"Better life with steem//The Diary Game// 16th September,2025- "
![]()
|
---|
Hello,
Everyone,
এই মুহূর্তে বৃষ্টি কিছুটা বন্ধ হয়েছে ঠিকই। তবে সকালের দিকে আবহাওয়াটা মোটামুটি ভালোই ছিলো। ভেবেছিলাম হয়তো আজ আর বৃষ্টি নামবে না। তবে আমার ভাবনাকে ভুল প্রমাণ করে দিয়ে সেই দুপুর বেলা থেকে একটানা বৃষ্টি শুরু হয়েছিলো।
যাইহোক সন্ধ্যা পুজো সেরে আমার দিদির ছেলে তাতানের সাথে একটু কথা বলে, তারপর পোস্ট লিখতে বসলাম। প্রথমেই জিজ্ঞাসা করি কেমন আছেন আপনারা সকলে? আর এই বৃষ্টি ভেজা দিন আপনাদের সকলের কেমন কাটলো?
আমার দিনটা মোটামুটি ভালোই কেটেছে। সারাদিন কিভাবে কাটালাম আজ আপনাদের সাথে সেই গল্প শেয়ার করবো। চলুন তাহলে একেবারে সকাল থেকেই শুরু করি, -
|
---|
![]() |
---|
যদিও আজ সকালবেলার রান্নার কোনো তাড়া ছিলো না। চাইলে একটু বেশি সময় ঘুমানো যেতো, তবুও সময় মতো ঘুম থেকে উঠে পড়েছিলাম। কারণ পুজোর আগে প্রতিটি বাঙালি বাড়িতেই বেশ কিছু কাজ থাকে। দেখতে দেখতে পুজো প্রায় চলেই এলো, তাই এক এক করে এখন সকল কাজগুলোকে গুছিয়ে নিতে হবে।
শুভ আজ অফিসে টিফিন নেবে না, কারণ আগামীকাল বিশ্বকর্মা পুজো। তাই আজ, আগামীকাল ও বিশ্বকর্মা পুজোর পরের দিন ওদের অফিস থেকেই খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এটা প্রতিবছরই হয়। যাইহোক বছরে এই একটা দিনকে কেন্দ্র করে ওরা সকলেই অনেক বেশি আনন্দ করে থাকে।
![]() |
---|
যাইহোক আমি সকালবেলায় উঠে, ফ্রেশ হয়ে, নিচে এসে প্রথমে শুভর জন্য চা করে, ওকে ডেকে দিলাম। তারপর আমি ব্রেকফাস্ট তৈরি করার কাজ শুরু করলাম, যাতে শুভ অফিসে বেরিয়ে যাওয়ার পর থেকেই আমি ঘরের কাজগুলো শুরু করতে পারি।
সময়মতো রেডি হয়ে শুভ অফিসে বেরিয়ে যাওয়ার পর আমারও একটু কমিউনিটির কাজ ছিলো সেটা সেরে নিয়ে ব্রেকফাস্ট করে ঘরের কাজে হাত দিয়েছিলাম। বাইরের আবহাওয়া তখন বেশ ভালোই ছিলো। দেখে মনে হচ্ছিলো রোদ্দুরই থাকবে সারাদিন, তাই মাঝখানে গিয়ে বেশ কিছু জামা কাপড় ভিজিয়ে দিয়েছিলাম কাঁচার জন্য।
|
---|
![]() |
---|
ঘরের কাজ করতে করতে কখন সময় পেরিয়ে যায় বোঝাই যায় না। কিছুক্ষণ বাদেই দেখি বেলা অনেকটাই হয়ে গেছে। শাশুড়ি মা রান্না ঘরের দিকে চলে গিয়েছেন, আর আমি ঘরের কাজে হাত দিয়েছি। গতকাল প্রায় বিকেল সাড়ে তিনটে পর্যন্ত সমস্ত ঘরের ও বাইরের ঝুলগুলো ঝেড়ে নিয়েছিলাম।
