"Better life with steem// The Diary Game// 31th July,2025"
![]() |
---|
Hello,
Everyone,
দিনযাপন আজকাল বড় অসহ্য হয়ে উঠেছে। বিনা কারণেই নিজের উপরে নিজেই বিরক্ত হয়ে ওঠি কখনো কখনো। কি করলে খানিক শান্তি পাবো বুঝতে পারি না। আসলে মনটা কিছুতে স্থির হচ্ছে না। নিজের ভিতরে নিজের সাথে এতো লড়াই চলছে, যার কোনো ফলাফল নেই।
বয়স বাড়ার সাথে সাথে বেঁচে থাকা কেন এতো কঠিন হয়, সেটা বোধহয় ধীরে ধীরে উপলব্ধি করতে পারছি এখন। জানি না আরো যতদিন যাবে এই পরিস্থিতি গুলোর বদল হবে নাকি এর পরিধি আরো বৃদ্ধি পাবে। তবে যাই বলুন না কেন অদ্ভুত মজার বিষয় হলো, পরিস্থিতির যাইহোক, মন যেমনই থাকুক, দিন কি সুন্দর দিনের মতন করে কেটেই যায়।
ভোরের আলো দেখলেই ভাবি না জানি সারাটা দিন কিভাবে কাটাবো, কিন্তু দিনটা ঠিক কেটে গেলো, আর এই যে রাত এসেছে, এটাও কেটেই যাবে। যাইহোক সারাদিন কি করলাম আজকের পোস্টে সেটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
আসলে ভালো কিছু লিখতে চাই, কিন্তু মনের অবস্থা এতটাই খারাপ যে গুছিয়ে যেন সবটা আর লিখে উঠতে ইচ্ছা করে না। জানি কাজের ক্ষেত্রে এগুলো অজুহাত ছাড়া আর কিছুই না, কিন্তু এটাই আমার বর্তমান সময়ের সত্যি, -
|
---|
![]() |
---|
যথারীতি আধো ঘুম ভেঙেছে সেই ভোরবেলাতে, কখন ঘুমাই কখন জাগি সত্যিই বুঝতে পারি না। অ্যালার্ম বন্ধ করেও কিছুক্ষণ শুয়ে রইলাম, আজকাল তো ভাবি অ্যালার্ম বন্ধ করেই রাখবো। কারণ ঘুম তো এমনিতেও আসে না। বরং সকাল বেলায় অ্যালার্মের শব্দটাও যেন দিনের শুরুটা বিরক্তিকর করে তোলে।
গতকাল রাতে আর কিছু খেতে ইচ্ছে করেনি বলে না খেয়েই শুয়ে পড়েছিলাম। বাড়ির সকলে অনেকবার খেতে বলেছে, কিন্তু কাউকে বোঝাতেই পারছি না আমার বিরক্তির জায়গাটা কোথায়। যাইহোক বেশি কথা বাড়াই নি, খিদে লাগে নি বলে না খেয়েই শুয়ে পড়েছিলাম।
![]() |
---|
সকালে উঠে শরীরটাও ভালো লাগছিলো না, তাই ফ্রেশ হয়ে নিচে গিয়ে শুভর জন্য চা বসলাম। একটু বেশি করে বানিয়েছিলাম। শ্বশুর মশাইকে চা দিয়ে শুভর জন্য চা নিয়ে উপরে গিয়েছিলাম, সাথে নিজের জন্য দুটো বিস্কুট। শুভ আসলে সকালে একটাই বিস্কুট খায়, বাকি দুটো নিয়েছিলাম নিজের জন্য।
যাইহোক এরপর নিচে এসে যথারীতি শুভর অফিসের জন্য রান্না সেরে নিলাম। বাকি দুপুরের রান্নাটা শাশুড়ি মা করবেন। আমি রান্নাঘরটা সামলালে, আমার শাশুড়ি মা বৃহস্পতিবার এর পুজোর জন্য আমপাতা, বেলপাতা, দূর্বা এগুলো আনতে পাশের বাড়িতে গিয়েছিলেন।
সময় মত শুভ ব্রেকফাস্ট করে অফিসে বেরিয়ে যাওয়ার পর, আমি শশুর মশাই ও শাশুড়ি মায়ের জন্য রুটি করলাম। আমার রুটি খেতে ইচ্ছে করছিলো না, তাই আমি অল্প একটু ছাতুগুলে খেয়ে নিয়েছিলাম।
|
---|
বৃহস্পতিবার এ ঘরের কাজ একটু বেশিই থাকে। তবুও আর শাশুড়ি মা আমাকে অনেকটাই হেল্প করেছেন। তিনি আজ ঠাকুরের সকল বাসনপত্র মেজে, ঠাকুরের ঘর মুছে দিয়েছিলেন। আমি ঘরের কাজ গুলো গুছিয়ে নিয়ে স্নান করতে চলে গিয়েছিলাম।
