"Better life with steem//The Diary Game// 30th August,2025"
![]()
|
---|
Hello,
Everyone,
অনেকদিন বাদে আজ সন্ধ্যার পর থেকে বাড়ির নীরবতা দূর হয়েছে। আমার আগের পোস্টে আপনাদের জানিয়েছিলাম, শশুর মশাই ও শাশুড়ি মা বাড়িতে নেই। কখনো কখনো এই মানুষগুলোর কিছু কিছু কথা যেমন খারাপ লাগে, তেমনি আবার কিছু কিছু ব্যবহার বড্ড বেশি বিরক্তিকর মনে হয়। তবে মাঝখানের এতগুলো দিন ওনরা বাড়িতে না থাকায়, সারা বাড়িতে এক অদ্ভুত নীরবতা ছিলো।
সারাটা দিন একা একা কাটানো বেশ অস্বস্তিকর ছিলো। যাইহোক আজ তারা বাড়িতে ফিরেছেন। তাই সন্ধ্যা থেকেই পাশের ঘর থেকে যেমন শশুর মশাইয়ের বাজানোর বাঁশির আওয়াজ ভেসে আসছে। তেমনি শাশুড়ি মাও নিজের মতন করে মহাভারত পড়ছেন, সেই আওয়াজও পাচ্ছি। বাড়িটাকে আজ বেশ জমজমাট মনে হচ্ছে।
এতোদিন পর্যন্ত এই সময়টা সম্পূর্ণ একাই কাটাতাম, যেহেতু শুভ কোনো কোনো দিন অনেকটাই দেরিতে অফিস থেকে ফিরতো। যাইহোক চলুন আজকে সারাদিনের কিছু মুহূর্ত আপনাদের সাথে এই পোস্টের মাধ্যমে শেয়ার করবো। তাহলে সকাল থেকেই শুরু করি,-
|
---|
![]() |
---|
আজ সকালে ঘুম ভেঙেছে একটু দেরিতেই। আসলে অ্যালার্মটা বন্ধ করে আবার কিছুক্ষণের জন্য ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। পরে শুভর ফোনের অ্যালার্মে আবার পুনরায় ঘুম ভাঙলো। শুভ অফিসে যাবে তাই ঘুম থেকে উঠে, ফ্রেশ হয়ে, আগে ওর চায়ের জল বসলাম। তারপর দরজা খুলে, গেটের তালা খুলে, ভাত বসিয়ে দিলাম। ঘরের কাজ কিছুটা সেরে, বাকি রান্নাও করে নিলাম। মাঝে অবশ্যই শুভকে চা দিয়ে দিয়েছিলাম। এই সময় আমার আর চা খাওয়া হয়নি, তাই আমার চা ফ্ল্যাক্সে ভরে রেখেছিলাম।
![]() |
---|
আজকে ডিমের ঝোল রান্না করেছিলাম। আসলে শুভ ডিমের ঝোল পছন্দ করে না আর আমার ডিম কষা খুব একটা পছন্দ নয়। আলু দিয়ে ঝোল হলে সেই ডিমের ঝোলটা খেতে আমি পছন্দ করি। তাই গতকাল রাতেই শুভকে বলেছিলাম অনেকদিন ডিমের ঝোল রান্না করি না, আজ কিন্তু ডিমের ঝোলে করবো। কখনো কখনো নিজের পছন্দের দামও দিতে হয়।
যাইহোক শুভও আপত্তি করেনি, তাই বেশ মনের মত করে আলু দিয়ে ডিমের ঝোল রান্না করেছি। সাথে শুভকে একটু আলু ভাজা করে দিয়েছিলাম। বাকি আজকে আর কিছু রান্না করিনি, কারন দুপুরে আমি ডিমের ঝোল দিয়েই ভাত খেয়ে নেবো। রাতের বেলায় শাশুড়ি মায়েরা বাড়িতে এলে কি খাবে, সেই অনুযায়ী রাতের রান্না করবো ঠিক করেছিলাম। তাই রান্নাবান্নার কাজে আজ খুব একটা সময় ব্যয় হয়নি।
![]() |
---|
যাইহোক এরপর ছাদে গিয়ে দেখলাম সুন্দর রোদ্দুর উঠেছে। আকাশটা দেখে একেবারে পুজো পুজো মনে হচ্ছে। জানালার ফাঁক দিয়ে নীল আকাশের বুকে সাদা মেঘ গুলো দেখতে ভারী ভালো লাগছিল। ছাদের দিকে চোখ পরতে খেয়াল করলাম, ভোরবেলায় বোধহয় বৃষ্টি হয়েছিলো, তাই ছাদ কিছুটা ভিজে রয়েছে। তবে সকালের ঝকঝকে রোদ্দুরে গাছগুলোকে বেশ ভালো লাগছে দেখতে।
আমাদের ছাদে লাগানো দোপাটি ফুলগাছে প্রথম ফুল ফুটেছে আজ। ফুলটার রংটা বেশ মিষ্টি, হালকা গোলাপি রঙের। তাই ফোনটা হাতে নিয়ে গিয়ে একটা ছবি তুললাম, আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। যাইহোক বাকি ফুল তোলার পর, শুভ ব্রেকফাস্ট সেরেসময় মতো অফিসে চলে গেলো। তারপর আমি কমিউনিটির কিছু কাজ সেরে, নিজে ব্রেকফাস্ট করলাম।
|
---|
![]() |
---|
