"Better life with steem//The Diary Game// 19th September,2025"

in Incredible India18 hours ago
IMG_20250919_200200.jpg

Hello,

Everyone,

আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের সকলের আজকের দিনটা খুব ভালো কেটেছে। গত শুক্রবার অর্থাৎ বিশ্বকর্মা পুজোর একদিন পর আমি এবং দিদি (অ্যাডমিন ম্যাম) একটু বাইরে বেরিয়েছিলাম।

যারা আমার দুদিন আগের পোস্ট পড়েছেন, তারা জানেন সেই পোস্টের শেষে আমি বিষয়টি উল্লেখ করেছিলাম। আর ইতিমধ্যে দিদিও তার লেখায় এই বিষয়টিকে শেয়ার করেছেন। যাইহোক সেই দিনটা কিভাবে বাইরে সময় অতিবাহিত হয়েছিলো, সেই বিষয়টাই আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি।

গতকালের পোস্টে আপনাদেরকে জানিয়েছিলাম, বিশ্বকর্মা পূজোর পর দিন আমার ননদের বড় ছেলে প্রায় তিন মাস বাদে বাড়িতে ফিরেছে। আর সেই কারণেই সকালবেলায় আমার শশুর ও শাশুড়ি মা ননদের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন।

আর ওনার আজকে সকালে বাড়িতে ফিরছেন। সুতরাং বলাইবাহুল্য তারা ঐদিন বাড়িতে ছিলেন না।যাইহোক সেদিন সারাটা দিন কিভাবে কাটালাম, তার গল্প একেবারে সকাল থেকেই শুরু করি চলুন, -

1672344690977_010726.jpg

"সকালবেলা"

IMG_20250919_212517.jpg

আগেরদিন বেশ রাত করেই বাড়িতে ফিরেছিলাম। যদিও দিদির সাথে কথা হয়েছিল পরদিন সকালে বেরোবো। কিন্তু কটার সময় বেরোবো সেই বিষয়ে কথা হয়নি। কথা ছিলো রাতে কিংবা সকালে উঠে জানিয়ে দেবো। তবে বাড়িতে ফিরে পোস্ট লিখে, পোস্ট ভেরিফিকেশন করার পর ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।

আর পরদিন সকাল বেলায় উঠেই তাড়াহুড়ো করে কাজ শুরু করাতে, সঠিক সময়টা জানিয়ে ওঠা হয়নি। সেদিন শুভর যেহেতু অফিস ছিলো, তাই সকালে রান্নাও করতে হবে। তারপর ঘরের কাজ সেরে, পুজো দিয়ে, বেরোতে হবে।

IMG_20250919_212615.jpg

একপাশে রান্না বসিয়ে, অন্যদিকে চা করে শুভকে ডেকে দিলাম। তারপর ছাদে গিয়ে পুজোর ফুল তুললাম, ঠাকুর পূজোর বাসন গুলো মেজে রাখলাম। রান্না শেষ করে শুভর টিফিন গুছিয়ে, ব্রেকফাস্ট ও রেডি করে রাখলাম। এরপর শুভ স্নান করে অফিসে বেরিয়ে যাওয়ার পর, আমিও ঘরের বাকি কাজ সেরে, স্নান করে পুজো দিয়ে, তারপর তৈরি হয়ে নিলাম।

IMG_20250919_200227.jpg

এর মাঝে দিদি একবার ফোনও করেছিলো, সেটাও তুলতে পারিনি। পরে অবশ্য কথা বলে সময়টা ঠিক করে নিলাম। সেদিন এতো বেশি গরম পড়েছিল যে, টিকিট কেটে ট্রেনের অপেক্ষা করতে করতেই ঘেমে নেয়ে একাকার অবস্থা হয়েছিলো। ট্রেন বারাসাতে ঢোকার আগেই দিদি ফোন করে জানিয়েছিলেন, তিনি আমার জন্য অপেক্ষা করছেন।

1672344690977_010726.jpg

"দুপুরবেলা"

IMG_20250919_122542.jpg

IMG_20250919_122929.jpg

IMG_20250919_123114.jpg

IMG_20250919_122746.jpg

আসলে এদিন দিদির বাড়িতে নয়, বাইরে দেখা করার প্লান হয়েছিলো। তবে তার আগে একটা প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করার ছিলো, তাই আমরা ঠিক করেছিলাম সেই কাজের জায়গাতেই দেখা করবো। যেমন ভাবনা তেমন কাজ। দেখা হওয়ার পরে কাজটাও সম্পন্ন করে নিলাম। এরপর প্ল্যান হলো আগে লাঞ্চটা করে নেওয়া যাক।