কারণ সোম, বুধ, শুক্র এই তিনটে দিনে এই কাজটা করা যায়। এর পিছনে কোনো কারণ আছে কিনা জানিনা। তবে এমনটাই ছোট থেকে দেখে এসেছি মাকে করতে, এমনকি আমার শাশুড়ি মাও এই নিয়মটা মানেন, তাই ঝাড়াঝুড়ির কাছে গতকাল হয়ে গিয়েছিলো ঠিকই। তবে আজ দরজা-জানলা রেলিং সহ বাকি সবকিছু মোছার কাজ শেষ করলাম।
![]() |
---|
সমস্ত কাজ শেষ করতে প্রায় দুটোর বেশি বেজে গেলো। এর মধ্যেই বাইরে মুষলধারায় বৃষ্টিও নেমে গিয়েছিলো। একটানা বেশ কিছুক্ষণ ভালোই বৃষ্টি হয়েছে।
![]() |
---|
![]() |
---|
এটা একটা প্লাস্টিকের কলা গাছ। শুভর একজন অফিস কলিগ ওকে গিফট করেছিলো। জিনিসটা বেশ সুন্দর দেখতে। একটা পাতা আবার হলুদ রং করা আছে। এই জিনিসটা পরিষ্কার করতে অনেকটা সময় ব্যয় হয়েছে। সবুজ পাতাগুলো ধুলোতে প্রায় রং পরিবর্তন করে ফেলেছিলো। একটা একটা করে পাতা ধুয়ে, আবার ওকে পুনরায় নতুনের মত করার চেষ্টা করেছি।
![]() |
---|
খুব সত্যি কথা বলতে মাকড়সার জাল যতই পরিষ্কার করা হোক না কেন, এক দুদিন বাদে আবার দেখা যায় পুনরায় ওরা জাল তৈরি করে ফেলেছে। এই ছবিগুলোর উপরে এতো পরিমাণে মাকড়সার জাল ছিলো যে গুলোকে ধীরে ধীরে পরিষ্কার করাতে, এখন জায়গাটা অনেক বেশি সুন্দর লাগছে।
যাইহোক এই সমস্ত কাজ শেষ করার পর, আমি ভেজানো জামাকাপড় গুলো ধুয়ে, স্নান সেরে পূজো দিয়ে নিলাম। ততক্ষণে শাশুড়ি মা ও শ্বশুরমশাইয়ের স্নান হয়ে গেছে। শ্বশুর মশাই যেহেতু নির্দিষ্ট সময়ে খান, তাই শাশুড়ি মা ওনাকে খাবার দিয়ে আমার জন্য অপেক্ষা করলেন।
![]() |
---|
আমি পুজো দেওয়া শেষ করে, গীতা পাঠ করে নিলাম। তারপর একসাথে আমরা খেতে বসলাম। যদিও আজ আমার নিরামিষ, কারণ আগামীকাল একাদশী রয়েছে। তবে শাশুড়ি মা নিজেদের জন্য মাছ রান্না করেছেন।
খাওয়া-দাওয়া সম্পন্ন করে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য একটুখানি শুয়ে ছিলাম। তবে আজ কখন ঘুমিয়ে পড়েছি বুঝতে পারিনি। তবে ফোনে মেসেজের আওয়াজে ঘুম ভেঙ্গে গেলো। এক দুটো মেসেজ এলে হয়তো ঘুম ভাঙবে না, তবে পরপর মেসেজের আওয়াজে ফোন হাতে নিয়ে দেখলাম, তাতান মানে আমার দিদির ছেলে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করছে।
নতুন নতুন মেসেজ করা শিখেছে। যদিও বাংলায় টাইপ করলে কিছুই পড়তে পারে না, সেটাকে ইংরেজিতে করে লিখতে হয় তাহলে সে পড়তে পারে। দু তিন দিন ধরে মাঝেমধ্যেই আমাকে মেসেজ করে। যদি তৎক্ষণা উত্তর না দিই, তাহলে আবার ফোন করে আমাকে জিজ্ঞাসা করে,-
মিমি, আমি তোমাকে একটা মেসেজ পাঠিয়েছি। তুমি কি সেটা দেখেছো?
