই জানাবেন। সকলে ভালো থাকবেন। শুভরাত্রি।
Your post has been upvoted by the Team Foresight.
Let's improve your experience in creating content and interacting with other users.
Thank you so much for your support @heriadi. 🙏
Taking a look at the food you prepared, you really had a wonderful Sunday.
Hope you are enjoying your new week?