IMG_20250919_132617.jpg

IMG_20250919_133631.jpg

বারাসাতের মৌচাক রেস্টুরেন্টটা বেশ বিখ্যাত। তবে এর পূর্বেও দিদির সাথে একবার এই রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিলাম। তবে সেদিন খাবারের মান খুব একটা ভালো ছিল না। তাই এদিন গিয়েই আমরা প্রথমে সে বিষয়টিকে জানিয়েছিলাম। তবে এদিন আমরা যে খাবার অর্ডার করেছিলাম, তার মধ্যে চাউমিনের টেস্টটা ঠিকঠাক থাকলেও, মিক্সড ফ্রায়েড রাইসের স্বাদ ততটাও ভালো ছিল না।

IMG_20250919_133805.jpg

IMG_20250919_134239.jpg

IMG_20250919_134235.jpg

IMG_20250919_133956.jpg

IMG_20250919_133831.jpg

যাইহোক আমাদের খাবারের পছন্দ মোটামুটি এক, তাই খুব বেশি সময় না নিয়ে অর্ডার করেছিলাম। খাবার শেষ করার পর দুজনেরই মনে হল একেবারে মেনকোর্সের খাবার অর্ডার দিয়ে ভালো করেছি। কারণ স্টার্টার অর্ডার করার পর মেনকোর্স অর্ডার করলে, খাবার গুলো শেষ করা সম্ভব হতো না।

যাইহোক সেখান থেকে আমরা টোটো নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলাম স্টারমলে। সেখানে আমরা প্রথমেই একটা ব্যাগের দোকানে গিয়েছিলাম। যেখানে দিদি বেশ কয়েকটি ব্যাগ পছন্দ করেছিল এবং আমি চেয়েছিলাম ওনাকে গিফট করতে। তবে দাম বেশি হওয়ার কারণে দিদি আমার থেকে সেটা নিতে চায়নি। এটা ওনার বরাবরের অভ্যাস, দামী কোনো কিছু নিতে উনি পছন্দ করেন না।

তবে ওনাকে একটা সেন্ডেড ক্যান্ডেল দেওয়ার ইচ্ছে আমার ছিলো। বিশেষ করে ভেবেছিলাম টিচার্স ডের দিন ওনাকে এই গিফটটা দেবো। কিন্তু সেদিন দিদির কিউরেশন থাকায় এবং আরো কিছু সমস্যার কারণে আর যাওয়া সম্ভব হয়নি। তাই প্ল্যান ছিলো এদিন কিনে দেওয়া হবে। কিন্তু সেই দামের বিষয়টা এসে দাঁড়ালো।

IMG_20250919_164135.jpg

IMG_20250919_164127.jpg

ক্যান্ডেল গুলো অনেক দাম দেখে তিনি সেটা একেবারেই নিতে রাজি হননি। তাই নানান বাহানা দিলেন। এরপর উপরে গিয়ে একটা ক্যান্ডেল নিলেন ঠিকই, তবে সেটা খুব একটা দামী নয়। তারপর আরো একটা জিনিস পছন্দ করেছিলেন। আমিও কিছু কেনাকাটা করলাম, সমস্ত কিছু নিয়ে আমরা মল থেকে বেরিয়ে পড়লাম।

অনেকবার রিকোয়েস্ট করার পরেও নতুন একটা ড্রেস ওনাকে কিনে দিতে পারলাম না। তারপর আমি নিজেই চুপ হয়ে গেলাম। কারণ আমি বুঝে গিয়েছিলাম আমি যতই বলি না কেন, উনি কিছুই কিনবেন না। যাইহোক সেখান থেকে সোজা টোটো নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম স্টেশনের উদ্দেশ্যে।

1672344690977_010726.jpg

"সন্ধ্যাবেলা"

IMG_20250919_170849.jpg

ফল খেতে দিদি ভালোবাসেন, এটা যারা দিদির পোস্ট নিয়মিত পড়েন তারা হয়তো সকলেই জানেন। তার থেকে বড় কথা, তিনি ঘরের ঠাকুরকে ফল দিয়ে পুজো দেন। তাই এই সেখান থেকে কিছু ফল কেনা হলো।