আজ অনেকটা দেরিতেই ব্রেকফাস্ট করেছিলাম। সকালের বানানো চা ফ্লাক্সে রাখা ছিলো। কাপে ঢালতেই দেখলাম তখনো বেশ গরম রয়েছে, তাই কয়েকটা বিস্কুট নিয়ে চায়ের সাথে খেয়ে ব্রেকফাস্টটা কমপ্লিট করলাম। কারন ততক্ষণে যা বেলা হয়ে গেছে ভারী কিছু খেলে দুপুরে খাবার খেতে পারবো না, তেমনটা ভেবেই আর কিছু খাইনি। যাইহোক কমিউনিটির পোস্টগুলো ভেরিফাই করার পর, আমি ঘরের কিছু কাজ সেরে নিলাম।
![]() |
---|
তারপর পুজোর বাসন মেজে রেখে, ঘর মুছে চলে গেলাম স্নান করতে। সকাল সকাল বাড়ির পুজো দেওয়া হয়ে গেলে যেন মনে হয় সারাদিনের সব থেকে বড় কাজ শেষ হলো। যাইহোক পুজো দিতে বসলাম তখন দিদি ফোন করলো, ওকে বললাম পুজো শেষ করে ফোন করছি। পুজোর শেষে উঠে ওকে ফোন করে কিছুক্ষণ কথা বললাম। আসলে আগামী সোমবার দাদার জন্মদিন, ওই দিন ও ছুটি নিয়েছে ঠিকই, তবে ওদের একটু অফিশিয়াল কাজ আছে, সেই বিষয়ে কিছু কথা বললাম।
যাইহোক এরপর দিদি ফোন রাখলে আমি একটু ফোন ঘাঁটাঘাঁটি করে, কিছুক্ষণ বাদে দুপুরের লাঞ্চ করে নিলাম। অনেকদিন বাদে আজ গরম ভাতের সাথে নিজের পছন্দের ডিমের ঝোল দিয়ে তৃপ্তি সহকারে লাঞ্চ করেছি। ফোন দেখতে দেখতে অনেকটা সময় নিয়ে একা একা আজকে লাঞ্চ করেছি। সময়টা বেশ ভালো উপভোগ করেছি আজ।
এরপর যথারীতি দুপুরে একটু রেস্ট নেওয়ার জন্য শুয়েছি। তবে শনিবার বলে শুভ আজ অনেকটা আগে আগে চলে এসেছিলো। শুভ আসার কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখলাম আবার কলিং বেল বাজলো, গিয়ে দেখলাম শ্বশুর মশাইরাও চলে এসেছেন। ওনরা দুপুরে খাওয়ার পরেই ওখান থেকে রওনা করেছিলেন, যাতে সন্ধ্যার আগে বাড়িতে পৌঁছে যান।
|
---|
![]() |
---|
যাইহোক শশুর মশাই ও শাশুড়ি মা বেশ কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলেন। একটু বাদে সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ার ফলে, আমিও উঠে সন্ধ্যা দিয়ে নিলাম। সন্ধ্যার চা আজকে শাশুড়িমা তৈরি করেছেন। সন্ধ্যাবেলায় মূলত ওনরা দুইজনেই চা খান। ঘরে অনেকদিন ধরে বেশ কিছু পাঁপড় রাখা ছিলো। দেখলাম শাশুড়ি মা তা করার পর বেশ কতগুলো পাঁপড় ভেজেছেন। সেই সময় আমাকে খেতে বলেছিলেন তবে আমার তখন খেতে ইচ্ছা করছিল না। তাই তিনি একটা কৌটাতেই রেখেছিলেন।
কিছুক্ষণ বাদে আমি কয়েকটা পাঁপড় নিয়ে খেলাম। বেশ কিছুটা সময় মামাশ্বশুর বাড়ির বেশ কিছু গল্প করছিলেন শাশুড়ি মা, সেগুলো শুনলাম। তারপর আমি পোস্ট লিখতে বসলাম এবং শাশুড়ি মা পাশের ঘরে গিয়ে পড়তে বসলেন। এটা ওনার প্রত্যেকদিন সন্ধ্যাবেলার একটা রুটিন। বাপের বাড়িতে গিয়েও নাকি তিনি নির্দিষ্ট সময়ে পড়তে বসতেন। শ্বশুরমশাই বাইরে থেকে ঘুরে এসে এখন বাঁশি বাজাতে বসেছেন।
সবকিছু মিলিয়ে ওনরা বেশ ভালো ঘুরেছেন। একঘেয়েমি জীবন যাপন আসলে সকলের জন্যই কষ্টকর। তাই মাঝে মধ্যে বোধহয় জায়গার পরিবর্তন আমাদেরকে একটু সুস্থ করে তোলে। যাইহোক সবকিছু মিলিয়ে একটা সুন্দর দিন পার হলো। আগামীকাল থেকে আবার সেই পুরনো দিনের রুটিন মাফিক জীবনযাপন চলবে আমাদের।
তবে হ্যাঁ অনেকদিন বাদে ওনরা যেহেতু বাড়িতে ফিরেছেন, তাই বাড়িটাকে বেশ বাড়ি বাড়ি মনে হচ্ছে। এভাবে কেটেছে আমার আজকের দিনটি, আপনাদের সকলের দিনটা কিভাবে কাটলো সেটা অবশ্যই মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। সকলে ভালো থাকবেন। শুভরাত্রি।
Thank you for your support @lirvic. 🙏