"Better life with steem// The Diary Game// 25th July,2025"
![]() |
---|
Hello,
Everyone,
গত কয়েকদিন ধরে দিনগুলো যে কিভাবে কাটাচ্ছি আসলে বুঝতেই পারছি না। রোবটের মতন এমন জীবন যাপন বোধহয় আমরা সকলেই মাঝেমধ্যে করে থাকি। নিয়ম করে সমস্ত কাজকর্ম করছি ঠিকই, কিন্তু মন যেন বড়ই অশান্ত। চারিদিকের বিভিন্ন ধরনের মর্মান্তিক খবর গুলো মনটাকে কেমন যেন বিষাদে ভরপুর করে রাখছে সর্বক্ষণ।
খুশির মুহূর্ত গুলোর কথা ভাববো সব সময়, এমনটা মনে মনে ঠিক করার পরেও কোথা থেকে যেন কষ্টের মুহূর্ত গুলো মনে পড়ে বারংবার। গত কয়েকদিন বহুবার চেষ্টা করার পরেও মনটা যেন কিছুতেই শান্ত হচ্ছে না। কিন্তু সত্যি কথা বলতে অশান্ত হওয়ার কারণগুলো খুঁজে পেতেও খুব বেশি কষ্ট করতে হচ্ছে না।
কারণ নিত্য জীবনের লড়াই গুলো নিজের নিজের মতো করে আমরা সকলেই লড়ে চলেছি। কখনো নিজেদের সম্পর্কের সাথে, কখনো পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির সাথে, আবার কখনো নিজের মন খারাপের সাথে।
|
---|
![]()
|
---|
সকাল বেলায় ঘুম ভাঙতে দেখলাম বাইরে তখন ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পড়ছে। জানালা খুলতেই বুঝতে পারলাম রাতের বেলায় মোটামুটি বৃষ্টি হয়েছে। গত তিনদিন যাবত নিজের তলায় থাকতে হচ্ছে, কারণ শ্বশুর মশাই ও শাশুড়ি মা বাড়িতে নেই। আমার জ্যেঠিমা শাশুড়ি মারা গিয়েছিলেন, সেখানকার অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন ওনারা।
![]()
|
---|
সত্যি কথা বলতে প্রায় এক দেড় মাস হয়ে গেছে রাতের বেলায় ঘুমাতে আমার প্রায় ভোর হয়ে যায়। এপাশ-ওপাশ করেই কেটে যায় সম্পূর্ণ রাত। তার উপরে জায়গা বদল করাতে আরো বেশি সমস্যা হয়েছে।
ঘুম ভেঙে গিয়েছিল অনেকটা আগেই, কিছুক্ষণ চুপচাপ শুয়ে ছিলাম। তারপর উঠে নিজের মত কাজ শুরু করলাম। যেহেতু শুভ তখনও ঘুমাচ্ছিলো। সকাল বেলার নিস্তব্ধতা যেন গত কয়েকদিন ধরে বেশ উপভোগ করেছি। সময় মতো শুভকে চা দিয়ে ডেকে দেওয়ার পর, আমি রান্না শেষ করলাম।
![]()
|
---|
গত দুদিন যাবত বাড়িতে পুজো দিতে পারছি। তাই শুভ বেরোনোর পর আমি বাইরের কাছ থেকে এবং ছাদের গাছ থেকে ফুলগুলো তুলে নিয়ে, তারপর ব্রেকফাস্ট করলাম।কিছুক্ষণ বাদে আমার দিদি ফোন করলো, কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কথা বলার জন্য। সেগুলো শেষ করেই আবার ঘরের কাজে হাত লাগালাম।
|
---|
![]()
|
---|
সমস্ত কাজ গুছিয়ে নিয়ে স্নান সেরে পূজা দিতে বসলাম। আজকে গাছে ফোঁটা জবা ফুলগুলোর মধ্যে একটা ফুল হাতে নিয়ে আসন সাজাতে যাবো, যেন মনে হলো একসাথে দুটো ফুল উঠে এসেছে। দুটোকে আলাদা করার চেষ্টা করতে গিয়ে হঠাৎ করে খেয়াল করলাম, ফুল আসলে একটাই, কিন্তু পাঁপড়ি অনেকগুলো হয়েছে বলে ফুলটাকে ওমন লাগছে।
![]() |
---|
|
---|
একটু ভালোভাবে খেয়াল করাতে বুঝলাম যে পাঁচটা পাঁপড়ির বদলে ওই ফুলটাতে দশটা পাঁপড়ি হয়েছে। যে কারণে মনে হচ্ছিল দুটো ফুল একত্রে রয়েছে। আরো একটা ফুল হাতে নিলাম তারপর বিষয়টিকে ভালোভাবে বুঝতে পারলাম। সেই মুহূর্তেই আমি ফুলের ছবিগুলো তুলেছিলাম যাতে আপনাদের সাথে বিষয়টা শেয়ার করতে পারি।