কি একটা জ্বালাতন হয়েছে বলুন তো, আসলে ওর দিদি তার বান্ধবীদের সাথে ফোনে কথা বলে। কিন্তু ওর তেমন কোনো বন্ধু নেই বলে, ও আমাকে বেছে নিয়েছে কথা বলার জন্য। সারা দিনের খুঁটিনাটি সমস্ত কিছুই আমাকে মেসেজের মাধ্যমে জানাতেই হবে।
|
---|
সন্ধ্যাবেলায় আমাকে ভিডিও কল করবে তার জন্য নাকি ফোনে টাইমার সেট করেছে। সেটাও মেসেজে আমাকে বলেছে। তবে আমি যেহেতু পূজো দিতে যাবো, তাই বলেছিলাম কিছুক্ষণ বাদে কল করতে। আমি যে টাইমটা বলেছি সেটা পেরিয়ে যাওয়াতে আবার মেসেজ করেছে, - এখন কি পুজো দেওয়া শেষ হয়েছে?
তারপর তাকে ভিডিও কল করলাম। কিছুক্ষণ কথা হলো ভিডিও কলে। আমাকে জানালো আমাকে নাকি বড় একটা মেসেজ পাঠাচ্ছে। সত্যিই তাই, ফোনটা রাখতে রাখতে বড় একটা মেসেজ এলো। আগামীকাল ওদের স্কুলের পুলকার আসবে না, সেটাই জানালো।
কিছুক্ষণ বাদে সে জানতে চাইলো, আমি হিন্দি পড়তে জানি কিনা?
মহা জ্বালাতন হলো, আমি হিন্দি পড়তে জানি না বলার পর, সে কি করেছে জানেন?**
নিজে হিন্দি কবিতা এবং গল্প পড়েছে, বাবাকে দিয়ে সেটার ভিডিও করিয়েছে, তারপর আমাকে সেটা পাঠিয়েছে।
কারণ তার বক্তব্য ছিলো, - বাবা মিমি তো হিন্দি পারে না। আমি মিমিকে এইভাবে পড়াবো, তাহলে মিমি শিখে যাবে।
বুঝুন কান্ডটা। ওর বাবাও অগত্যা ভিডিও করে পাঠিয়েছে আমাকে। বেশ ভালোই হিন্দি পড়ে। আপনাদের সাথে ভিডিও শেয়ার করতে পারলাম না, কারণ আমার কোনো ইউটিউবে চ্যানেল নেই। তবে কিছু স্ক্রিনশট আমি আপনাদেরকে সাথে শেয়ার করলাম।
এইসব কিছুর ফাঁকে ফাঁকে আমার পোস্ট লেখাটাও শেষ হয়ে এলো। এরপর শুভ বাড়িতে এলে ওকে কিছু টিফিন দেবো। তারপর রাতের জন্য রুটি করবো। বলতে গেলে রাতের সমস্ত কাজই বাকি।
বাচ্চারা আজকাল এতো বেশি অ্যাডভান্স এবং টেকনোলজি গুলো এতো তাড়াতাড়ি আয়ত্ত করে নিতে পারে, যেগুলো মাঝেমধ্যে আমাকে বেশ অবাক করে। যাইহোক যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে এগুলো বোধহয় শিখতেই হয়, না হলে পিছিয়ে পড়তে হবে। বিশেষত করোনার সময় অনলাইন ক্লাসগুলো বাচ্চাদেরকে যেন আরও বেশি স্মার্ট করে তুলেছে।
যাইহোক এইভাবে কেটেছে আমার আজকের দিনটা। তাতানের সাথে কথোপকথন দিনের সেরা অংশ ছিলো। গত কয়েকদিন টুকটাক কথা হচ্ছিলো, তবে আজকের বিষয়টা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। বলতে পারেন একপ্রকার হিন্দির অনলাইন ক্লাস করলাম।
আপনাদের কেমন লাগলো অবশ্যই মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। ভালো থাকবেন সকলে। শুভরাত্রি।
Thank you so much for your support @ninapenda. 🙏