তবে দিদি যেহেতু চার তলায় থাকেন, আর সেই ফ্ল্যাটে লিফট নেই, তাই বেশি ভার বহন করা ওনার জন্য কষ্টকর হবে, এই বিষয়টা আমি ফলগুলো কেনার পর অনুভব করলাম। কিন্তু তখন এতটাও সময় ছিল না যে, আমি তার বাড়িতে গিয়ে সেগুলো পৌঁছে দিয়ে আসতে পারতাম।

তাই দিদি বাড়ির উদ্দেশ্য রান্না করলে আমিও প্ল্যাটফর্মে এলাম। এরপর যেটি হলো সেটা সবথেকে বিরক্তিকর আমি প্রায় এক ঘন্টার উপরে প্ল্যাটফর্মে বসেছিলাম। প্রথমত দুটো ট্রেন এতো বেশি ভিড় ছিল যে, আমি তাতে ওঠার রিস্ক নিতে পারিনি।

IMG_20250919_170826.jpg

হয়তো উঠতে পারতাম তবে আমাদের দত্তপুকুর স্টেশনটা পড়তো বিপরীত দিকে, তাই সেখানে নামাটা অনেক বেশি কষ্টকর হয়ে যেতো বা হয়তো নামতেই পারতাম না। তাই ঘন্টাখানেক অপেক্ষা করার পর দত্তপুকুর লোকাল এলো, যেটা একেবারেই ফাঁকা ছিলো, আমি সেটাতে উঠেই বাড়িতে ফিরলাম।

1672344690977_010726.jpg

"রাত্রিবেলা"

IMG_20250919_201309.jpg

ট্রেন লেট থাকার কারণে বাড়িতে ফিরতে বেশ লেট হয়েছিলো। তাই ফিরেই প্রথম সন্ধ্যা পুজো সম্পন্ন করেছিলাম। বেশ কিছুক্ষণ বাদে শুভ বাড়িতে ফিরলো। ওদের অফিস থেকে বিশ্বকর্মা পুজোর দিন মিষ্টির প্যাকেট দিয়েছিলো, আবার এই দিনও এক প্যাকেট করে মিষ্টি দিয়েছিলো সকলকে।

IMG_20250919_201315.jpg

তাই দুজনে মিলে সন্ধ্যা বেলায় অফিস থেকে আনা মিষ্টির প্যাকেট থেকে পছন্দ মতন মিষ্টি খেয়ে নিয়েছিলাম। রাতে খুব সিম্পল খাবার ছিলো। আলুসিদ্ধ ভাত আর সাথে ছিল ইলিশ মাছ ভাজা, যেটা ননদ আগের দিন রাতে পাঠিয়ে দিয়েছিল।

বাড়িতে যেহেতু দুজন ছিলাম তাই খাওয়া দাওয়া সম্পন্ন করে ভেরিফিকেশন এর কাজ শেষ করে, দুজনেই তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়েছিলাম। কারণ পরদিন আবার শুভর অফিস ছিলো।

সারাটা দিন বেশ ভালো কেটেছিলো, কারণ দিদির সাথে থাকতে আমার বরাবর ভালো লাগে। দুজনে মিলে ঘুরলাম, একসাথে বেশ কিছুটা টাইম কাটালাম, অনেক গল্প করলাম। আসলে এরকম মানুষ বোধহয় আমাদের সকলের জীবনেই থাকে, যাদের সান্নিধ্যে থাকাটাই অনেকটা আনন্দের হয়। আমার জীবনে দিদিও তেমন একজন মানুষ।

যাইহোক আমাদের একসাথে উপভোগ করা কিছু মুহূর্ত আপনাদের সাথে আর শেয়ার করলাম। আপনাদের পড়ে কেমন লাগলো অবশ্যই জানাবেন। সকলে খুব ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। শুভরাত্রি।

9vWp6aU4y8kwSZ9Gw15LFL3aMdhmgmBBFMpDJregpdP328TqCvhjhspw5NBPbWMShaDD4yjYoZFwyWS9XH9YcrMyqTMGHiWpaGrwDGkXYMbDHgxptYZq3ueRpXapEAPkAuu3vPaZSXJ2USdTC.png

Sort:  

Thank you for sharing on steem! I'm witness fuli, and I've given you a free upvote. If you'd like to support me, please consider voting at https://steemitwallet.com/~witnesses 🌟


💦💥2️⃣0️⃣2️⃣5️⃣ This is a manual curation from the @tipu Curation Project

@tipu curate

Loading...
 2 hours ago 

Thank you for your support @Shahid76. 🙏