|
---|
এই প্রথম আমি এই জবা ফুল গাছটাতে এই রকম একটা ফুল ধরতে দেখলাম। বিষয়টা দেখে একটু অবাকই লাগলো। তাই ভাবলাম আপনাদের সাথেও শেয়ার করি। একই গাছে দুই রকমের ফুল ফোটা দেখার অভিজ্ঞতা আমার এই প্রথম, আপনাদের মধ্যে কেউ এইরকম দেখেছেন কিনা মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন।
এরপর খাওয়া-দাওয়া শেষ করলাম একা একাই। গত কয়েকদিন ধরে নিজের সাথে নিজে অনেকটা সময় কাটানোর সুযোগ পেয়েছি। তবে কি ভেবেছি, কেন ভেবেছি, ভাবার পর কি উত্তর পেয়েছি, এই সবটাই যেন কেমন একটা গুলিয়ে যায়।
জীবন আসলে কত কিছু ভাবায় আমাদের, অথচ সেই ভাবনার তল খুঁজে পাওয়া বড্ড কঠিন। রাতে ঘুম না হওয়ার কারণে খুব চেষ্টা করেছি যাতে দুপুরে কিছুটা ঘুমাতে পারি, তবে সে ক্ষেত্রেও ব্যর্থ হয়েছি।
|
---|
সময় কেটেছে এমন ভাবে। কখনো ফোন দেখেছি, কখনো চুপচাপ চোখ বন্ধ করে শুয়ে থেকেছি, তবু ঘুম আসেনি। কিছুক্ষণ বাদে দরকারি ফোন এলে বেশ কিছুক্ষণ ফোনে কথা বলাতে সময়টা কেটেছে। সন্ধ্যা বেলায় উঠে সন্ধ্যা পূজো শেষ করে, সবেমাত্র বসেছি তখনই কলিংবেলের আওয়াজ শুনে সামনে গিয়ে দেখি শশুর মশাই, শাশুড়ি মা এবং শুভর পিসি এসেছে আমাদের বাড়িতে।
|
---|
যথারীতি তাদের সাথে কথোপকথনে অনেকটা সময় ব্যয় হয়েছে। কিছু কাগজপত্রের ছবি ননদের কাছেও পাঠানোর প্রয়োজন ছিলো, তাই শ্বশুর মশাই তার পুরনো ফাইল খুলে বসেছিলেন। সেখানে তার সাথে কিছু কাগজ দেখে ছবি তুলে ননদকে পাঠাতে হলো।
|
---|
![]()
|
---|
শুভ অফিস থেকে যখন ফিরেছে তখনও বৃষ্টি পড়ছে অল্প। শাশুড়ি মা বোধহয় ওকে ফোন করে দিয়েছিলেন তাই ফেরার পথে ও মিষ্টি নিয়ে এসেছিলো। কিন্তু যেহেতু ও ভিজে এসেছিলো, তাই আমাকে এক কাপ চা দিতে বলেছিল বলে ওর জন্য চা করলাম। বাকি শাশুড়ি মা পিসি শাশুড়িকে মিষ্টি দিলেন। উনি একই সাথে মুড়ি দিয়ে খেয়ে ডিনার কমপ্লিট করে নিলেন।
![]()
|
---|
কিছুক্ষণ আগে আমিও শশুর মশাইয়ের জন্য রুটি তৈরি করে এসে পোস্ট লিখতে বসলাম। কারণ সন্ধ্যা থেকে সকালের সাথে কথায় কথায় অনেকটা সময় অতিবাহিত হয়েছে, তাই পোস্ট লেখার সময় করে উঠতে পারিনি। এরপর রাতের ডিনার সেরে নিয়ে আমি পোস্ট ভেরিফিকেশন করতে বসবো।
দিনটা আসলে আজ এভাবেই কেটেছে। তবে আজকের দিন নয় গত বেশ কয়েকটা দিন আমি এইরকমই কাটাচ্ছি। এগুলোকে আসলে দিন কাটানো বলে নাকি জোর করে দিন পার করা বলে, সত্যিই বুঝতে পারি না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিজেকে বড্ড বেশি অসহায় মনে হয়। তবে এই অসহায়ত্ব প্রকাশ করার মানুষের সংখ্যা জীবনে নেই, তাই তা মুখ বুঝে সহ্য করি।
কারণ সকলকে নিজেদের অসহায়ত্ব দেখাতে নেই, তাহলে তারা সুযোগ নেয়, এই শিক্ষাটা আমি আমার অতীত থেকেই পেয়েছি।
যাইহোক ভালো থাকবেন আপনারা সকলে। আজকের পোস্ট আমি এখানে শেষ করছি। আপনাদের দিন কেমন কাটছে সেটা মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। শুভ রাত্রি।
SPOT-LIGHT TEAM: Your post has been voted on from the steemcurator07 account.
Thank you so much for your support @muzack1. 🙏