![]() |
---|
সকাল থেকে যদিও আকাশের মুখ ভার ছিলো, আর ছিটে ফোঁটা বৃষ্টিও হয়েছিলো। তবে স্নান করে বেরোনোর কিছুক্ষণ বাদেই মুষলধারায় বৃষ্টির শুরু হয়েছিল। বৃহস্পতিবার তাই পূজার আয়োজন করতে একটু বেশি সময় ব্যয় হয়। তাই আমি পুজো দিতে বসার পর শাশুড়ি মা রান্না ঘরের কাজ সেরে নিয়েছিলেন।
যাইহোক সমস্ত আয়োজন শেষ করার পর আমি পূজা সম্পন্ন করলাম। তারপর যথা রীতি পাঁচালী পড়াও শেষ করে নিলাম। ততক্ষণে অবশ্য শ্বশুরমশাই এর স্নান হয়ে গিয়েছিল। পূজা সম্পন্ন করার পর আমি তুলসী মঞ্চে জল দিতে গিয়েছি, তখন দেখছি মুষলধারায় বৃষ্টি হচ্ছে।
![]() |
---|
তাই বেশ কিছুক্ষণ গেটের কাছে দাঁড়িয়ে রইলাম। যে পরিমাণে বৃষ্টি হচ্ছিলো, তাতে যদি আমি তখন জল দিতে যেতাম তাহলে আমি নিজেই সম্পূর্ণ ভিজে যেতাম। গেটের কাছে দাঁড়িয়েই দেখছিলাম বৃষ্টির কারণে তুলসী গাছটা কেমন হেলে পড়েছে। এমনভাবে অনবরত বৃষ্টি হতে থাকলে, গাছটা আদেও কতদিন বাঁচবে সেটা সত্যিই সন্দেহের।
![]() |
---|
যাইহোক শাশুড়ি মা স্নান সেরে আসার পর তিনজনে মিলে খাওয়া-দাওয়া সেরে নিলাম। তারপর একটু শুয়েছিলাম ঘুমানোর উদ্দেশ্য নিয়েই। কিন্তু যথারীতি এপাশ-ওপাশ করে সময় ব্যয় হলো।
গত দুদিন ধরে ভাবছি আর কিছু না হোক একটা সিনেমা দেখবো, কিন্তু এখন ততটুকুও ধৈর্য্য নেই যে, দুতিন ঘণ্টা একটা সিনেমা দেখে কাটিয়ে দিতে পারি। অথচ একটা সময় সিনেমা দেখতে কতো ভালবাসতাম। যাইহোক এই ভাবেই পার হয়ে যায় অনেকটা সময়।
|
---|
![]() |
---|
সন্ধ্যা বেলায় উঠে যথারীতি সন্ধ্যা পুজো শেষ করলাম। তারপর শ্বশুর মশাইকে চা করে দিয়ে আবার একটু শুয়ে রইলাম। কিছুক্ষণ বাদেই শুভ বাড়িতে এলো। আসার সময় ও আমার জন্য ফুচকা নিয়ে এসেছিলো। সত্যি বলতে খেতে একেবারে ইচ্ছা করছিলো না, কিন্তু হাতে করে নিয়ে এসেছে বলে আর কিছু বলতেও পারেনি।
শ্বশুরমশাই শাশুড়ি মা কেউই ফুচকা খান না। তাই আমি যদি না খাই জিনিস গুলো নষ্ট হবে ভেবেই খেলাম। তবে মন খারাপ থাকলে বোধহয় পছন্দের জিনিস দেখলেও তেমন একটা আনন্দ হয় না। অন্যান্য সময় ফুচকা দেখলে এমনিতেই মুখে হাসি ফুটে ওঠে।
![]() |
---|
যাইহোক আমার সাথে সাথে শুভও কয়েকটা ফুচকা খেলো। তারপর ওকে আমি ডিমটোস্ট করে দিলাম। যদিও আমি আর খাইনি। কারণ ফুচকা খাওয়ার পরে আমার আর ডিমটোস্ট খাওয়ার ইচ্ছা ছিল না। তবে শুভর ক্ষিদে পেয়েছিল বলে ওকে করে দিয়েছিলাম।
তারপর আমি আমার পোস্ট লিখতে বসলাম। এরপর ভেরিফিকেশন বাকি এবং রাতের বেলায় শশুর মশাইয়ের জন্য রুটি তৈরি করবো। সবকিছুই করবো, করে চলেছিও নিয়মমাফিক। শুধু কোথাও যেন কিছু কমতি অনুভব করছি, যেটা নিজেও বুঝে উঠতে পারছি না। সত্যি বলতে এই পরিস্থিতিটার শীঘ্রই বদল দরকার।
যাইহোক এইভাবেই কেটেছে আমার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত। রাতের কিছু কাজ যদিও এখনও বাকি, তবে আশাকরি আপনাদের দিনগুলো ভালো কাটছে। ভালো কাটুক, ভালো থাকুন আপনারা সকলে, এইটুকুই প্রার্থনা করি। শুভরাত্রি।